যজুর্বেদ অধ্যায় ১৭ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

19 October, 2023

যজুর্বেদ অধ্যায় ১৭

 

॥ ও৩ম্ ॥
অথ সপ্তদশোऽধ্যায় আরভ্যতে

ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । 
য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩
অথ বৃষ্টিবিদ্যোপদিশ্যতে ॥
এখন সতেরতম অধ্যায়ের আরম্ভ করা হইতেছে । 
ইহার প্রথম মন্ত্রে বৃষ্টি বিদ্যার উপদেশ করা হইতেছে ।

অশ্মন্নূর্জমিত্যস্য মেধাতিথির্ঋষিঃ । মরুতো দেবতাঃ । ভুরিগতিশক্বরী ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

অশ্ম॒ন্নূর্জং॒ পর্ব॑তে শিশ্রিয়া॒ণাম॒দ্ভ্যऽওষ॑ধীভ্যো॒ বন॒স্পতি॑ভ্যো॒ऽঅধি॒ সংভৃ॑তং॒ পয়ঃ॑ । তাং ন॒ऽইষ॒মূর্জং॑ ধত্ত মরুতঃ সꣳররা॒ণাऽঅশ্ম॑ꣳস্তে॒ ক্ষুন্ ময়ি॑ ত॒ऽঊর্গ্যং॑ দ্বি॒ষ্মস্তং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু ॥ ১ ॥

পদার্থঃ–হে (সংররাণাঃ) সম্যক্ দানশীল (মরুতঃ) বায়ুসমূহের তুল্য ক্রিয়া করিতে কুশল মনুষ্যগণ! তোমরা (পর্বতে) পর্বত সদৃশ আকার সম্পন্ন (অশ্মন্) নিঘ০ ১।১০ মেঘের (শিশ্রিয়ানাম্) অবয়বসকলে স্থির বিদ্যুৎ তথা (ঊর্জম্) পরাক্রম ও অন্নকে (নঃ) আমাদের জন্য (অধি, ধত্ত) আধিক্যপূর্বক ধারণ কর এবং (অদ্ভ্যঃ) জলাশয় (ওষধিভ্যঃ) যবাদি ওষধি এবং (বনস্পতিভ্যঃ) অশ্বত্থাদি বনস্পতি দ্বারা (সম্ভৃতম্) সম্যক্ ধারণ করা (পয়ঃ) রসযুক্ত জল (ইষম্) অন্ন (ঊর্জম্) পরাক্রম এবং (তাম্) সেই পূর্বোক্ত বিদ্যুৎকে ধারণ কর । হে মনুষ্য! (তে) তোমার যে (অশ্মন্) মেঘবিষয়ে (ঊর্ক) রস বা পরাক্রম আছে উহা (ময়ি) আমার মধ্যে তথা যে (তে) তোমার (ক্ষুৎ) ক্ষুধা আছে উহা আমার মধ্যেও হউক অর্থাৎ সমান সুখ-দুঃখ মানিয়া আমরা একে অন্যের সহায়ক হই এবং (য়ম্) যে দুষ্টকে আমরা (দ্বিষ্মঃ) দ্বেষ করি (তম্) তাহাকে (তে) তোমার (শুক্) শোক (ঋষতু) প্রাপ্ত হউক ॥ ১ ॥

ভাবার্থঃ–মনুষ্যদিগের উচিত যে, যেমন সূর্য্য জলাশয় এবং ওষধ্যাদি দ্বারা রসের হরণ করিয়া মেঘমণ্ডল স্থাপিত করিয়া পুনঃ বর্ষণ করে, তাহা হইতে অন্নাদি পদার্থ হয়, তাহার আহার দ্বারা ক্ষুধার নিবৃত্তি, ক্ষুধার নিবৃত্তি দ্বারা বল বৃদ্ধি, তাহা দ্বারা দুষ্ট সকলের নিবৃত্তি এবং দুষ্ট সকলের নিবৃত্তি দ্বারা সজ্জনদিগের শোকনাশ হয় সেইরূপ স্বীয় সমান অন্যের সুখ-দুঃখ মানিয়া সকলের মিত্র হইয়া একে অপরের দুঃখের বিনাশ করিয়া সুখের নিরন্তর উন্নতি করিবে ॥ ১ ॥

বিষয়ঃ
অথেষ্টকাদিচয়নদৃষ্টান্তেন গণিতবিদ্যোপদিশ্যতে ॥
এখন ইষ্টকাদির দৃষ্টান্ত দ্বারা গণিত বিদ্যার উপদেশ করা হইতেছে ।

ইমা ম ইত্যস্য মেধাতিথির্ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । নিচৃদ্বিকৃতিশ্ছন্দঃ । মধ্যমঃ স্বরঃ ॥

