যজুর্বেদ অধ্যায় ৩৬ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

08 August, 2023

যজুর্বেদ অধ্যায় ৩৬

 ॥ ও৩ম্ ॥

যজুর্বেদ ছত্রিশতম অধ্যায়
॥ অথ ষট্ত্রিংশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ॥

ওং বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ ऽ আ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥
অথ বিদ্বৎসঙ্গেন কিঞ্জায়ত ইত্যাহ ॥

এখন ছত্রিশতম অধ্যায়ের আরম্ভ করা হইতেছে । ইহার প্রথম মন্ত্রে বিদ্বান্দিগের সঙ্গ দ্বারা কী হয় এই বিষয়কে বলা হইতেছে ॥

ঋচমিত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । পংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বর ॥


ঋচং॒ বাচং॒ প্র প॑দ্যে॒ মনো॒ য়জুঃ॒ প্র প॑দ্যে॒

সাম॑ প্রা॒ণং প্র প॑দ্যে॒ চক্ষুঃ॒ শ্রোত্রং॒ প্র প॑দ্যে ।

বাগোজঃ॑ স॒হৌজো॒ ময়ি॑ প্রাণাপা॒নৌ ॥ ১ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যেমন (ময়ি) আমার আত্মায় (প্রাণাপানৌ) প্রাণ ও অপান উপর-নিম্নের শ্বাস দৃঢ় হউক, আমার (বাক্) বাণী (ওজঃ) মানসবলকে প্রাপ্ত হউক, সেই বাণী এবং সেইসব শ্বাসের (সহ) সঙ্গে আমি (ওজঃ) শরীর বলকে প্রাপ্ত হই । (ঋচম্) ঋগ্বেদ রূপ (বাচম্) বাণীকে (প্র, পদ্যে) প্রাপ্ত হই (মনঃ) মননকারীদের তুল্য (য়জুঃ) যজুর্বেদকে (প্র, পদ্যে) প্রাপ্ত হই (প্রাণম্) প্রাণের ক্রিয়া অর্থাৎ যোগাভ্যাসাদি উপাসনার সাধক (সাম) সামবেদকে প্রাপ্ত হই (চক্ষুঃ) উত্তম নেত্র এবং (শ্রোত্রম্) শ্রেষ্ঠ কানকে (প্র, পদ্যে) প্রাপ্ত হই সেইরূপ তোমরা এই সব প্রাপ্ত হও ॥ ১ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । হে বিদ্বান্গণ ! তোমাদের সঙ্গ দ্বারা আমার ঋগ্বেদের তুল্য প্রশংসনীয় বাণী, যজুর্বেদের সমান মন, সামবেদ সদৃশ প্রাণ এবং সপ্তদশ তত্ত্ব যুক্ত লিঙ্গ শরীর সুস্থ, সকল উপদ্রব হইতে রহিত ও সমর্থ হইবে ॥ ১ ॥

য়ন্মে ছিদ্রমিত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । বৃহস্পতির্দেবতা । নিচৃৎপংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

য়ন্মে॑ ছি॒দ্রং চক্ষু॑ষো॒ হৃদ॑য়স্য॒ মন॑সো॒ বাতি॑তৃণ্ণং॒ বৃহ॒স্পতি॑র্মে॒ তদ্দ॑ধাতু ।

শং নো॑ ভবতু॒ ভুব॑নস্য॒ য়স্পতিঃ॑ ॥ ২ ॥


পদার্থঃ- (য়ৎ) যাহা (মে) আমার (চক্ষুষঃ) নেত্রের অথবা (হৃদয়স্য) অন্তঃকরণের (ছিদ্রম্) নূ্যনতা (বা) বা (মনসঃ) মনের (অতিতৃষ্ণম্) ব্যাকুলতা (তৎ) তাহাকে (বৃহস্পতিঃ) বৃহৎ আকাশাদির পালক পরমেশ্বর (মে) আমার জন্য (দধাতু) পুষ্ট বা পূর্ণ করিবেন । (য়ঃ) যিনি (ভুবনস্য) সকল সংসারের (পতিঃ) রক্ষক তিনি (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) কল্যাণকারী (ভবতু) হইবেন ॥ ২ ॥

ভাবার্থঃ- সব মনুষ্যদেরকে উচিত যে, পরমেশ্বরের উপাসনা ও আজ্ঞাপালন দ্বারা অহিংসা ধর্মকে স্বীকার করিয়া জিতেন্দ্রিয়তাকে সিদ্ধ করিবে ॥ ২ ॥

ভূর্ভুবঃ স্বরিত্যস্য বিশ্বামিত্র ঋষিঃ । সবিতা দেবতা । পূর্বস্য দৈবী বৃহতী ছন্দঃ, তৎসবিতুরিত্যুত্তরস্য নিচৃদ্গায়ত্রী ছন্দঃ । মধ্যমষড্জৌ স্বরৌ ॥

