যজুর্বেদ অধ্যায় ৩৯ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

08 August, 2023

যজুর্বেদ অধ্যায় ৩৯

যজুর্বেদ একোনচত্বারিংশত্তমোঅধ্যায়

 ॥ ও৩ম্ ॥
॥ অথৈকোনচত্বাারিংশোऽধ্যায় আরভ্যতে ॥

ওঁ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ ऽ আ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥

অথান্ত্যেষ্টিকর্মবিষয়মাহ ॥
এখন ঊনচল্লিশতম অধ্যায়ের আরম্ভ । ইহার প্রথম মন্ত্রে অন্ত্যেষ্টি কর্ম্মের বিষয় বলা হইতেছে ॥

স্বাহা প্রাণেভ্য ইত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । প্রাণাদয়ো লিঙ্গোক্তা দেবতাঃ ।পংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

স্বাহা॑ প্রা॒ণেভ্যঃ॒ সাধি॑পতিকেভ্যঃ । 

পৃ॒থি॒ব্যৈ স্বাহা॒ऽগ্নয়ে॒ স্বাহা॒ऽন্তরি॑ক্ষায়॒ স্বাহা॑ বা॒য়বে॒ স্বাহা॑ দি॒বে স্বাহা॒ সূর্য়া॑য়॒ স্বাহা॑ ॥ যজু০ ৩৯।১


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! তোমাদের উচিত যে, (সাধিপতিকেভ্যঃ) ইন্দ্রিয়াদির অধিপতি জীবসহ বর্ত্তমান (প্রাণেভ্যঃ) জীবনতুল্য প্রাণসমূহের জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (পৃথিব্যৈ) ভূমির জন্য (স্বাহা) সত্যবাণী (অগ্নয়ে) অগ্নির জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (অন্তরিক্ষায়) আকাশে গমনের জন্য (স্বাহা) সত্যবাণী (বায়বে) বায়ুর প্রাপ্তির জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (দিবে) বিদ্যুৎ প্রাপ্তির জন্য (স্বাহা) সত্যবাণী এবং (সূর্য়্যায়) সূর্য্যমন্ডলের প্রাপ্তি হেতু (স্বাহা) সত্যক্রিয়াকে যথাবৎ সংযুক্ত কর ॥ 

ভাবার্থঃ- এই অধ্যায়ে অন্ত্যেষ্টি কর্মের বর্ণনা আছে যাহাকে নরমেধ, পুরুষমেধ এবং দাহকর্মও বলে । যখন কোন মনুষ্য মারা যায় তখন শরীরের সমান ওজনের ঘৃত লইয়া তাহার মধ্যে প্রতি সের এক রতি কস্তুরী, এক মাষা কেশর এবং চন্দনাদি কাষ্ঠকে যথাযোগ্য সতর্কতার সহিত যত ঊর্ধ্ববাহু পুরুষ হইবে তত দৈর্ঘ্য, সাড়ে তিন হাত প্রস্থ এবং ততখানি গভীর, এক বিঘৎ নীচে তলায়, বেদী তৈয়ারী করিয়া তাহাতে নিম্ন হইতে অর্দ্ধেক পর্য্যন্ত সমিধা পূর্ণ করিয়া, তাহার উপর শব রাখিয়া, পুনঃ শবের এদিক সেদিক এবং উপরে উত্তম প্রকার সমিধা নির্বাচন করিয়া, বক্ষঃস্থলাদিতে কর্পূর রাখিয়া, কর্পূর দ্বারা অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করিয়া, চিতায় প্রবেশ করিয়া যখন অগ্নি প্রজ্জ্বলিত হয় তখন এই অধ্যায়ের এই স্বাহান্ত মন্ত্রগুলির বারবার আবৃত্তি দ্বারা ঘৃতের হোম করিয়া শবকে সম্যক্ প্রজ্জ্বলিত করিবে । এই প্রকার করিলে দাহকারীদিগকে যজ্ঞকর্মের ফলের প্রাপ্তি হয় এবং শবকে কখনও ভূমিতে পুতিবে না, না বনে-জঙ্গলে ফেলিবে, না জলে ডোবাইবে । দাহ না করিলে আত্মীয় স্বজন মহাপাপ প্রাপ্ত হয়, কেননা শব পচিলে শরীর হইতে অত্যন্ত দুর্গন্ধ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে চরাচর জগতে অসংখ্য রোগের উৎপত্তি হয়, এইজন্য পূর্বোক্ত বিধি সহ শবের দাহ করিলেই কল্যাণ হয়, অন্যথা নহে ॥

