অনেজদিত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । ব্রহ্ম দেবতা । নিচৃৎ ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥
অনে॑জ॒দেকং॒ মন॑সো॒ জবী॑য়ো॒ নৈন॑দ্দে॒বাऽআ॑প্নুব॒ন্ পূর্ব॒মর্ষ॑ৎ ।তদ্ধাব॑তো॒ऽন্যানত্যে॑তি॒ তিষ্ঠ॒ত্তস্মি॑ন্ন॒পো মা॑ত॒রিশ্বা॑ দধাতি ॥ ৪ ॥
পদার্থঃ- হে বিদ্বন্ মনুষ্যগণ ! যিনি অদ্বিতীয় (অনেজৎ) অকম্পমান অর্থাৎ অচল নিজের অবস্থান হইতে সরিয়া আসাকে কম্পন বলে, তাহা হইতে রহিত (মনসঃ) মনের বেগ হইতেও (জবীয়ঃ) অতি বেগবান্ (পূর্বম্) সকলের পূর্বে (অর্ষৎ) চলিয়া অর্থাৎ যেখানে কেউ গমন করে সেখানে প্রথমেই সর্বত্র ব্যাপ্তি দ্বারা উপস্থিত ব্রহ্ম আছে (এনৎ) এই পূর্বোক্ত ঈশ্বরকে (দেবাঃ) চক্ষু আদি ইন্দ্রিয় (ন) না (আপ্লুবন্) প্রাপ্ত হয় (তৎ) সেই পরব্রহ্ম স্বয়ং (তিষ্ঠৎ) স্থির থাকিয়া নিজের অনন্ত ব্যাপ্তি দ্বারা (ধাবতঃ) বিষয়ের দিকে পতিত হইয়া (অন্যান্) আত্মার স্বরূপ হইতে বিলক্ষণ মন, বাণী আদি ইন্দ্রিয়দিগের (অতি, এতি) উল্লঙ্ঘন করিয়া যায় (তস্মিন্) সেই সর্বত্র অভিব্যাপ্ত ঈশ্বরের স্থিরতায় (মাতরিশ্বা) অন্তরিক্ষে প্রাণ সকলকে ধারণকারী বায়ুতুল্য জীব (অপঃ) কর্ম বা ক্রিয়াকে (দধাতি) ধারণ করে, এই জানিবে ॥ ৪ ॥
ভাবার্থঃ- ব্রহ্মার অনন্ত হওয়ায় যেখানে যেখানে মন গমন করে সেখানে প্রথম হইতেই অভিব্যাপ্ত, প্রথম হইতেই স্থির ব্রহ্ম বর্ত্তমান, তাহার বিজ্ঞান শুদ্ধ মন দ্বারা হয়, চক্ষু আদি ইন্দ্রিয় এবং অবিদ্বান্দের দ্বারা দেখিবার যোগ্য নহে । তিনি স্বয়ং নিশ্চল হইয়া সব জীবদেরকে নিয়মপূর্বক চালনা করেন এবং ধারণ করেন । তাঁহার অতিসূক্ষ্ম, ইন্দ্রিয়গম্য না হওয়ার কারণে ধর্মাত্মা বিদ্বান্ যোগীকেই তাঁহার সাক্ষাৎ জ্ঞান হয়, অন্যের নহে ॥ ৪ ॥
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