ভূর্ভুবঃ॒ স্বঃ᳖ । তৎস॑বি॒তুর্বরে॑ণ্যং॒ ভর্গো॑ দে॒বস্য॑ ধীমহি ।

ধিয়ো॒ য়ো নঃ॑ প্রচো॒দয়া॑ৎ ॥ ৩ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যেমন আমরা (ভূঃ) কর্মকান্ডের বিদ্যা (ভুবঃ) উপাসনা কান্ডের বিদ্যা এবং (স্বঃ) জ্ঞানকান্ডের বিদ্যাকে সংগ্রহপূর্বক পড়িয়া (য়ঃ) যাহা (নঃ) আমাদের (ধিয়ঃ) ধারণাবতী বুদ্ধিদিগকে (প্রচোদয়াৎ) প্রেরণা করিবে সেই (দেবস্য) কামনার যোগ্য (সবিতুঃ) সমস্ত ঐশ্বর্য্যপ্রদাতা পরমেশ্বরের (তৎ) সেই ইন্দ্রিয় দ্বারা গ্রহণ না করার যোগ্য পরোক্ষ (বরেণ্যম্) স্বীকার করিবার যোগ্য (ভর্গঃ) সর্ব দুঃখের নাশক তেজঃস্বরূপের (ধীমহি) ধ্যান করি, সেইরূপ তুমিও ইহার ধ্যান কর ॥ ৩ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । যে মনুষ্য কর্ম, উপাসনা ও জ্ঞান সম্পর্কীয় বিদ্যাগুলির সম্যক গ্রহণ করিয়া সম্পূর্ণ ঐশ্বর্য্যযুক্ত পরমাত্মা সহ নিজের আত্মাকে যুক্ত করে তথা অধর্ম, অনৈশ্বর্য্য এবং দুঃখরূপ মল হইতে মুক্ত হইয়া ধর্ম, ঐশ্বর্য্য এবং সুখ প্রাপ্ত হয় তাহাদেরকে অন্তর্যামী জগদীশ্বর স্বয়ংই ধর্মের অনুষ্ঠান ও অধর্মের ত্যাগ করাইতে সর্বদা কামনা করে ॥ ৩ ॥

কয়া ন ইত্যস্য বামদেব ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

কয়া॑ নশ্চি॒ত্রऽ আ ভু॑বদূ॒তী স॒দাবৃ॑ধঃ॒ সখা॑ ।

কয়া॒ শচি॑ষ্ঠয়া বৃ॒তা ॥ ৪ ॥


পদার্থঃ- তিনি (সদাবৃধঃ) সর্বদা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অর্থাৎ কখনও নূ্যনতা প্রাপ্ত হন্ না (চিত্রঃ) আশ্চর্য্যরূপ গুণ, কর্ম, স্বভাবযুক্ত পরমেশ্বর (নঃ) আমাদিগের (কয়া) কোন্ (ঊতী) রক্ষণাদি ক্রিয়া দ্বারা (সখা) মিত্র (আ, ভুবৎ) হইবেন তথা (কয়া) কোন্ (বৃতা) বর্ত্তমান (শচিষ্ঠয়া) অত্যন্ত উত্তম বুদ্ধি দ্বারা আমাদিগকে শুভ গুণকর্ম স্বভাবে প্রেরণা করিবেন ॥ ৪ ॥

ভাবার্থঃ- আমরা এই কথাকে যথার্থ প্রকারে জানিনা যে, সেই ঈশ্বর কোন্ যুক্তি দ্বারা আমাদিগকে প্রেরণা দান করেন যে, যাহার সাহায্য দ্বারাই আমরা ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষকে সিদ্ধ করতে সমর্থ হইতে পারি ॥ ৪ ॥

কস্ত্বেত্যস্য বামদেব ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । নিচৃদ্গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

কস্ত্বা॑ স॒ত্যো মদা॑নাং॒ মꣳহি॑ষ্ঠো মৎস॒দন্ধ॑সঃ ।

দৃ॒ঢা চি॑দা॒রুজে॒ বসু॑ ॥ ৫ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! (মদানাম্) আনন্দের মধ্যে (মংহিষ্ঠঃ) অত্যন্ত বৃদ্ধি প্রাপ্ত (কঃ) সুখস্বরূপ (সত্যঃ) বিদ্যমান পদার্থ সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম প্রজার রক্ষক পরমেশ্বর (অন্ধসঃ) অন্নাদি পদার্থ দ্বারা (ত্বাম্) তোমাকে (মৎসৎ) আনন্দিত করেন এবং (আরুজে) দুঃখনাশক তোমার জন্য (চিৎ) ও (দৃঢা) দৃঢ় (বসু) ধনগুলি প্রদান করেন ॥ ৫ ॥

ভাবার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যিনি অন্নাদি ও সত্যের বিজ্ঞপ্তি দ্বারা ধনাদি পদার্থ প্রদান করিয়া সকলকে আনন্দিত করেন সেই সুখস্বরূপ পরমাত্মারই তোমরা নিত্য উপাসনা কর ॥ ৫ ॥

অভী ষু ণ ইত্যস্য বামদেব ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । পাদনিচৃদ্গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

অ॒ভী ষু ণঃ॒ সখী॑নামবি॒তা জ॑রিতৃৃ॒ণাম্ ।

শ॒তং ভ॑বাসূ্য॒তিভিঃ॑ ॥ ৬ ॥


পদার্থঃ- হে জগদীশ্বর ! (আপ) (শতম্) অসংখ্য ঐশ্বর্য্য প্রদান করিয়া (অভি, ঊতিভিঃ) সকল দিক দিয়া প্রবৃত্ত রক্ষাদি ক্রিয়া সকলের দ্বারা (নঃ) আমাদের (সখীনাম্) মিত্রবর্গ এবং (জরিতৃণাম্) সত্য স্তুতিকারীদের (অবিতা) রক্ষাকারী (সু, ভবাসি) সুন্দর প্রকার হউন, ইহা দ্বারা আপনি আমাদের সৎকার করিবার যোগ্য ॥ ৬ ॥