ই॒মা মে॑ऽঅগ্ন॒ऽইষ্ট॑কা ধে॒নবঃ॑ স॒ন্ত্বেকা॑ চ॒ দশ॑ চ॒ দশ॑ চ শ॒তং চ॑ শ॒তং চ॑ স॒হস্রং॑ চ স॒হস্রং॑ চা॒য়ুতং॑ চা॒য়ুতং॑ চ নি॒য়ুতং॑ চ নি॒য়ুতং॑ চ প্র॒য়ুতং॒ চার্বু॑দং চ॒ ন্য᳖র্বুদং চ সমু॒দ্রশ্চ॒ মধ্যং॒ চান্ত॑শ্চ পরা॒র্দ্ধশ্চৈ॒তা মে॑ऽঅগ্ন॒ऽইষ্ট॑কা ধে॒নবঃ॑ সন্ত্ব॒মুত্রা॒মুষ্মিঁ॑ল্লো॒কে ॥ ২ ॥

পদার্থঃ–হে অগ্নে বিদ্বন্! যেমন (মে) আমার (ইমাঃ) এই সব (ইষ্টকাঃ) ইষ্ট সুখকে সিদ্ধ কারক যজ্ঞের সামগ্রী (ধেনবঃ) দুগ্ধদাত্রী গাভিদের সমান (সন্তু) হউক, আপনার জন্যও সেইরকমই হউক যাহা (একা) এক (চ) দশগুণ (দশ) দশ (চ) এবং (দশ) দশ (চ) দশগুণ (শতম্) শত (চ) এবং (শতম্) শত (চ) দশগুণ (সহস্রম্) সহস্র (চ) এবং (সহস্রম্) সহস্র (চ) দশগুণ (অয়ুতম্) দশ হাজার (চ) এবং (অয়ুতম্) দশ হাজার (চ) দশ গুণ (নিয়ুতম্) লক্ষ (চ) এবং (নিয়ুতম্) লক্ষ (চ) দশ গুণ (প্রয়ুতম্) দশ লক্ষ (চ) ইহার দশ গুণ কোটি ইহার দশ গুণ (অর্বুদম্) দশ কোটি ইহার দশ গুণ (ন্যর্বুদম) অর্বুদ (চ) ইহার দশগুণ খর্বুদ ইহার দশ গুণ নিখর্ব ইহার দশগুণ মহাপদ্ম, ইহার দশগুণ শঙ্কু ইহার দশ গুণ (সমুদ্রঃ) সমুদ্র (চ) ইহার দশ গুণ (মধ্যম্) মধ্য (চ) ইহার দশ গুণ (অন্তঃ) অন্ত এবং (চ) ইহার দশ গুণ (পরার্দ্ধশ্চ) পরার্দ্ধ (এতাঃ) এই সব (মে) আমার (অগ্নে) হে বিদ্বন্! (ইষ্টকাঃ) বেদীর ইটগুলি (ধেনবঃ) গাভির তুল্য (অমুষ্মিন্) পরোক্ষ (লোকে) দেখিবার যোগ্য (অমুত্র) পরবর্ত্তী জন্মে (সন্তু) হউক এমন প্রচেষ্টা করুন ॥ ২ ॥

ভাবার্থঃ–যেমন উত্তম প্রকার সেবিত গোদুগ্ধ আদির দানে সকলেই প্রসন্ন হয় সেইরূপ বেদীতে চয়নিত ইট বর্ষার হেতু হইয়া বর্ষাদি দ্বারা সকলকে সুখী করে । মনুষ্যদিগের উচিত যে এক (১) সংখ্যাকে দশবার গুণ করিলে দশ (১০), দশকে দশ বার গুণ করিলে শত (১০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে সহস্র (১০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে দশ সহস্র (১০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে লক্ষ (১০০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে দশ লক্ষ (১০,০০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে কোটি (১০০,০০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে দশ কোটি (১০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে অর্বুদ (১,০০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ দিয়া গুণ করিলে দশ অর্বুদ (১০,০০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ বার দিয়া গুণ করিলে দশ খর্বুদ (১,০০,০০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ দিয়া গুণ করিলে নীল (১,০০,০০,০০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ দিয়া গুণ করিলে দশ নীল (১০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে পদ্ম (১,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে দশ পদ্ম (১০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে শঙ্খ (১,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০), উহাকে দশ বার গুণ করিলে দশ শঙ্খ (১০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০) এই সব সংখ্যাগুলির সংজ্ঞা আইসে । এইসব এত সংখ্যা তো বলা হইল কিন্তু বহু চকার হওয়ায় আরও অঙ্কগণিত, বীজগণিত এবং রেখাগণিত ইত্যাদির সংখ্যাগুলিকে যথাবৎ বুঝিবে । যেমন ভূলোকে এই সংখ্যাগুলি সেইরূপ অন্য লোকেও আছে, যেমন এখানে এই সব সংখ্যাগুলি দিয়া গণনা করা হইল এবং কারীগর সকল চয়নিত ইট, গৃহের আকারের হউক শীত, উষ্ণ, বর্ষা এবং বায়ু আদি হইতে মনুষ্যাদির রক্ষা করিয়া আনন্দিত করে সেইরূপ অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত আহুতিসকল জল, বায়ু এবং ওষধিসকলের সঙ্গে মিশিয়া সবাইকে আনন্দিত করে ॥ ২ ॥

