#কর্ণ কুন্তীর পুত্র নয়, এটা মহাভারতের প্রক্ষিপ্ত অংশ। কর্ণ অঙ্গ দেশের রাজা বিশ্বজিতের পুত্র। সত্যকর্মার পুত্র ছিলেন অধিরথ যিনি বিশ্বজিতের পরিবারের সদস্য, তিনি কর্ণকে দত্তক নিয়েছিলেন। তিনি সুত ছিলেন তাই কর্ণকে সুত-পুত্র বলা হয়। অধিরথের মা ছিলেন ব্রাহ্মণ এবং পিতা ছিলেন ক্ষত্রিয়[মহাঃ আদি ৩১।৫৮।১১১]।
ক্ষত্রিয় পিতা ও ব্রাহ্মণ মাতার সন্তানের নাম "সুত"। সত্যকর্মার স্ত্রী যদি ব্রাহ্মণ না হয়ে ক্ষত্রাণী হতেন তবে তাকে সুতা বলা হত না। "यः कर्णः प्रतिजग्राह ततः कर्णस्तु सूतजः" (মহাভারত আদি পর্ব ৩১-৫৮-১১১) এখানে "প্রতিজগ্রাহ" শব্দে প্রমাণ হয় কর্ণ কে কেউ দত্তক নিয়েছিলেন। যদি জলে ভেসে আসা থেকে প্রাপ্ত হতো তাহলে "প্রতিজগ্রাহ" শব্দের ব্যবহার হতো না। দত্তক পুত্র বিষয়ে জানতে হলে মনুস্মৃতি ৯।১৬৮ দ্রষ্টব্য। মহাভরতের আদি পর্বে যখন কর্ণকে প্রথম রঙ্গশালায় [যেখানে গুরুকুলে প্রাপ্ত অস্ত্র শিক্ষার প্রদর্শন চলছিলো] এন্ট্রি করানো হয় তখন কর্ণের বয়স প্রায় ৮৭ বা ৮৮ বছর।
যুধিষ্ঠির জী বলেছেন কর্ণ "গুড়ৌৎপন্ন" ভাই ছিলেন___ মহাভারত ১/২১-৪৪২৬। উদ্দোগ পর্বে কৃষ্ণ জী কর্ণ কে "কানীন" পুত্র বলে সন্বোধন করেন।
এখন বিচার্য "গুড়ৌৎপন্ন" এবং "কানীন" পুত্র বলতে কি?!
যার ঘরে কুমারী অবস্থায় কিংবা বিবাহিত নারী থেকে জন্ম কিন্তু তাঁর পিতা কে জানা যায় না! সে ঘরে গুড়রূপে অর্থাৎ রহস্যজনক ভাবে উৎপন্ন বলে তা সেই গৃহকর্তার ও তাঁর স্ত্রীর দ্বারা উৎপন্ন ধরে নেওয়া হয় [মহা০আদি০৯।১৭০-৬৮১]। কিন্তু যদি পিতা কে তা জানা হয়ে থাকে তবে "গুড়ৌৎপন্ন" কিভাবে হয় ?! মহাভারতেই পাওয়া যায় কুন্তী কর্ণের পিতার নাম সূর্যদেব বলেছেন। আবার কানীন পুত্র অর্থাৎ বিবাহের পূর্বে উৎপন্ন পুত্র। কর্ণ কুন্তী পুত্র হলে এই দুটোর ভেতর যে কোন একটা হওয়ার কথা.. কর্ণ কুন্তী পুত্র এবং শুদ্র তা প্রমাণ করার জন্য মহাভারতে অনেক শ্লোক পরে যুক্ত করা হয়েছে..এইরকম অনেক প্রকৃতি-বিরূদ্ধ এবং নিয়ম বিরূদ্ধ কল্পনা যুক্ত করা হয়েছে, যা অনেক বিচার পূর্বক পড়া দরকার
তথ্যঃ
মহাভারত আদি পর্ব
হরিবংশ পুরাণ
চলবে>>
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