ভাবার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যিনি রাগদ্বেষরহিত, কাহারও সহিত বৈরতা রাখেন না অর্থাৎ সকলের সহিত মিত্রতা রাখেন, সব মিত্র মনুষ্যদিগকে অসংখ্য ঐশ্বর্য্য ও অধিকতর বিজ্ঞান প্রদান করিয়া সব দিক দিয়া রক্ষা করেন সেই পরমেশ্বরের নিত্য সেবা করিতে থাক ॥ ৬ ॥

কয়া ত্বমিত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । বর্দ্ধমানা গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জ স্বরঃ ॥

কয়া॒ ত্বং ন॑ऽ ঊ॒ত্যাভি প্র ম॑ন্দসে বৃষন্ ।

কয়া॑ স্তো॒তৃভ্য॒ऽ আ ভ॑র ॥ ৭ ॥


পদার্থঃ- হে (বৃষন্) সব দিক দিয়া সুখবর্ষণকারী ঈশ্বর (ত্বম্) আপনি (কয়া) কোন্ (ঊত্যা) রক্ষণাদি ক্রিয়া দ্বারা (নঃ) আমাদেরকে (অভি, প্র, মন্দসে) সব দিক দিয়া আনন্দিত করেন এবং (কয়া) কোন্ রীতি দ্বারা (্তোতৃভ্যঃ) আপনার প্রশংসাকারী মনুষ্যদিগের জন্য সুখকে (আ, ভর) উত্তম প্রকার ধারণ করেন ॥ ৭ ॥

ভাবার্থঃ- হে ভগবন্ পরমাত্মন্ ! যে যুক্তি দ্বারা আপনি ধর্মাত্মাদিগকে আনন্দিত করেন, তাহাদিগকে সব দিক দিয়া রক্ষা করেন, সেই যুক্তি আমাদিগকে বোধ উৎপন্ন করুক ॥ ৭ ॥

ইন্দ্র ইত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । দ্বিপাদ্বিরাড্ গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

ইন্দ্রো॒ বিশ্ব॑স্য রাজতি ।

শন্নো॑ऽঅস্তু দ্বি॒পদে॒ শং চতু॑ষ্পদে ॥ ৮ ॥


পদার্থঃ- হে জগদীশ্বর ! আপনি (ইন্দ্র) বিদ্যুতের ন্যায় (বিশ্বস্য) সংসারের মধ্যে (রাজতি) প্রকাশমান, সেই আপনার কৃপা বলে (নঃ) আমাদের (দ্বিপদে) পুত্রাদির জন্য (শম্) সুখ (অস্তু) হউক এবং আমাদের (চতুষ্পদে) গো আদির জন্য (শম্) সুখ হউক ॥ ৮ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । হে জগদীশ্বর ! যদ্দ্বারা আপনি সর্বত্র সব দিক দিয়া অভিব্যাপ্ত মনুষ্য, পশ্বাদির সুখ কামনাকারী, এইজন্য সকলের উপাসনা করিবার যোগ্য ॥ ৮ ॥

শন্ন ইত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । মিত্রাদয়ো লিঙ্গোক্তা দেবতাঃ । নিচৃদনুষ্টুপ্ ছন্দঃ । গান্ধারঃ স্বরঃ ॥


শন্নো॑ মি॒ত্রঃ শং বর॑ুণঃ॒ শন্নো॑ ভবত্বর্য়॒মা ।

শন্ন॒ऽ ইন্দ্রো॒ বৃহ॒স্পতিঃ॒ শন্নো॒ বিষ্ণু॑রুরুক্র॒মঃ ॥ ঌ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যেমন (নঃ) আমাদের জন্য (মিত্রঃ) প্রাণতুল্য প্রিয় মিত্র (শম্) সুখকারী (ভবতু) হউক, (বরুণঃ) জলের সমান শান্তিদাতা ব্যক্তি (শম্) সুখকারী হউক, (অর্য়মা) পদার্থসমূহের স্বামী অথবা বৈশ্যদিগকে মান্যকারী ন্যায়াধীশ (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) কল্যাণকারী হউক (ইন্দ্রঃ) পরম ঐশ্বর্য্যবান্ (বৃহস্পতিঃ) মহতী বেদরূপ বাণীর রক্ষক বিদ্বান্ (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) কল্যাণকারী হউক এবং (উরুক্রম্ঃ) সংসারের রচনায় বহু শীঘ্রতাকারী (বিষ্ণুঃ) ব্যাপক ঈশ্বর (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) কল্যাণকারী হউক সেইরূপ আমাদের জন্যও হউক ॥ ঌ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । মনুষ্যদিগের উচিত যে, যেমন নিজের জন্য সুখ কামনা করিবে সেইরূপ অপরের জন্যও কামনা করিবে এবং যেমন স্বয়ং সৎসঙ্গ করিতে ইচ্ছুক তদ্রূপ ইহাতে অন্যলোকদেরকেও প্রেরণা দিতে থাকিবে ॥ ঌ ॥

শন্নো বাত ইত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । বাতাদয়ো দেবতাঃ । বিরাডনুষ্টুপ্ ছন্দঃ । গান্ধারঃ স্বরঃ ॥