ঋতব ইত্যস্য মেধাতিথির্ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । বিরাডার্ষী পংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

ঋ॒তব॑ স্থऽঋতা॒বৃধ॑ऽঋতু॒ষ্ঠা স্থ॑ऽঋতা॒বৃধঃ॑ ।
ঘৃ॒ত॒শ্চ্যুতো॑ মধু॒শ্চ্যুতো॑ বি॒রাজো॒ নাম॑ কাম॒দুঘা॒ऽঅক্ষী॑য়মাণাঃ ॥ ৩ ॥

পদার্থঃ–হে স্ত্রীগণ! তোমরা (ঋতবঃ) বসন্তাদি ঋতুগুলির সমান (স্থ) হও তথা (ঋতাবৃধঃ) জল দ্বারা নদী তুল্য সত্য সহ উন্নতিকে প্রাপ্ত হওয়ার বা (ঋতুষ্ঠাঃ) বসন্তাদি ঋতুগুলিতে স্থিত হওয়ার এবং (ঋতাবৃধঃ) সত্যকে বৃদ্ধি করিবার (স্থ) জন্য হও এবং তুমি (ঘৃতশ্চুতঃ) যাহা হইতে ঘৃত বাহির হয় সেই সব (মধুশ্চুতঃ) মধুর রস হইতে প্রাপ্ত (অক্ষীয়মানাঃ) রক্ষা করিবার যোগ্য (বিরাজঃ) বিবিধ প্রকার গুণগুলি দ্বারা প্রকাশমান তথা (কামদুঘাঃ) কামনা পূরণ কারিণী (নাম) বিখ্যাত গাভী সদৃশ হইবে । তোমরা আমাদেরকে সুখী কর ॥ ৩ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । যেমন ঋতু ও গাভি স্ব স্ব সময়ে অনুকূলতা পূর্বক সকল প্রাণিদিগকে সুখী করে সেইরূপ উত্তম স্ত্রীগণ সকল সময়ে স্বীয় পতি আদি সকল পুরুষদিগকে তৃপ্তি করিয়া আনন্দিত করিবে ॥ ৩ ॥

সমুদ্রস্যেত্যস্য মেধাতিথির্ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । ভুরিগার্ষী গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

স॒মু॒দ্রস্য॒ ত্বাব॑ক॒য়াগ্নে॒ পরি॑ ব্যয়ামসি ।
পা॒ব॒কোऽঅ॒স্মভ্য॑ꣳ শি॒বো ভ॑ব ॥ ৪ ॥

পদার্থঃ–হে (অগ্নে) অগ্নিতুল্য তেজস্বী সভাপতে! যেমন আমরা (সমুদ্রস্য) আকাশের মধ্যে (অবকয়া) যদ্দ্বারা রক্ষা করেন সেই ক্রিয়া সহ বর্ত্তমান (ত্বা) আপনাকে (পরি, ব্যায়ামসি) সকল দিক দিয়া প্রাপ্ত হই সেইরূপ (পাবকাঃ) পবিত্র কর্ত্তা আপনি (অস্মভ্যম্) আমাদের জন্য (শিবঃ) মঙ্গলকারী (ভব) হউন ॥ ৪ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । যেমন মনুষ্যগণ সমুদ্রের জীবদিগের রক্ষা করিয়া সুখী করে সেইরূপ ধর্মাত্মা রক্ষক সভাপতি স্বীয় প্রজাদিগের রক্ষা করিয়া নিরন্তর সুখী করিবে ॥ ৪ ॥

উপ জ্মন্নিত্যস্য মেধাতিথির্ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

উপ॒ জ্মন্নুপ॑ বেত॒সেऽব॑ তর ন॒দীষ্বা । অগ্নে॑ পি॒ত্তম॒পাম॑সি॒ মণ্ডূ॑কি॒ তাভি॒রাগ॑হি॒
সেমং নো॑ য়॒জ্ঞং পা॑ব॒কব॑র্ণꣳ শি॒বং কৃ॑ধি ॥ ৬ ॥