দিগ্ভ্য ইত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । দিগাদয়ো লিঙ্গোক্তা দেবতাঃ । ভুরিগনুষ্টুপ্ ছন্দঃ । গান্ধারঃ স্বরঃ ॥

দি॒গ্ভ্যঃ স্বাহা॑ চ॒ন্দ্রায়॒ স্বাহা॒ নক্ষ॑ত্রেভ্যঃ॒ স্বাহা॒ऽদ্ভ্যঃ স্বাহা॒ বর॑ুণায়॒ স্বাহা॑ । 

নাভ্যৈ॒ স্বাহা॑ পূ॒তায়॒ স্বাহা॑ ॥ যজু০ ৩৯।২


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! তোমরা শরীরকে পোড়াইতে (দিগ্ভ্যঃ) দিকসকলে হুতদ্রব্যর গমনকে (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (চন্দ্রায়) চন্দ্রলোকের প্রাপ্তির জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (অদ্ভ্যঃ) জলে চলিবার জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (বরুণায়) সমুদ্রাদিতে যাইবার জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (নাভ্যৈ) নাভির পুড়িবার জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়া এবং (পুতায়) পবিত্র করিবার জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়াকে সম্যক্ প্রযুক্ত কর ॥

ভাবার্থঃ- মনুষ্যগণ পূর্বোক্ত বিধিপূর্বক শরীর পোড়াইয়া সব দিকগুলিতে শরীরের অবয়বসমূহকে অগ্নি দ্বারা পৌঁছাইবে ॥

বাচ ইত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । বাগাদয়ো লিঙ্গোক্তা দেবতাঃ । স্বরাডনুষ্টুপ্ ছন্দঃ । গান্ধারঃ স্বরঃ ॥

বা॒চে স্বাহা॑ প্রা॒ণায়॒ স্বাহা॑ প্রা॒ণায়॒ স্বাহা॑ ।

চক্ষু॑ষে॒ স্বাহা॒ চক্ষু॑ষে॒ স্বাহা॒ শ্রোত্রা॑য়॒ স্বাহা॒ শ্রোত্রা॑য়॒ স্বাহা॑ ॥ ৩ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! তোমরা মৃত শরীরের (বাচে) বাণী ইন্দ্রিয় সম্পর্কীয় হোমের জন্য (স্বাহা) সুন্দর ক্রিয়া (প্রাণায়) শরীরের অবয়বগুলিকে জগতের প্রাণবায়ুতে পৌঁছাইতে (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (প্রাণায়) ধনঞ্জয় বায়ুকে প্রাপ্ত হওয়ার জন্য (স্বাহা) সত্যক্রিয়া (চক্ষুষে) একটা নেত্রগোলককে পোড়াইবার জন্য (স্বাহা) সুন্দর আহুতি (চক্ষুষা) অন্য নেত্রগোলক পোড়াইতে (স্বাহা) ভাল আহুতি (শ্রোত্রায়) একটা কর্ণের বিভাগ হেতু (স্বাহা) সুন্দর আহুতি (শ্রোত্রায়) অন্য কর্ণের বিভাগের জন্য (স্বাহা) এই শব্দ বলিয়া ঘৃতের আহুতি চিতায় ত্যাগ কর ॥ ৩ ॥

ভাবার্থঃ- যাহারা সুগন্ধিযুক্ত ঘৃতাদি সামগ্রী দ্বারা মৃত শরীরকে পোড়াইবে তাহারা পুণ্যসেবী হয় ॥ ৩ ॥

মনস ইত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । শ্রীর্দেবতা । নিচৃদ্বৃহতী ছন্দঃ । মধ্যমঃ স্বরঃ ॥