শন্নো॒ বাতঃ॑ পবতা॒ᳬশন্ন॑স্তপতু॒ সূর্য়ঃ॑ ।

শন্নঃ॒ কনি॑ক্রদদ্দে॒বঃ প॒র্জন্যো॑ऽঅ॒ভি ব॑র্ষতু ॥ ১০ ॥


পদার্থঃ- হে পরমেশ্বর বা বিদ্বান্ পুরুষ ! যেমন (বাতঃ) পবন (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) সুখকারী (পবতাম্) গমন করে, (সূর্য়্যঃ) সূর্য্য (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) সুখকর ভাবে (তপতু) তপ্ত হয়, (কনিক্রদৎ) অত্যন্ত শব্দ করিয়া (দেবঃ) উত্তম গুণযুক্ত বিদ্যুৎরূপ অগ্নি (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) কল্যাণকারী হয় এবং (পর্জন্যঃ) মেঘ আমাদের জন্য (অভি, বর্ষতু) সব দিক দিয়া বর্ষা করে, সেইরূপ আমাদেরকে শিক্ষা প্রদান করুন ॥ ১০ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । হে মনুষ্যগণ ! যে প্রকারে বায়ু, সূর্য্য, বিদ্যুৎ ও মেঘ সকলের জন্য সুখকর হয়, সেইরূপ অনুষ্ঠান করিতে থাক ॥ ১০ ॥

অহানি শমিত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । লিঙ্গোক্তা দেবতাঃ । অতিশক্বরী ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

অহা॑নি॒ শং ভব॑ন্তু নঃ॒ শꣳ রাত্রীঃ॒ প্রতি॑ ধীয়তাম্ ।

শন্ন॑ऽ ইন্দ্রা॒গ্নী ভ॑বতা॒মবো॑ভিঃ॒ শন্ন॒ऽ ইন্দ্রা॒বর॑ুণা রা॒তহ॑ব্যা ।

শন্ন॑ऽ ইন্দ্রাপূ॒ষণা॒ বাজ॑সাতৌ॒ শমিন্দ্রা॒সোমা॑ সুবি॒তায়॒ শংয়োঃ ॥ ১১ ॥


পদার্থঃ- হে পরমেশ্বর বা বিদ্বান্ ব্যক্তি! যেমন (অবোভিঃ) রক্ষাদি সহ (শংয়োঃ) সুখের (সুবিতায়) প্রেরণার জন্য (নঃ) আমাদের জন্য (অহানি) দিন (শম্) সুখকারী (ভবন্তু) হউক (রাত্রীঃ) রাতগুলি (শম্) কল্যাণের (প্রতি) প্রতি (ধীয়তাম্) আমাদের ধারণ করিবে । (ইন্দ্রাগ্নী) বিদ্যুৎ ও প্রত্যক্ষ অগ্নি (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) সুখকারী (ভতাম্) হউক (রাতহব্যা) গ্রহণ করিবার যোগ্য সুখ যাহা হইতে প্রাপ্ত হইয়াছে সেই (ইন্দ্রাবরুণা) বিদ্যুৎ ও জল (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) সুখকারী হউক (বাজসাতৌ) অন্নের সেবন হেতু সংগ্রামে (ইন্দ্রাপূষণা) বিদ্যুৎ ও পৃথিবী (নঃ) আমাদের জন্য (শম্) সুখকারী হউক এবং (ইন্দ্রাসোমা) বিদ্যুৎ ও ঔষধি সকল (শম্) সুখকারিনী হউক সেইরূপ আপনি অনুকূল শিক্ষা দিবেন ॥ ১১ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । হে মনুষ্যগণ ! যে ঈশ্বর ও আপ্ত সত্যবাদী বিদ্বান্গণের শিক্ষায় আপনারা প্রবৃত্ত থাকিবেন তাহা হইলে দিন-রাত আপনাদের ভুমি আদি সকল পদার্থ সুখকারী হইবে ॥ ১১ ॥

শং নো দেবীরিত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । আপো দেবতাঃ । গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

শং নো॑ দে॒বীর॒ভিষ্ট॑য়॒ऽআপো॑ ভবন্তু পী॒তয়ে॑ ।

শংয়োর॒ভি স্র॑বন্তু নঃ ॥ ১২ ॥


পদার্থঃ- হে জগদীশ্বর বা বিদ্বন্ ! যেমন (অভিষ্টয়ে) ইষ্ট সুখের সিদ্ধি হেতু (পীতয়ে) পান করিবার জন্য (দেবীঃ) দিব্য উত্তম (আপঃ) জল (নঃ) আমাদেরকে (শম্) সুখকারী (ভবন্তু) হউক (নঃ) আমাদের জন্য (শংয়োঃ) সুখের বৃষ্টি (অভি, স্রবন্তু) সব দিক দিয়া করুক সেইরূপ উপদেশ কর ॥ ১২ ॥

ভাবার্থঃ- যে সব মনুষ্য যজ্ঞাদি দ্বারা শুদ্ধ জলাদি পদার্থের সেবন করে তাহাদের উপর সুখরূপী অমৃতের বর্ষা নিরন্তর হইতে থাকে ॥ ১২ ॥

স্যোনেত্যস্য মেধাতিথির্ঋষিঃ । পৃথিবী দেবতা । পিপীলিকা মধ্যা নিচৃদ্গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