পদার্থঃ–হে (অগ্নে) অগ্নিতুল্য তেজস্বিনী বিদুুষি (মন্ডূকি) উত্তম প্রকার অলঙ্কার সমূহ দ্বারা শোভিত বিদুষি স্ত্রী! তুমি (জ্মন্) পৃথিবীর উপরে (নদীষু) নদী তথা (বেতসে) পদার্থসকলের বিস্তারে (অব, তর) পার হও যেমন অগ্নি (অপাম্) প্রাণ বা জলের (পিত্তম্) তেজের রূপ (অসি) হয় সেই রূপ তুমি (গাভিঃ) সেই জল বা প্রাণ সহ (উপ, আ, গহি) আমাদের সমীপ প্রাপ্ত হও (সা) সুতরাং তুমি (নঃ) আমাদের (ইমম্) এই (পাবকবর্ণম্) অগ্নিতুল্য প্রকাশমান (য়জ্ঞম্) গৃহাশ্রমরূপ যজ্ঞকে (শিবম্) কল্যাণকারী (উপ, আ, কৃধি) উত্তম প্রকার কর ॥ ৬ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । স্ত্রী ও পুরুষ গৃহাশ্রমে প্রযত্ন সহ সকল কার্য্যকে সিদ্ধ করিয়া শুদ্ধ আচরণ সহিত কল্যাণ প্রাপ্ত হও ॥ ৬ ॥

অপামিদমিত্যস্য মেধাতিথির্ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । আর্ষী বৃহতী ছন্দঃ । মধ্যমঃ স্বরঃ ॥

অ॒পামি॒দং ন্যয়॑নꣳ সমু॒দ্রস্য॑ নি॒বেশ॑নম্ ।
অ॒ন্যাঁস্তে॑ऽঅ॒স্মত্ত॑পন্তু হে॒তয়ঃ॑ পাব॒কোऽঅ॒স্মভ্য॑ꣳ শি॒বো ভ॑ব ॥ ৭ ॥

পদার্থঃ–হে বিদ্বান্ পুরুষ! (ইদম্) এই যে আকাশ (অপাম্) জল বা প্রাণের (ন্যয়নম্) নিশ্চিত স্থান সেই আকাশস্থ (সমুদ্রস্য) সমুদ্রের (নিবেশনম্) স্থিতিতুল্য গৃহাশ্রম প্রাপ্ত হইয়া (পাবকঃ) পবিত্র কর্ম সম্পাদনকারী হইয়া আপনি (অস্মভ্যাম্) আমাদের জন্য (শিবঃ) মঙ্গলকারী (ভব) হউন, (তে) আপনার (হেতয়ঃ) বজ্র বা উন্নতি (অস্মৎ) আমাদিগের হইতে (অন্যান্) অন্যান্য দুষ্টদিগকে (তপন্তু) দুঃখী করুক ॥ ৭ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । মনুষ্যগণ যেমন জলের আধার সমুদ্র, সমুদ্রের আধার ভূমি, তাহার আধার আকাশ; সেইরূপ গৃহস্থীর পদার্থের আধার গৃহকে তৈরী করিয়া এবং মঙ্গলরূপ আচরণ করিয়া শ্রেষ্ঠদিগের রক্ষা করিবে তথা ডাকাইতদেরকে পীড়া দিতে থাকিবে ॥ ৭ ॥

অগ্নে পাবকেত্যস্য বসুয়ুর্ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । আর্ষী গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

অগ্নে॑ পাবক রো॒চিষা॑ ম॒ন্দ্রয়া॑ দেব জি॒হ্বয়া॑ । আ দে॒বান্ ব॑ক্ষি॒ য়ক্ষি॑ চ ॥ ৮ ॥

পদার্থঃ–হে (পাবক) মনুষ্যদিগের হৃদয়কে শুদ্ধকারী (দেব) সুন্দর (অগ্নে) বিদ্যার প্রকাশ অথবা উপদেশকারী পুরুষ! আপনি (মন্দ্রয়া) আনন্দ সিদ্ধকারিণী (জিহ্বয়া) সত্য প্রিয় বাণী বা (রোচিষা) প্রকাশ দ্বারা (দেবান্) বিদ্বান্ বা দিব্য গুণসকলকে (আ, বক্ষি) উপদেশ করুন (চ) এবং (য়ক্ষি) সমাগম করুন ॥ ৮ ॥

ভাবার্থঃ–যেমন সূর্য্য স্বীয় প্রকাশ দ্বারা সকল জগৎকে প্রসন্ন করে, সেইরূপ আপ্ত উপদেশক বিদ্বান্ সকল প্রাণিদিগকে প্রসন্ন করিবে ॥ ৮ ॥

স ন ইত্যস্য মেধাতিথির্ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । নিচৃদার্ষী গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