মন॑সঃ॒ কাম॒মাকূ॑তিং বা॒চঃ স॒ত্যম॑শীয় ।

প॒শূ॒নাᳬরূ॒পমন্ন॑স্য॒ রসো॒ য়শঃ॒ শ্রীঃ শ্র॑য়তাং॒ ময়ি॒ স্বাহা॑ ॥ ৪ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যেমন আমি (স্বাহা) সত্যক্রিয়া দ্বারা এইরকম আগে পিছনে কথিত প্রকারে মৃত শরীরকে পোড়াইয়া (মনসঃ) অন্তঃকরণ ও (বাচঃ) বাণীর (সত্যম্) বিদ্যমানদের মধ্যে উত্তম (কামম্) ইচ্ছাপূর্ত্তি (আকূতিম্) উৎসাহ (পশূনাম্) গাভি আদির (রূপম্) সুন্দর স্বরূপকে (অশীয়) প্রাপ্ত হই যেমন (ময়ি) আমাতে, জীবাত্মায় (অন্নস্য) খাওয়ার যোগ্য অন্নাদির (রসঃ) মধুরাদি রস (য়শঃ) কীর্ত্তি (শ্রীঃ) শোভা বা ঐশ্বর্য্য (শ্রয়তাম্) আশ্রয় করি সেইরূপ তুমি ইহাকে প্রাপ্ত হও এবং ইহারা তোমাকে আশ্রয় করুক ॥ ৪ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । যে সব মনুষ্য সুন্দর বিজ্ঞান, উৎসাহ ও সত্যবচনের দ্বারা, মৃত শরীরকে বিধিপূর্বক দাহ করে তাহারা পশু, প্রজা ধনধান্যাদিকে পুরুষকারের মাধ্যমে লাভ করে ॥ ৪ ॥

প্রজাপতিরিত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । প্রজাপতির্দেবতা । কৃতিশ্ছন্দঃ । নিষাদঃ স্বরঃ ॥

প্র॒জাপ॑তিঃ সংভ্রি॒য়মা॑ণঃ স॒ম্রাট্ সংভৃ॑তো বৈশ্বদে॒বঃ স॑ꣳস॒ন্নো ঘ॒র্মঃ প্রবৃ॑ক্ত॒স্তেজ॒ऽউদ্য॑তऽআশ্বি॒নঃ পয়॑স্যানী॒য়মা॑নে পৌ॒ষ্ণো বি॑ষ্য॒ন্দমা॑নে মারু॒তঃ ক্লথ॑ন্ । 

মৈ॒ত্রঃ শর॑সি সন্তা॒য়্যমা॑নে বায়॒ব্যো᳖ হ্রি॒য়মা॑ণऽআগ্নে॒য়ো হূ॒য়মা॑নো॒ বাগ্ঘু॒তঃ ॥ ৫ ॥

পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যে ঈশ্বর (সম্ভ্রিয়মানঃ) সম্যক্ পোষণ অথবা ধারণ কৃত (সম্রাট্) সম্যক্ প্রকাশমান (বৈশ্বদেবঃ) সব উত্তম জীব বা পদার্থ সমূহ সম্পর্কীয় (সংসন্নঃ) সম্যক্ প্রাপ্ত হইয়া (ঘর্মঃ) ঘামরূপ (তেজঃ) প্রকাশ তথা (প্রবৃক্তঃ) শরীর হইতে পৃথক্ হইয়া (উদ্যতঃ) উপরে চলিয়া (আশ্বিনঃ) প্রাণ-অপান সম্পর্কীয় তেজ (আনীয়মানে) উত্তম প্রকার প্রাপ্ত হইয়া (পয়সি) জলে (পৌষ্ণঃ) পৃথিবী সম্পর্কীয় তেজ (বিষ্যন্দমানে) বিশেষ করিয়া প্রাপ্ত হওয়া সময়ে (মারুতঃ) মনুষ্য দেহ সম্পর্কীয় তেজ (ক্লথন্) হিংসা করিয়া (মৈত্রঃ) মিত্র প্রাণ সম্পর্কীয় তেজ (সন্তায়্যমানে) বিস্তার বা পালনকৃত (শরসি) পুকুরে (বায়ব্যঃ) বায়ুসম্পর্কীয় তেজ (হ্রিয়মাণঃ) হবণ করিয়া (আগ্নেয়ঃ) অগ্নিদেবতা সম্পর্কীয় তেজ (হূয়মানঃ) শব্দমান্ (বাক্) বক্তা (হুতঃ) শব্দকৃত তেজ এবং (প্রজাপতিঃ) প্রজার রক্ষক জীব (সম্ভূতঃ) সম্যক্ পোষণ বা ধারণ করিয়াছেন সেই পরমাত্মার তোমরা উপাসনা কর ॥ ৫ ॥

ভাবার্থঃ- যখন এই জীব শরীর ত্যাগ করিয়া সব পৃথিব্যাদি পদার্থে ভ্রমণ করে, যেখানে সেখানে প্রবেশ করে এবং ইতস্ততঃ গমন করিয়া কর্ম্মানুসারে ঈশ্বরের ব্যবস্থায় জন্ম লাভ করে, তখনই সুপ্রসিদ্ধ হয় ॥ ৫ ॥