নাভ্যা॑ऽআসীদ॒ন্তরি॑ক্ষꣳ শী॒র্ষ্ণো দ্যৌঃ সম॑বর্ত্তত ।

প॒দ্ভ্যাং ভূমি॒র্দিশঃ॒ শ্রোত্রা॒ত্তথা॑ লো॒কাঁ২ ॥ ऽঅ॑কল্পয়ন্ ॥ ১৩ ॥


পদার্থঃ- হে পৃথিবী তুল্য বর্ত্তমান ক্ষমাশীল স্ত্রী ! যেমন (অনৃক্ষরা) কন্টকগর্ত্তাদি-রহিত (নিবেশনী) নিত্য স্থির পদার্থ সমূহকে স্থাপনাকারিণী (পৃথিবী) ভূমি (নঃ) আমাদের জন্য হয়, সেইরূপ তুমি (ভব) হও, সেই পৃথিবী (সপ্রথাঃ) বিস্তার সহ বর্ত্তমান (নঃ) আমাদের জন্য (শর্ম) স্থান দিবে, সেইরূপ (স্যোনা) সুখকারিণী তুমি (নঃ) আমাদের জন্য গৃহের সুখকে (য়চ্ছ) দাও ॥ ১৩ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । যেমন সকল প্রাণিদিগকে সুখ, ঐশ্বর্য্য প্রদানকারিণী পৃথিবী বর্ত্তমান, সেইরূপ বিদুষী পতিব্রতা স্ত্রী পতি আদিকে আনন্দ দাত্রী হইয়া থাকে ॥ ১৩ ॥

আপ ইত্যস্য সিন্ধুদ্বীপ ঋষিঃ । আপো দেবতাঃ । গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

আপো॒ হি ষ্ঠা ম॑য়ো॒ভুব॒স্তা ন॑ऽ ঊ॒র্জে দ॑ধাতন ।

ম॒হে রণা॑য়॒ চক্ষ॑সে ॥ ১৪ ॥


পদার্থঃ- হে (আপঃ) জলের তুল্য শান্তিশীল বিদুষী শ্রেষ্ঠ স্ত্রীগণ ! যেমন (ময়োভুবঃ) সুখ উৎপন্নকারী জল (হি) যে কারণে (নঃ) আমাদিগকে (মহে) বৃহৎ (রণায়, চক্ষসে) প্রসিদ্ধ সংগ্রাম হেতু অথবা (ঊর্জে) বল পরাক্রমের জন্য ধারণ বা পোষণ করিবে সেইরূপ ইহাদেরকে তোমরা (দধাতন) ধারণ কর এবং প্রিয় (স্থ) হও ॥ ১৪ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । যেমন শ্রেষ্ঠ পতিব্রতা স্ত্রী সব দিক দিয়া সকলকে সুখী করে তদ্রূপ জলাদি পদার্থ সকলের সুখকারী হয়, এই রকম জানিবে ॥ ১৪ ॥

য়ো ব ইত্যস্য সিন্ধুদ্বীপ ঋষিঃ । আপো দেবতাঃ । গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

য়ো বঃ॑ শি॒বত॑মো॒ রস॒স্তস্য॑ ভাজয়তে॒হ নঃ॑ ।

উ॒শ॒তীরি॑ব মা॒তরঃ॑ ॥ ১৫ ॥


পদার্থঃ- হে শ্রেষ্ঠ স্ত্রীগণ ! (য়ঃ) যে (বঃ) তোমার (শিবতমঃ) অতিশয় কল্যাণকারী (রসঃ) আনন্দবর্দ্ধক স্নেহরূপ রস (তস্য) তাহার (ইহ) এই জগতে (নঃ) আমাদেরকে (উশতীরিব, মাতরঃ) পুত্রের কামনাকারিণী মাতাদের তুল্য (ভাজয়ত) সেবা করাও ॥ ১৫ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে উপমালঙ্কার আছে । যদি হোমাদি দ্বারা জল শুদ্ধ করা হয় তাহা হইলে এই সব মাতা, যেমন সন্তানবান্ পতিব্রতা স্ত্রীগণ স্বীয় পতিদেরকে সুখী করে, সেইরূপ সকল প্রাণীদেরকে সুখী করে ॥ ১৫ ॥

তস্মা ইত্যস্য সিন্ধুদ্বীপ ঋষিঃ । আপো দেবতাঃ । গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

তস্মা॒ऽ অরং॑ গমাম বো॒ য়স্য॒ ক্ষয়া॑য়॒ জিন্ব॑থ ।

আপো॑ জ॒নয়॑থা চ নঃ ॥ ১৬ ॥


পদার্থঃ- হে স্ত্রীগণ ! যেমন তোমরা (নঃ) আমাদিগকে (আপঃ) জলের তুল্য শান্ত (জনয়থ) প্রকাশ কর, সেইরূপ (বঃ) তোমাদিগকে আমরা শান্ত প্রকাশ করি (চ) এবং তোমরা (য়স্য) যে পতির (ক্ষয়ায়) নিবাস হেতু (জিন্বথ) তাহাকে তৃপ্ত কর (তস্মৈ) তাহার জন্য আমরা (অরম্) পূর্ণ সামর্থ্যযুক্ত (গমাম) প্রাপ্ত হইব ॥ ১৬ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । স্ত্রী-পুরুষদিগের উচিত যে, পরস্পর আনন্দহেতু জলের সমান সারল্যপূর্বক আচরণ করিবে এবং শুভ আচরণ সহ পরস্পর সুশোভিতই থাকবে ॥ ১৬ ॥

দ্যৌরিত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । ঈশ্বরো দেবতা । ভুরিক্ছক্বরী ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