স নঃ॑ পাবক দীদি॒বোऽগ্নে॑ দে॒বাঁ২ऽই॒হাऽऽ ব॑হ ।
উপ॑ য়॒জ্ঞꣳ হ॒বিশ্চ॑ নঃ ॥ ঌ ॥

পদার্থঃ–হে (পাবক) পবিত্র (দীদিবঃ) তেজস্বিন্ বা শত্রুদাহক (অগ্নে) সত্যাসত্যের বিভাগকারী বিদ্বান্! (সঃ) পূর্বোক্ত গুণযুক্ত আপনার মত এই অগ্নি (নঃ) আমাদের জন্য উত্তম গুণ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ (হবিঃ) হবনকৃত সুগন্ধিত দ্রব্যকে প্রাপ্ত করে সেইরূপ (ইহ) এই সংসারে (য়জ্ঞম্) গৃহাশ্রম (চ) এবং (দেবান্) বিদ্বান্দিগকে (নঃ) আমাদিগের জন্য (উপ, আ, বহ) উত্তম প্রকার সামীপ্য প্রাপ্ত করুক ॥ ঌ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । যেমন এই অগ্নি স্বীয় সূর্য্যাদি রূপ দ্বারা সকল পদার্থ হইতে রসকে উপরে লইয়া বর্ষার উত্তম সুখকে প্রকট করে, সেইরূপ বিদ্বান্গণ বিদ্যারূপ রসের উন্নতি প্রদান করিয়া সকল সুখকে উৎপন্ন করুক ॥ ঌ ॥

সেনাপতিনা কথম্ভবিতব্যমিত্যুপদিশ্যতে ॥
সেনাপতি কেমন হওয়া উচিত, এই বিষয় পরবর্ত্তী মন্ত্রে বলা হইয়াছে ।

পাবকয়েত্যস্য ভারদ্বাজঃ ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । নিচৃদার্ষী ছন্দঃ । নিষাদঃ স্বরঃ ॥

পা॒ব॒কয়া॒ য়শ্চি॒তয়॑ন্ত্যা কৃ॒পা ক্ষাম॑ন্ রুরু॒চऽউ॒ষসো॒ ন ভা॒নুনা॑ ।
তূর্ব॒ন্ ন য়াম॒ন্নেত॑শস্য॒ নূ রণ॒ऽআ য়ো ঘৃ॒ণে ন ত॑তৃষা॒ণোऽঅ॒জরঃ॑ ॥ ১০ ॥

পদার্থঃ–(য়ঃ) যে (পাবকয়া) পবিত্রকারী এবং (চিতয়ন্ত্যা) চেতনতা প্রদানকারিণী (কৃপা) শক্তি সহ বর্ত্তমান সেনাপতি যেমন (ভানুনা) দীপ্তি দ্বারা (উষসঃ) প্রভাত সময় শোভিত হয় (ন) সেইরূপ (ক্ষামন্) রাজ্যভূমিতে (ররুচে) শোভিত হয় অথবা (য়ঃ) যে (য়ামন্) মার্গ বা প্রহরে যেমন (এতশস্য) অশ্ব সম্বন্ধীয় বলকে (নু) শীঘ্র (তূর্বন্) মারে (ন) সেইরূপ (ঘৃণে) উদ্দীপ্ত (রণে) যুদ্ধে (ততৃষাণঃ) তৃষ্ণার্ত্তের (ন) সমান (অজরঃ) অজর অজেয় নির্ভয় (আ) উত্তম প্রকার হইয়া থাকে সেই রাজ্য করিবার অধিকারী হইয়া থাকে ॥ ১০ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে উপমালঙ্কার আছে । যেমন সূর্য্য ও চন্দ্র স্বীয় দীপ্তি দ্বারা শোভিত হয় সেইরূপ সতী স্ত্রী সহ উত্তম পতি এবং উত্তম সেনা দ্বারা সেনাপতি উত্তম প্রকারে প্রকাশিত হইয়া থাকে ॥ ১০ ॥

নমস্তে হরস ইত্যস্য লোপামুদ্রা ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । ভুরিগার্ষী বৃহতী ছন্দঃ ।
মধ্যমঃ স্বরঃ ॥

নম॑স্তে॒ হর॑সে শো॒চিষে॒ নম॑স্তেऽঅস্ত্ব॒র্চিষে॑ ।
অ॒ন্যাঁস্তে॑ অ॒স্মত্ত॑পন্তু হে॒তয়ঃ॑ পাব॒কোऽঅ॒স্মভ্য॑ꣳ শি॒বো ভ॑ব ॥ ১১ ॥