সবিতেত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । সবিতাদয়ো দেবতাঃ । বিরাড্ ধৃতিশ্ছন্দঃ । ঋষভঃ স্বরঃ ॥

স॒বি॒তা প্র॑থ॒মেऽহ॑ন্ন॒গ্নির্দ্বি॒তীয়ে॑ বা॒য়ুস্তৃ॒তীয়॑ऽআদি॒ত্যশ্চ॑তু॒র্থে । 

চ॒ন্দ্রমাঃ॑ পঞ্চ॒মऽঋ॒তুঃ ষ॒ষ্ঠে ম॒রুতঃ॑ সপ্ত॒মে বৃহ॒স্পতি॑রষ্ট॒মে মি॒ত্রো ন॑ব॒মে বর॑ুণো দশ॒মऽইন্দ্র॑ऽএকাদ॒শে বিশ্বে॑ দে॒বা দ্বা॑দ॒শে ॥ ৬ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! এই জীবকে (প্রথমে) শরীর ত্যাগ করিবার প্রথম (অহন্) দিন (সবিতা) সূর্য্য (দ্বিতীয়ে) দ্বিতীয় দিন (অগ্নিঃ) অগ্নি (তৃতীয়ে) তৃতীয় (বায়ু) বায়ু (চতুর্থে) চতুর্থে (আদিত্য) মাস (পঞ্চমে) পঞ্চমীতে (চন্দ্রমাঃ) চন্দ্রমা (ষষ্ঠে) ষষ্ঠীতে (ঋতুঃ) বসন্তাদি ঋতু (সপ্তমে) সপ্তমীতে (মরুতঃ) মনুষ্যাদি প্রাণী (অষ্টমে) অষ্টমীতে (বৃহস্পতিঃ) গুরুজনদের রক্ষক সূত্রাত্মা বায়ু (নবমে) নবমীতে (মিত্রঃ) প্রাণ (দশমে) দশমীতে (বরুণঃ) উদান (একাদশে) একাদশীতে (ইন্দ্রঃ) বিদ্যুৎ এবং (দ্বাদশে) দ্বাদশতম দিন (বিশ্বে) সমস্ত (দেবাঃ) দিব্য উত্তম গুণ প্রাপ্ত হয় ॥ ৬ ॥

ভাবার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যখন হইতে জীব শরীর ত্যাগ করে তখন সূর্য্য প্রকাশ আদি পদার্থ সকলকে প্রাপ্ত হইয়া কিছু কাল ভ্রমণ করিয়া স্বীয় কর্ম্মের অনুকূল গর্ভাশয় প্রাপ্ত হইয়া শরীর ধারণ করিয়া জন্ম গ্রহণ করে তখনই পুণ্য-পাপ কর্ম দ্বারা সুখ-দুঃখ রূপ ফলকে প্রাপ্ত হয় ॥ ৬ ॥

উগ্রশ্চেত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । মরুতো দেবতাঃ । ভুরিগ্গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

উ॒গ্রশ্চ॑ ভী॒মশ্চ॒ ধ্বা᳖ন্তশ্চ॒ ধুনি॑শ্চ ।
সা॒স॒হ্বাঁশ্চা॑ভিয়ু॒গ্বা চ॑ বি॒ক্ষিপঃ॒ স্বাহা॑ ॥ ৭ ॥

পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! মৃত্যু প্রাপ্ত জীব (স্বাহা) স্বীয় কর্ম্ম দ্বারা (উগ্রঃ) তীব্র স্বভাবযুক্ত (চ) শান্ত (ভীমঃ) ভয়কারী (চ) নির্ভয় (ধ্বান্তঃ) অন্ধকারকে প্রাপ্ত (চ) প্রকাশকে প্রাপ্ত (ধুনিঃ) কম্পমান (চ) নিষ্কম্প (সাসহ্বান) শীঘ্র সহ্যশীল (চ) না সহ্যশীল (অভিয়ুগ্বা) সব দিক দিয়া নিয়মধারী (চ) সকলের হইতে পৃথক্ এবং (বিক্ষিপঃ) বিক্ষেপকে প্রাপ্ত হয় ॥ ৭ ॥