দ্যৌঃ শান্তি॑র॒ন্তরি॑ক্ষ॒ꣳ শান্তিঃ॑ পৃথি॒বী শান্তি॒রাপঃ॒ শান্তি॒রোষ॑ধয়ঃ॒ শান্তিঃ॑ । বন॒স্পত॑য়ঃ॒ শান্তি॒র্বিশ্বে॑ দে॒বাঃ শান্তি॒র্ব্রহ্ম॒ শান্তিঃ॒ সর্ব॒ꣳ শান্তিঃ॒ শান্তি॑রে॒ব শান্তিঃ॒ সা মা॒ শান্তি॑রেধি ॥ ১৭ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যে (দ্যৌঃ, শান্তিঃ) প্রকাশযুক্ত পদার্থ শান্তিকারক (অন্তরিক্ষম্) উভয় লোকের মধ্যেকার আকাশ (শান্তিঃ) শান্তিকারী (পৃথিবী) ভূমি (শান্তিঃ) সুখকারী নিরুপদ্রব (আপঃ) জল বা প্রাণ (শান্তি) শান্তিদায়ী (ওষধয়ঃ) সোমলতাদি ওষধিসকল (শান্তিঃ) সুখদায়ী (বনস্পতয়ঃ) বটাদি বনস্পতি (শান্তিঃ) শান্তিকারক (বিশ্বে, দেবাঃ) সব বিদ্বান্গণ (শান্তি) উপদ্রবনিবারক (ব্রহ্ম) পরমেশ্বর বা বেদ (শান্তিঃ) সুখদায়ী (সর্বম্) সম্পূর্ণ বস্তু (শান্তিঃ) শান্তিকারক (শান্তিরেব) শান্তিই (শান্তিঃ) শান্তি (মা) আমাকে (এধি) প্রাপ্ত হউক (সা) সেই (শান্তিঃ) শান্তি তোমাদের জন্যও প্রাপ্ত হউক ॥ ১৭ ॥

ভাবার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যেমন প্রকাশাদি পদার্থ শান্তিকারী হইবে, সেইরূপ তোমরা প্রচেষ্টা কর ॥ ১৭ ॥

দৃত ইত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । ঈশ্বরো দেবতা । ভুরিগ্ জগতী ছন্দঃ । নিষাদঃ স্বরঃ ॥

দৃতে॒ দৃꣳহ॑ মা মি॒ত্রস্য॑ মা॒ চক্ষু॑ষা॒ সর্বা॑ণি ভূ॒তানি॒ সমী॑ক্ষন্তাম্ ।

মি॒ত্রস্যা॒ऽহং চক্ষু॑ষা॒ সর্বা॑ণি ভূ॒তানি॒ সমী॑ক্ষে ।

মি॒ত্রস্য॒ চক্ষু॑ষা॒ সমী॑ক্ষামহে ॥ ১৮ ॥


পদার্থঃ- হে (দৃতে) অবিদ্যারূপী অন্ধকারের নিবারক জগদীশ্বর বা বিদ্বান্ ! যাহাতে (সর্বাণি) সকল (ভূতানি) প্রাণী (মিত্রস্য) মিত্রের (চক্ষুষা) দৃষ্টি দিয়া (মা) আমাকে (সম, ঈক্ষতাম্) সম্যক্ দেখুক, (অহম্) আমি (মিত্রস্য) মিত্রের (চক্ষুষা) দৃষ্টি দিয়া (সর্বাণি, ভূতানি) সকল প্রাণিদিগকে (সমীক্ষে) সম্যক্ দেখি, এইভাবে সব আমরা পরস্পর (মিত্রস্য) মিত্রের (চক্ষুষা) দৃষ্টি দিয়া (সমীক্ষামহে) দেখি, এই বিষয়ে আমাদেরকে (দৃংহ) দৃঢ় করুন ॥ ১৮ ॥

ভাবার্থঃ- তাহারাই ধর্মাত্মা যাহারা স্বীয় আত্মার সদৃশ সম্পূর্ণ প্রাণিদিগকে মান্য করে, কাহারও প্রতি দ্বেষ না করে এবং মিত্রের সদৃশ সকলের সৎকার করে ॥ ১৮ ॥

দৃতে দৃꣳহ মেত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । ঈশ্বরো দেবতা । পাদনিচৃদ্গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

দৃতে॒ দৃꣳহ॑ মা॒ জ্যোক্তে॑ সং॒দৃশি॑ জীব্যাসং॒ জ্যোক্তে॑ সং॒দৃশি॑ জীব্যাসম্ ॥ ১ঌ ॥


পদার্থঃ- হে (দৃতে) সমগ্র মোহের আবরণের নাশকারী উপদেশক বিদ্বন্ বা পরমেশ্বর! যন্মধ্যে (তে) আপনার (সংদৃশি) সম্যক্ দেখিতে বা জ্ঞানে (জ্যোক্) নিরন্তর (জীব্যাসম্) জীবন ধারণ করিবে, (তে) আপনার (সংদৃশি) সমান দৃষ্টি বিষয়ে (জ্যোক্) নিরন্তর (জীব্যাসম্) জীবন ব্যতীত করিবে, সেই জীবন বিষয়ে (মা) আমাকে (দৃংহ) দৃঢ় করুন ॥ ১ঌ ॥

ভাবার্থঃ- মনুষ্যদিগের উচিত যে, ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন এবং যুক্ত আহার-বিহারের দ্বারা শত বর্ষ পর্য্যন্ত জীবনের উপায় করিবে ॥ ১ঌ ॥

নমস্তে হরস ইত্যস্য লোপামুদ্রা ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । ভুরিগ্ বৃহতী ছন্দঃ । মধ্যমঃ স্বরঃ ॥