পদার্থঃ–হে সভাপতে! (হরসে) দুঃখ হরণকারী (তে) তোমার জন্য আমাদের কৃত (নমঃ) সৎকার হউক তথা (শোচিষে) পবিত্র (অর্চিষে) সৎকারের যোগ্য (তে) তোমার জন্য আমাদের কথিত (নঃ) নমস্কার (অস্তু) হউক, যে (তে) তোমার (হেতয়ঃ) বজ্রাদি শস্ত্র যুক্ত সেনা আছে সেগুলি (অস্মৎ) আমাদিগের হইতে ভিন্ন (অন্যান্) অন্য শত্রুদিগকে (তপন্তু) দুঃখী করুক, (পাবকঃ) শুদ্ধকারী তুমি (অস্মভ্যম্) আমাদের জন্য (শিবঃ) ন্যায়কারী (ভব) হও ॥ ১১ ॥

ভাবার্থঃ–মনুষ্যদিগের উচিত যে, অন্তঃকরণে শুদ্ধ মনুষ্যদিগকে ন্যায়াধীশ করিয়া এবং দুষ্টদিগের নিবৃত্তি করিয়া সত্য ন্যায়ের প্রকাশ করুক ॥ ১১ ॥

নৃষদ ইত্যস্য লোপামুদ্রা ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । নিচৃদ্গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

নৃ॒ষদে॒ বেড॑প্সু॒ষদে॒ বেড্ ব॑র্হি॒ষদে॒ বেড্ ব॑ন॒সদে॒ বেট্ স্ব॒র্বিদে॒ বেট্ ॥ ১২ ॥

পদার্থঃ–হে সভাপতে! আপনি (নৃষদে) নায়কদিগের মধ্যে স্থির পুরুষ হওয়ার জন্য (বেট্) ন্যায়াসনোপরি বসিবার জন্য, (অপ্সুষদে) জলের মধ্যে নৌকাদিতে স্থির থাকার জন্য (বেট্) ন্যায়গদিতে বসিবার জন্য, (বর্হিষদে) প্রজাবৃদ্ধি করিবার ব্যবহারে স্থির হওয়ার জন্য, (বেট্) অধিষ্ঠাতা হওয়ার জন্য, (বনসদে) বনে নিবাস কারীদের জন্য, (বেট্) ন্যায়ে প্রবেশ করিবার জন্য এবং (স্বর্বিদে) সুখ জ্ঞাতা হইবার জন্য (বেট্) উৎসাহে প্রবেশকারী হউন ॥ ১২ ॥

ভাবার্থঃ–যে দেশে ন্যায়াধীশ, নৌকাচালক, প্রজাবৃদ্ধিকারী, বনে নিবাসকারী, সেনাদির নায়ক এবং সুখ উপস্থিত কারী বিদ্বান্ হয় তথায় সকল সুখের বৃদ্ধি হয় ॥ ১২ ॥

অথ সংন্যাসিভিঃ কিং কার্য়মিত্যাহ ॥
এখন সন্ন্যাসীদের কী করা উচিত, এই বিষয়ের উপদেশ পরবর্ত্তী মন্ত্রে করা হইয়াছে ।

য়ে দেবা ইত্যস্য লোপামুদ্রা ঋষিঃ । প্রাণো দেবতা । নিচৃদার্ষী জগতী ছন্দঃ ।
নিষাদঃ স্বরঃ ॥

য়ে দে॒বা দে॒বানাং॑ য়॒জ্ঞিয়া॑ য়॒জ্ঞিয়া॑নাᳬं সংবৎস॒রীণ॒মুপ॑ ভা॒গমাস॑তে ।
অ॒হু॒তাদো॑ হ॒বিষো॑ য়॒জ্ঞেऽঅ॒স্মিন্ৎস্ব॒য়ং পি॑বন্তু॒ মধু॑নো ঘৃ॒তস্য॑ ॥ ১৩ ॥

পদার্থঃ–(য়ে) যাহারা (দেবানাম্) বিদ্বান্দিগের মধ্যে (অহুতাদঃ) বিনা হবনকৃত পদার্থগুলির আহারকারী (দেবাঃ) বিদ্বান্ (য়জ্ঞিয়ানাম্) অথবা যজ্ঞ করিতে কুশল পুরুষদিগের মধ্যে (য়জ্ঞিয়াঃ) যোগাভ্যাসাদি যজ্ঞের যোগ্য বিদ্বান্গণ (সংবৎসরীণম্) সারা বৎসর পুষ্টকৃত (ভাগম্) সেবনীয় উত্তম পরমাত্মার (উপাসনা) উপাসনা করেন, তাঁহারা (অস্মিন্) এই (য়জ্ঞে) সমাগমরূপ যজ্ঞে (মধুনঃ) মধু (ঘৃতস্য) জল এবং (হবিষঃ) হবনযোগ্য পদার্থগুলির ভাগকে (স্বয়ম্) স্বয়ং (পিবন্তু) সেবন করুন ॥ ১৩ ॥