ভাবার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যে জীব পাপাচারী তাহারা উগ্র যাহারা ধর্মাত্মা তাহারা শান্ত, যাহারা ভয় প্রদানকারী তাহারা ভীম শব্দ বাচ্য, যাহারা ভয় প্রাপ্ত তাহারা ভীত, যাহারা অভয়দানকারী, তাহারা নির্ভয়, যাহারা অবিদ্যাযুক্ত তাহারা অন্ধকার দ্বারা আচ্ছাদিত, যাহারা বিদ্বান্ যোগী, তাহারা প্রকাশযুক্ত, যাহারা জিতেন্দ্রিয় নহে, তাহারা চঞ্চল, যাহারা জিতেন্দ্রিয় তাহারা চঞ্চলতারহিত নিজ নিজ কর্মফলকে ভোগ করিয়া সহ্য করিয়া সংযুক্ত বিক্ষেপ প্রাপ্ত এই জগতে নিত্য ভ্রমণ করে, এইরকম জানিবে ॥ ৭ ॥

অগ্নিমিত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । অগ্ন্যাদয়ো লিঙ্গোক্তা দেবতাঃ । নিচৃদত্যষ্টিশ্ছন্দঃ । গান্ধারঃ স্বরঃ ॥

অ॒গ্নিꣳ হৃদ॑য়েনা॒শনি॑ꣳহৃদয়া॒গ্রেণ॑ পশু॒পতিং॑ কৃৎস্ন॒হৃদ॑য়েন ভ॒বং য়॒ক্না । 

শ॒র্বং মত॑স্নাভ্যা॒মীশা॑নং ম॒ন্যুনা॑ মহাদে॒বম॑ন্তঃ পর্শ॒ব্যেনো॒গ্রং দে॒বং ব॑নি॒ষ্ঠুনা॑ বসিষ্ঠ॒হনুঃ॒শিঙ্গী॑নি কো॒শ্যাভ্যা॑ম্ ॥ ৮ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! সেই মরণ প্রাপ্ত জীবগুলি (হৃদয়েন) হৃদয়রূপ অবয়ব হইতে (অগ্নিম্) অগ্নিকে (হৃদয়াগ্রেণ) হৃদয়ের উপরের ভাগ দ্বারা (অশনিম্) বিদ্যুৎকে (কুৎস্নহৃদয়েন) সম্পূর্ণ হৃদয়ের অবয়ব সকলের দ্বারা (পশুপতিম্) পশুদের রক্ষক জগৎ ধারণকর্তা সকলের জীবন হেতু পরমেশ্বরকে (য়ক্না) যকৃতরূপ শরীরের অবয়বগুলির দ্বারা (ভবম্) সর্বত্র বিদ্যমান ঈশ্বরকে (মতস্নাভ্যম্) হৃদয়ের আশেপাশের অবয়বগুলির দ্বারা (শর্বম্) বিজ্ঞানযুক্ত ঈশ্বরকে (মন্যুনা) দুষ্টাচারী এবং পাপের প্রতি বর্ত্তমান ক্রোধ দ্বারা (ঈশানম্) সকল জগতের স্বামী ঈশ্বরকে (অন্তঃ পর্শব্যেন) ভিতরের পার্শ্বাবয়বের বিজ্ঞান দ্বারা (মহাদেবম্) মহাদেব (উগ্রম্ দেবম্) তীক্ষ্ন স্বভাবযুক্ত প্রকাশমান ঈশ্বরকে (বনিষ্ঠুনা) অন্ত্র বিশেষ দ্বারা (বসিষ্ঠহনুঃ) অত্যন্ত বাসের ফলে রাজার তুল্য হনুযুক্ত ব্যক্তিকে (কোশ্যাভ্যাম্) পেটে হওযা দুটি মাংসপিন্ড দ্বারা (শিঙ্গীনি) জানিবার বা প্রাপ্ত হইবার যোগ্য বস্তু সকলকে প্রাপ্ত হইয়া থাকে, এইরকম তোমরা জানিবে ॥ ৮ ॥

ভাবার্থঃ- যে সব মনুষ্য শরীরের সকল অঙ্গ দ্বারা ধর্মাচরণ, বিদ্যাগ্রহণ, সৎসঙ্গ এবং জগদীশ্বরের উপাসনা করে, তাহারা বর্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ জন্মে সুখ প্রাপ্ত হয় ॥ ৮ ॥

মনুষ্যগণ কেমন করিয়া উগ্র স্বভাবাদি প্রাপ্ত হয়, এই বিষয়কে পরবর্ত্তী মন্ত্রে বলা হইয়াছে ॥

