যদ্বাচনভ্যুদিতং যেন বাগভ্যুদ্যতে।
তদেব ব্রহ্ম ত্বং বিদ্ধি নেদং যদিদমুপাসতে।। _______কেনোপনিষদ-১/৪
পদ-যত্। বাচা। অনভ্যুদিতম্। যেন। বাক। অভ্যুদ্যতে। তত্। এব। ব্রহ্ম। ত্বম্। বিদ্ধি। ন। উদম্। যত্। ইদম্। উপাসতে।।
পদার্থ-( যত্) যা ( বাচা) বাণী দ্বারা ( অনভ্যুদিতম্) প্রকাশিত হয় না ( যেন) যাঁর দ্বারা ( বাক্) বাণী ( অভ্যুদ্যতে) প্রকাশিত হয়, ( তত্,এব) তাঁকেই ( ত্বম্) তুমি ( ব্রহ্ম) পরমাত্মা ( বিদ্ধি) জানো, ( যত্) যা ( ইদম্) এই চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়ের বিষয় মূর্ত্ত জগত হয় ( ইদম্) এই যার মনুষ্য ( উপাসতে) উপাসনা করে সে ব্রহ্ম ( ন) নয়।
ভাষ্য-স্বতঃপ্রকার হওয়ার কারণ ব্রহ্ম বাণী দ্বারা প্রকাশিত হয় না কিন্তু বাণী তাঁর থেকে প্রকাশিত হয়,এবং যে অজ্ঞানী মনুষ্য সাকারের সমর্থনে যার উপাসনা করে সে ব্রহ্ম নয়। অধুনিক বেদান্তী এর এই অর্থ করে যে, এই শ্লোকগুলিতে উপাধিবিশিষ্টরূপের উপাসনার কথন্ করা হয়েছে? এদের উত্তর এই যে,এই থেকেও তো মূর্ত্তরূরই উপাসনার নিষেধ হয়,কারণ উপাধি তাদের মতে মায়া হয় এবং মূর্ত্তত্ব ধর্ম মায়ায় হয় ব্রহ্মে নয়,এই অভিপ্রায় থেকে এই শ্লোকগুলিতে মায়ারূপের নিষেধ করা হয়েছে। তাৎপর্য এই যে,এই শ্লোকগুলিতে জড় পদার্থের উপাসনা নিষেধ করা হয়েছে এবং এই নিষেধ মূর্ত্তিমাত্রের উপলক্ষণ হয় অর্থাৎ কোনো মূর্ত্তি দ্বারা পরমেশ্বরের উপাসনা করা উচিত্ নয়,এই অভিপ্রায় থেকে বাণী আদির প্রকাশক ব্রহ্মকে কথন্ করা হয় অর্থাৎ বাগাদি ইন্দ্রিয় তাঁর থেকে প্রকাশিত হয়।। (ভাষ্যকার-শ্রী পণ্ডিত আর্যমুনি পরিব্রাজক)
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