ভাবার্থঃ–যে বিদ্বান্গণ এই সংসারে অগ্নিক্রিয়া হইতে রহিত অর্থাৎ আহবনীয়, গার্হপত্য এবং দক্ষিণাগ্নি সম্পর্কীয় বাহ্য কর্ম ত্যাগ করিয়া আভ্যন্তর অগ্নির ধারণকারী সন্ন্যাসী আছে তাহারা হোম না করিয়া ভোজন করিয়া সর্বত্র বিচরণ করিয়া সকল মনুষ্যদিগকে বেদার্থের উপদেশ করিতে থাকিবে ॥ ১৩ ॥

অথোত্তমা বিদ্বাংসঃ কীদৃশা ভবন্তীত্যাহ ॥
এখন উত্তম বিদ্বান্গণ কেমন হয়, এই বিষয় পরবর্ত্তী মন্ত্রে বলা হইয়াছে ।

য় দেবা ইত্যস্য লোপামুদ্রা ঋষিঃ । প্রাণো দেবতা । আর্ষী জগতী ছন্দঃ । নিষাদঃ স্বরঃ ॥

য়ে দে॒বা দে॒বেষ্বধি॑ দেব॒ত্বমায়॒ন্ য়ে ব্রহ্ম॑ণঃ পুরऽএ॒তারো॑ऽঅ॒স্য । য়েভ্যো॒ নऽঋ॒তে পব॑তে॒ ধাম॒ কিঞ্চ॒ন ন তে দি॒বো ন পৃ॑থি॒ব্যাऽঅধি॒ স্নুষু॑ ॥ ১৪ ॥

পদার্থঃ–(য়ে) যাহারা (দেবাঃ) পূর্ণ বিদ্বান্ (দেবেষু, অধি) বিদ্বান্দিগের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম শ্রেণিতে বিরাজমান (দেবত্বম্) নিজ গুণ, কর্ম ও স্বভাবকে (আয়ন্) প্রাপ্ত হন্ এবং (য়ে) যাহারা (অস্য) এই (ব্রহ্মণঃ) পরমেশ্বরকে (পুরএতারঃ) প্রথম প্রাপ্ত করিয়া থাকেন (য়েভ্যঃ) যাহাদের (ঋতে) ব্যতীত (কিম্)(চন) কোন ও (ধাম) সুখের স্থান (ন) না (পবতে) পবিত্র হয় (তে) সেই সব বিদ্বান্গণ (ন) না (দিবঃ) সূর্য্যলোকের প্রদেশ সকল এবং (ন) না (পৃথিব্যাঃ) পৃথিবীর (অধি, স্নুষু) কোন ভাগে অধিক কাল বসবাস করেন ॥ ১৪ ॥

ভাবার্থঃ–যাহারা এই জগতে উত্তম বিদ্বান্ যোগীরাজ যথার্থতাপূর্বক পরমেশ্বরকে জানেন যাহারা সম্পূর্ণ প্রাণিদিগকে শুদ্ধ করিয়া এবং জীব মুক্তিদশায় পরোপকার করিয়া বিদেহমুক্তি অবস্থায় সূর্য্যলোক এবং পৃথিবীর উপরে নিয়মপূর্বক বসবাস করে না কিন্তু ঈশ্বরে স্থির হইয়া অব্যাহতগতিপূর্বক সর্বত্র বিচরণ করিয়া থাকে ॥ ১৪ ॥

প্রাণদা ইত্যস্য লোপামুদ্রা ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । বিরাডার্ষী পংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

প্রা॒ণ॒দাऽঅ॑পান॒দা ব্যা॑ন॒দা ব॑র্চো॒দা ব॑রিবো॒দাঃ ।
অ॒ন্যাঁস্তে॑ऽঅ॒স্মত্ত॑পন্তু হে॒তয়ঃ॑ পাব॒কোऽঅ॒স্মভ্য॑ꣳ শি॒বো ভ॑ব ॥ ১৫ ॥

পদার্থঃ–হে বিদ্বন্ রাজন্! (তে) আপনার যে উন্নতি বা শস্ত্রাদি (অস্মভ্যম্) আমাদিগের জন্য (প্রাণদাঃ) জীবন তথা বল প্রদান করিবার অথবা (অপানদাঃ) দুঃখ দূর করিবার সাধন প্রদান করিবার অথবা (ব্যানদাঃ) ব্যাপ্তি ও বিজ্ঞান প্রদান করিবার (বর্চোদাঃ) সকল বিদ্যার পড়িবার হেতু প্রদান করিবার এবং (বরিবোদাঃ) সত্য ধর্ম্ম এবং বিদ্বান্দিগের সেবাকে ব্যাপ্ত করাইবার জন্য (হেতয়ঃ) বজ্রাদি শস্ত্রসমূহের উন্নতি (অস্মৎ) আমাদের হইতে অন্য দুষ্ট শত্রুদিগকে (তপন্তু) দুঃখী করুক, তাহাদের সহিত (পাবকঃ) শুদ্ধির প্রচার করিয়া আপনি আমাদের জন্য (শিবঃ) কল্যাণকারী (ভব( হউন ॥ ১৫ ॥