উগ্রমিত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । উগ্রাদয়ো লিঙ্গোক্তা দেবতাঃ । ভুরিগষ্টিশ্ছন্দঃ । মধ্যমঃ স্বরঃ ॥

উ॒গ্রং লোহি॑তেন মি॒ত্রꣳ সৌব্র॑ত্যেন রু॒দ্রং দৌর্ব্র॑ত্যে॒নেন্দ্রং॑ প্রক্রী॒ডেন॑ ম॒রুতো॒ বলে॑ন সা॒ধ্যান্ প্র॒মুদা॑ । 

ভ॒বস্য॒ কণ্ঠ্য॑ꣳ রু॒দ্রস্যা॑ন্তঃ পা॒র্শ্ব্যং ম॑হাদে॒বস্য॒ য়কৃ॑চ্ছ॒র্বস্য॑ বনি॒ষ্ঠুঃ প॑শুু॒পতেঃ॑ পুরী॒তৎ ॥ ঌ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! গর্ভাশয়ে স্থিত বা বাহিরে থাকা জীব (লোহিতেন) শুদ্ধ রুধির দ্বারা (উগ্রম্) তীব্র গুণ, (সৌব্রত্যেন) শ্রেষ্ঠ কর্ম দ্বারা (মিত্রম্) প্রাণতুল্য প্রিয় (দ্রৌর্ব্রত্যেন) দুষ্টাচরণ দ্বারা (রুদ্রম্) রোদন করায় যে (প্রক্রীডেন) উত্তম ক্রীড়া দ্বারা (ইন্দ্রম্) পরম ঐশ্বর্য্য বা বিদ্যুৎ (বলেন) বল দ্বারা (মরুতঃ) উত্তম মনুষ্য দিগকে (প্রমুদা) উত্তম আনন্দ দ্বারা (সাধ্যান্) সাধিবার যোগ্য পদার্থগুলিকে (ভবস্য) যে প্রশংসিত হয় তাহার (কন্ঠ্যম্) কন্ঠে হওয়া স্বর (রুদ্রস্য) দুষ্টদেরকে রোদন করায় যে তাহার (অন্তঃপার্শ্বম্) অন্তঃপার্শ্বে হওয়া (মহাদেবস্য) মহাদেব বিদ্বানের (য়কৃত) হৃদয়ে স্থিত লালপিন্ড (সর্বস্য) সুখপ্রাপক মনুষ্যের (বনিষ্ঠুঃ) অন্ত্রবিশেষ পশুদের রক্ষক পুরুষের (পুরীতৎ) হৃদয়ের নাড়ি প্রাপ্ত হয় ॥ ঌ ॥

ভাবার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যেমন দেহধারী রুধিরাদি দ্বারা তেজস্বী স্বভাবাদিকে প্রাপ্ত হয় সেইরূপ গর্ভাশয়েও প্রাপ্ত হয় ॥ ঌ ॥

লোমভ্য ইত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । আকৃতিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

লোম॑ভ্যঃ॒ স্বাহা॒ লোম॑ভ্যঃ॒ স্বাহা॑ ত্ব॒চে স্বাহা॑ ত্ব॒চে স্বাহা॒ লোহি॑তায়॒ স্বাহা॒ লোহি॑তায়॒ স্বাহা॒ মেদো॑ভ্যঃ॒ স্বাহা॒ মেদো॑ভ্যঃ॒ স্বাহা॑ । 

মা॒ᳬসেভ্যঃ॒ স্বাহা॑ মা॒ᳬসেভ্যঃ॒ স্বাহা॒ স্নাব॑ভ্যঃ॒ স্বাহা॒ স্নাব॑ভ্যঃ॒ স্বাহা॒ऽস্থভ্যঃ॒ স্বাহাऽ॒স্থভ্যঃ॒ স্বাহা॑ ম॒জ্জভ্যঃ॒ স্বাহা॑ ম॒জ্জভ্যঃ॒ স্বাহা॑ । 