নম॑স্তে॒ হর॑সে শো॒চিষে॒ নম॑স্তেऽঅস্ত্ব॒র্চিষে॑ ।

অ॒ন্যাঁস্তে॑ऽঅ॒স্মত্ত॑পন্তু হে॒তয়ঃ॑ পাব॒কোऽঅ॒স্মভ্য॑ꣳশি॒বো ভ॑ব ॥ ২০ ॥


পদার্থঃ- হে ভগবন্ ঈশ্বর ! (হরসে) পাপ হরণকারী (শোচিষে) প্রকাশক (তে) আপনার জন্য (নমঃ) নমস্কার তথা (অর্চিষে) স্তুতির যোগ্য (তে) আপনার জন্য (নমঃ) নমস্কার (অস্তু) প্রাপ্ত হউক (তে) আপনার (হেতয়ঃ) বজ্র তুল্য অবিনাশী ব্যবস্থা (অস্মৎ) আমাদের হইতে (অন্যান্) ভিন্ন অন্যায়ী শত্রুদিগকে (তপন্তু) দুঃখ দিবেন, আপনি (অস্মভ্যম্) আমাদের জন্য (পাবকঃ) পবিত্রকর্ত্তা (শিবঃ) কল্যাণকারী (ভব) হউন ॥ ২০ ॥

ভাবার্থঃ- হে পরমেশ্বর ! আমরা আপনার শুভ গুণ, কর্ম্ম, স্বভাবের তুল্য নিজের গুণ, কর্ম্ম, স্বভাব করিবার জন্য আপনাকে নমস্কার করি এবং ইহা নিশ্চিত জানি যে, অধর্মীদেরকে আপনার শিক্ষা পীড়া এবং ধর্মাত্মাদেরকে আনন্দিত করে । এইজন্য মঙ্গলস্বরূপ আপনারই আমরা উপাসনা করি ॥ ২০ ॥

নমস্ত ইত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । ঈশ্বরো দেবতা । নিচৃদনুষ্টুপ্ ছন্দঃ । গান্ধারঃ স্বরঃ ॥

নম॑স্তেऽঅস্তু বি॒দ্যুতে॒ নম॑স্তে স্তনয়ি॒ত্নবে॑ ।

নম॑স্তে ভগবন্নস্তু॒ য়তঃ॒ স্বঃ᳖ স॒মীহ॑সে ॥ ২১ ॥


পদার্থঃ- হে (ভগবন্) অনন্ত ঐশ্বর্য্যযুক্ত পরমেশ্বর (য়তঃ) যে কারণে আপনি আমাদের জন্য (স্বঃ) সুখ দেওয়ার জন্য (সমীহসে) সম্যক্ চেষ্টা করেন, এইজন্য (বিদ্যুতে) বিদ্যুতের সমান অভিব্যাপ্ত (তে) আপনার জন্য (নমঃ) নমস্কার (অস্তু) হউক, (স্তনয়িত্নবে) অধিকতর গর্জনকারী বিদ্যুৎ তুল্য দুষ্টদিগকে ভয়দাতা (তে) আপনার জন্য (নমঃ) নমস্কার (অস্তু) হউক এবং সকলের সব প্রকার রক্ষাকারী (তে) আপনার জন্য (নমঃ) নিরন্তর নমস্কার করি ॥ ২১ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে, হে মনুষ্যগণ ! যে কারণে ঈশ্বর আমাদের জন্য সর্বদা আনন্দের জন্য সব সাধন-উপসাধন সমূহকে প্রদান করে, এইজন্য তিনি আমাদের দ্বারা সেবা করিবার যোগ্য ॥ ২১ ॥

য়তোয়ত ইত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । ঈশ্বরো দেবতা । ভুরিগুষ্ণিক্ ছন্দঃ । ঋষভঃ স্বরঃ ॥

য়তো॑য়তঃ স॒মীহ॑সে॒ ততো॑ নো॒ऽঅভ॑য়ং কুরু ।

শং নঃ॑ কুরু প্র॒জাভ্যোऽভ॑য়ং নঃ প॒শুভ্যঃ॑ ॥ ২২ ॥


পদার্থঃ- হে ভগবন্ ঈশ্বর ! আপনি আপনার কৃপাকটাক্ষ দ্বারা (য়তোয়তঃ) যে যে স্থান হইতে (সমীহসে) সম্যক্ চেষ্টা করেন (ততঃ) সেই স্থান হইতে (নঃ) আমাদিগকে (অভয়ম্) ভয়রহিত (কুরু) করুন (নঃ) আমাদের (প্রজাভ্যঃ) প্রজাদের হইতে এবং (নঃ) আমাদের (পশুভ্যঃ) গাভি আদি পশুসমূহ হইতে (শম্) সুখ এবং (অভয়ম্) নির্ভয় (কুরু) করুন ॥ ২২ ॥

ভাবার্থঃ- হে পরমেশ্বর ! আপনি যে কারণে সকলের মধ্যে অভিব্যাপ্ত, ইহাতে আমাদেরকে এবং অন্যকে সকল কাল ও সকল দেশে সকল প্রাণিদের হইতে নির্ভয় করুন ॥ ২২ ॥

সুমিত্রিয়েত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । সোমো দেবতা । নিচৃদনুষ্টুপ্ ছন্দঃ । গান্ধারঃ স্বরঃ ॥

সু॒মি॒ত্রি॒য়া ন॒ऽআপ॒ऽওষ॑ধয়ঃ সন্তু দুর্মিত্রি॒য়াস্তস্মৈ॑ সন্তু॒ ।
য়ো᳕ऽস্মান্ দ্বেষ্টি॒ য়ং চ॑ ব॒য়ং দ্বি॒ষ্মঃ ॥ ২৩ ॥

পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যে এই সব (আপঃ) প্রাণ বা জল (ওষধয়ঃ) যবাদি ওষধি সকল (নঃ) আমাদের জন্য (সুমিত্রিয়াঃ) সুন্দর মিত্রের সমান বর্ত্তমান (সন্তু) হইবে তাহারাই (য়ঃ) যাহারা অধর্মী (অস্মান্) আমা ধর্মাত্মা সকলের সহিত (দ্বেষ্টি) দ্বেষ করে (চ) এবং (য়ম্) যাহার সহিত (বয়ম্) আমরা (দ্বিষ্মঃ) দ্বেষ করি (তস্মৈ) তাহার জন্য (দুর্মিত্রিয়াঃ) শত্রুতুল্য বিরুদ্ধ (সন্তু) হউক ॥ ২৩ ॥

ভাবার্থঃ- যেমন আনুকূল্য সহ বিজিত ইন্দ্র মিত্রবৎ হিতকারী হয়, সেইরূপ জলাদি পদার্থ ও দেশকালের অনুকূল যথোচিত সেবন কৃত হিতকারী এবং বিরুদ্ধ সেবন কৃত শত্রু তুল্য দুঃখদায়ী হয় ॥ ২৩ ॥

তচ্চক্ষুরিত্যস্য দধ্যঙ্ঙাথর্বণ ঋষিঃ । সূর্য়ো দেবতা । ভুরিগ্ ব্রাহ্মী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

তচ্চক্ষু॑র্দে॒বহি॑তং পু॒রস্তা॑চ্ছু॒ক্রমুচ্চ॑রৎ । পশ্যে॑ম শ॒রদঃ॑ শ॒তং জীবে॑ম শ॒রদঃ॑ শ॒তꣳ শৃণু॑য়াম শ॒রদঃ॑ শ॒তং প্র ব্র॑বাম শ॒রদঃ॑ শ॒তমদী॑নাঃ স্যাম শ॒রদঃ॑ শ॒তং ভূয়॑শ্চ শ॒রদঃ॑ শ॒তাৎ ॥ ২৪ ॥

পদার্থঃ- হে পরমেশ্বর ! আপনি যে (দেবহিতম্) বিদ্বান্দিগের জন্য হিতকারী (শুক্রম্) শুদ্ধ (চক্ষুঃ) নেত্রতুল্য সর্বদর্শক (পুরস্তাৎ) পূর্বকাল অর্থাৎ অনাদি কাল হইতে (উৎচরৎ) উৎকৃষ্টতা সহ সকলের জ্ঞাতা, (তৎ) সেই চেতন ব্রহ্ম আপনাকে (শতম্, শরদঃ) শতবর্ষ পর্যন্ত (পশ্যেম) দেখিব, (শতম্, শরদঃ) শত বর্ষ পর্যন্ত (জীবেম) প্রাণসকলকে ধারণ করিব, বাঁচিব, (শতম্, শরদঃ) শতবর্ষ পর্য্যন্ত (শৃণুয়াম) শাস্ত্র বা মঙ্গল বচনগুলিকে শ্রবণ করিব (শতম্, শরদঃ) শত বর্ষ পর্য্যন্ত (প্রব্রয়াম) পড়াইব বা উপদেশ করিব (শতম, শরদঃ) শত বর্ষ পর্য্যন্ত (অদীনাঃ) দীনতারহিত (স্যাম) হইব (চ) এবং (শতাৎ, শরদঃ) শতবর্ষ হইতে (ভূয়ঃ) অধিকও দেখিব, বাঁচিব, শুনিব, পড়িব, উপদেশ করিব এবং অদীন থাকিব ॥ ২৪ ॥

ভাবার্থঃ- হে পরমেশ্বর ! আপনার কৃপা ও আপনার বিজ্ঞান বলে আপনার রচনাকে দেখিয়া আপনার সঙ্গে যুক্ত নীরোগ ও সাবধান হইয়া আমরা সমস্ত ইন্দ্রিয় দ্বারা যুক্ত শতবর্ষ অপেক্ষা অধিক বাঁচিব, সত্য শাস্ত্র ও আপনার গুণকে শুনিব, বেদাদিকে পড়াইব, সত্যের উপদেশ করিব, কখনও কোন বস্তু বিনা পরাধীন না হই, সর্বদা স্বতন্ত্র হইয়া নিরন্তর আনন্দ ভোগ করি এবং এবং অন্যকে আনন্দিত করি ॥ ২৪ ॥

এই অধ্যায়ে পরমেশ্বরের প্রার্থনা, (সদ্গুণাবাপ্তি) সকলের সুখের আভাস, পরস্পর মিত্রতা করিবার প্রয়োজনীয়তা, দিনচর্য্যার শোধন, ধর্মের লক্ষণ, ব্যবস্থার বৃদ্ধি করা এবং পরমেশ্বর কে জানা বলা হইয়াছে, ইহাতে এই অধ্যায়ের অর্থের পূর্ব অধ্যায়ে কথিত অর্থ সহ সঙ্গতি আছে, এইরূপ জানিবে ॥

ইতি শ্রীমৎপরমহংসপরিব্রাজকাচার্য়াণাং পরমবিদুষাং শ্রীয়ুতবিরজানন্দসরস্বতীস্বামিনাং শিষ্যেণ পরমহংসপরিব্রাজকাচার্য়েণ শ্রীমদ্দয়ানন্দসরস্বতীস্বামিনা নির্মিতে সুপ্রমাণয়ুক্তে সংস্কৃতার্য়্যভাষাভ্যাং বিভূষিতে য়জুর্বেদভাষ্যে ষট্ত্রিংশোऽধ্যায়ঃ পূর্ত্তিমগাৎ ॥


No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