রেত॑সে॒ স্বাহা॑ পা॒য়বে॒ স্বাহা॑ ॥ ১০ ॥


পদার্থঃ- মনুষ্যদিগের উচিত যে, দাহকর্মে ঘৃতাদি দ্বারা (লোমভ্যঃ) ত্বকের উপর রোমের জন্য (স্বাহা) এই শব্দের (লোমভ্যঃ) নখাদির জন্য (স্বাহা) (ত্বচে) শরীরের ত্বক দাহ করিবার জন্য (স্বাহা)(ত্বচে) ভিতরের ত্বক্ জ্বালাইবার জন্য (স্বাহা) হৃদয়স্থ রুধির পিন্ড দাহ করিতে (স্বাহা) (মেদোভ্যঃ) মেদ দাহ করিতে (স্বাহা) (মেদোভ্যঃ) সকল শরীরের অবয়ব সকলকে আর্দ্রকারী ভাগকে দাহ করিতে (স্বাহা) (মাংসেভ্যঃ) বাহিরের মাংসদাহ করিতে (স্বাহা) (মাংসেভ্যঃ) ভিতরের মাংস দাহ করিবার জন্য (স্বাহা) (স্রাবভ্যঃ) স্থূল নাড়িসমূহ দাহ করিতে (স্বাহা) (স্নাবভ্যঃ) সূক্ষ্ম নাড়িসমূহ দাহ করিতে (স্বাহা অস্থভ্যঃ) শরীরস্থ কঠিন অবয়বসমূহকে দাহ করিবার জন্য (স্বাহা) (অস্থভ্যঃ) সূক্ষ্ম অস্থিরূপ অবয়ব সকলকে দাহ করিতে (স্বাহা) (মজ্জব্যঃ) অস্থির ভিতরের ধাতুর জন্য (স্বাহা) (মজ্জভ্যঃ) তাহার অন্তর্গত ভাগ দাহ করিতে (স্বাহা) (রেতসে) বীর্য্য দহন করিতে (স্বাহা) এবং (পায়বে) পায়ুরূপ অবয়বের দাহ করিবার জন্য (স্বাহা) এই শব্দের নিরন্তর প্রয়োগ করিবে ॥ ১০ ॥

ভাবার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! যতক্ষণ লোম হইতে লইয়া বীর্য্য পর্য্যন্ত সেই মৃত শরীরের ভস্ম না হয় ততক্ষণ ঘৃত ও ইন্ধন দিতে থাক ॥ ১০ ॥

আয়াসাত্যেত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । স্বরাড্ জগতী ছন্দঃ । নিষাদঃ স্বরঃ ॥

আ॒য়া॒সায়॒ স্বাহা॑ প্রায়া॒সায়॒ স্বাহা॑ সংয়া॒সায়॒ স্বাহা॑ বিয়া॒সায়॒ স্বাহো॑দ্যা॒সায়॒ স্বাহা॑ । 

শু॒চে স্বাহা॒ শোচ॑তে॒ স্বাহা॑ শোচ॑মানায়॒ স্বাহা॒ শোকা॑য়॒ স্বাহা॑ ॥ ১১ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! তোমরা (আয়াসায়) উত্তম প্রকার প্রাপ্ত হইতে (স্বাহা) এই শব্দের (প্রায়াসায়) প্রয়াণ জন্য (স্বাহা) (সংয়াসায়) সম্যক্ গমন করিবার জন্য (স্বাহা) (বিয়াসায়) বিবিধ প্রকার বস্তুগুলির প্রাপ্তিকে (স্বাহা) (উদ্যাসায়) উপরে যাইবার জন্য (স্বাহা) (শুচে) পবিত্র হেতু (স্বাহা) (শোচতে) শুদ্ধিকারীদের জন্য (স্বাহা) (শোচমানায়) বিচার প্রকাশ হেতু (স্বাহা) এবং (শোকায়) যাহাতে শোক করে তাহার জন্য (স্বাহা) এই শব্দের প্রয়োগ কর ॥ ১১ ॥

ভাবার্থঃ- মনুষ্যদিগের উচিত যে, পুরুষকারের সিদ্ধি হেতু সত্য বাণী, বুদ্ধি ও ক্রিয়ার অনুষ্ঠান করিবে যাহাতে দেহান্তর ও জন্মান্তরে মঙ্গল হয় ॥ ১১ ॥

তপস ইত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

তপ॑সে॒ স্বাহা॒ তপ্য॑তে॒ স্বাহা॒ তপ্য॑মানায়॒ স্বাহা॑ ত॒প্তায়॒ স্বাহা॑ ঘ॒র্মায়॒ স্বাহা॑ । 

নিষ্কৃ॑ত্যৈ॒ স্বাহা॒ প্রায়॑শ্চিত্যৈ॒ স্বাহা॑ ভেষ॒জায়॒ স্বাহা॑ ॥ ১২ ॥


পদার্থঃ- মনুষ্যদিগের উচিত (তপসে) প্রতাপ হেতু (স্বাহা) (তপ্যতে) যে সন্তাপ প্রাপ্ত হয় তাহার জন্য (স্বাহা) (তপ্যমানায়) তাপ-উষ্ণতা প্রাপ্তকারীদিগের জন্য (স্বাহা) (তপ্তায়) তাপিতের জন্য (স্বাহা) (ঘর্মায়) দিন হইতে (স্বাহা) (নিষ্কৃত্যৈ) নিবারণ হেতু (স্বাহা) (প্রায়শ্চিত্যৈ) পাপনিবৃত্তি হেতু (স্বাহা) এবং (ভেষজায়) সুখের জন্য (স্বাহা) এই শব্দের নিরন্তর প্রয়োগ করিবে ॥ ১২ ॥

ভাবার্থঃ- মনুষ্যদিগের উচিত যে, প্রাণায়ামাদি সাধন দ্বারা সকল কিল্বিষের নিবারণ করিয়া সুখকে স্বয়ং প্রাপ্ত করিবে এবং অন্যকেও প্রাপ্ত করাইবে ॥ ১২ ॥


য়মায়েত্যস্য দীর্ঘতমা ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । নিচৃৎ ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

য়॒মায়॒ স্বাহাऽন্ত॑কায়॒ স্বাহা॑ মৃ॒ত্যবে॒ স্বাহা॒ ব্রহ্ম॑ণে॒ স্বাহা॑ ব্রহ্মহ॒ত্যায়ৈ॒ স্বাহা॑ বিশ্বে॑ভ্যো দে॒বেভ্যঃ॒ স্বাহা॒ দ্যাবা॑পৃথি॒বীভ্যা॒ᳬস্বাহা॑ ॥ ১৩ ॥


পদার্থঃ- হে মনুষ্যগণ ! তোমরা (য়মায়) নিয়ন্তা ন্যায়াধীশ বা বায়ুর জন্য (স্বাহা) এই শব্দের (অন্তকায়) নাশকর্ত্তা কালের জন্য (স্বাহা) (মৃত্যবে) প্রাণ ত্যাগকরাইবার সময় হেতু (স্বাহা) (ব্রহ্মণে) বৃহত্তম অতি বড় পরমাত্মার জন্য অথবা ব্রাহ্মণ বিদ্বানের জন্য (স্বাহা) (ব্রহ্মহত্যায়ৈ) ব্রহ্ম বেদ বা ঈশ্বর বা বিদ্বানের হত্যার নিবারণের জন্য (স্বাহা) (বিশ্বেভ্যঃ) সকল (দেবেভ্যঃ) দিব্যগুণ সকলের সহিত যুক্ত বিদ্বান্গণ বা জলাদির জন্য (স্বাহা) এবং (দ্যাবাপৃথিভ্যাম্) সূর্য্যভূমি শোধন করিবার জন্য (স্বাহা) এই শব্দের প্রয়োগ কর ॥ ১৩ ॥

ভাবার্থঃ- যে সকল মনুষ্য ন্যায়ব্যবস্থার পালন করিয়া অল্পমৃত্যুর নিবারণ করিয়া ঈশ্বর এবং বিদ্বান্দিগের সেবন করিয়া ব্রহ্মহত্যাদি দোষকে মুক্ত করাইয়া সৃষ্টিবিদ্যা জানিয়া অন্ত্যেষ্টিকর্ম বিধি করে, তাহারা সকলের মঙ্গলদাতা হয় । সবকালে এই প্রকার মৃতক শরীরকে পোড়াইয়া সকলের সুখের উন্নতি করা উচিত ॥ ১৩ ॥

এই অধ্যায়ে অন্ত্যেষ্টি কর্ম্মের বর্ণনা হওয়ায় এই অধ্যায়ে কথিত অর্থের পূর্ব অধ্যায়ের অর্থ সহ সঙ্গতি আছে, এইরকম জানা উচিত ॥

ইতি শ্রীমৎপরমহংসপরিব্রাজকাচার্য়্যশ্রীবিরজানন্দসরস্বতীস্বামিনাং
শিষ্যেণ শ্রীমদ্দয়ানন্দসরস্বতীস্বামিনা বিরচিতে য়জুর্বেদভাষ্যে
সংস্কৃতার্য়্যভাষাভ্যাং সমন্বিতে সুপ্রমাণয়ুক্তে
একোনচত্বারিংশত্তমোऽধ্যায়ঃ পূর্ত্তিমগমৎ ॥

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