ভাবার্থঃ–তিনিই রাজা যিনি ন্যায় বৃদ্ধিকারী এবং তিনিই বিদ্বান্ যিনি বিদ্যা দ্বারা ন্যায়কে জানিয়া থাকেন এবং তিনি রাজা নন্ যিনি প্রজাদিগকে পীড়া দিয়া থাকেন এবং তিনি বিদ্বান্ও নন্ যিনি অন্যান্যকে বিদ্বান্ করে না এবং তাহারা প্রজাগণও নয় যাহারা নীতিযুক্ত রাজার সেবা না করে ॥ ১৫ ॥

বিদ্বান্ কীদৃশো ভবেদিত্যাহ ॥
বিদ্বান্ কেমন হইবে, এই বিষয়ের উপদেশ পরবর্ত্তী মন্ত্রে করা হইয়াছে ।

অগ্নিরিত্যস্য ভারদ্বাজ ঋষিঃ । অগ্নির্দেবতা । নিচৃদার্ষী গায়ত্রী ছন্দঃ । ষড্জঃ স্বরঃ ॥

অ॒গ্নিস্তি॒গ্মেন॑ শো॒চিষা॒ য়াস॒দ্বিশ্বং॒ ন্য᳕ত্রিণ॑ম্ ।
অ॒গ্নির্নো॑ বনতে র॒য়িম্ ॥ ১৬ ॥

পদার্থঃ–হে বিদ্বান্ পুরুষ! যেমন (অগ্নিঃ) অগ্নি (তিগ্মেন) তীব্র (শোচিষা) প্রকাশ দ্বারা (অত্রিণম্) ভোগ্য (বিশ্বম্) সকলকে (য়াসত) প্রাপ্ত হয়; যেমন (অগ্নিঃ) বিদ্যুৎ অগ্নি (নঃ) আমাদের জন্য (রয়িম্) ধনকে (নি, বনতে) নিরন্তর বিভাগকর্ত্তা, সেইরপ আমাদের জন্য আপনিও হউন ॥ ১৬ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । বিদ্বান্দিগের উচিত যে, যেমন অগ্নি নিজ তেজ দ্বারা শুষ্ক, আর্দ্র, সমস্ত তৃণাদি দহন করে সেইরূপ আমাদের সকল দোষকে ভস্ম করিয়া গুণগুলি প্রাপ্ত করুন । যেমন বিদ্যুৎ সকল পদার্থের সেবন করে সেইরূপ আমাদিগকে সকল বিদ্যার সেবন করাইয়া অবিদ্যা হইতে পৃথক করিবেন ॥ ১৬ ॥

অথেশ্বরঃ কীদৃশোऽস্তীত্যুপদিশ্যতে ॥

এখন ঈশ্বর কেমন, এই বিষয়ের উপদেশ পরবর্ত্তী মন্ত্রে করা হইয়াছে ।

য় ইমা ইত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । নিচৃদার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

য়ऽই॒মা বিশ্বা॒ ভুব॑নানি॒ জুহ্ব॒দৃষি॒র্হোতা॒ ন্যসী॑দৎ পি॒তা নঃ॑ ।
সऽআ॒শিষা॒ দ্রবি॑ণমি॒চ্ছমা॑নঃ প্রথম॒চ্ছদব॑রাঁ॒২ऽআবি॑বেশ ॥ ১৭ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! (য়ঃ) যিনি (ঋষিঃ) জ্ঞানস্বরূপ (হোতা) সকল পদার্থের দাতা অথবা গ্রহণকারী, (নঃ) আমাদিগের (পিতা) রক্ষক পরমেশ্বর (ইমা) এই (বিশ্বা) সকল (ভুবনানি) লোক-লোকান্তর ব্যাপ্ত হইয়া (ন্যাসীদৎ) নিরন্তর স্থিত এবং যিনি সব লোকসমূহের (জুহ্বৎ) ধারণকর্ত্তা (সঃ) তিনি (আশিষা) আশীর্বাদ দ্বারা আমাদের জন্য (দ্রবীণম্) ধনকে (ইচ্ছামানঃ) ইচ্ছা করেন এবং (প্রথমচ্ছৎ) বিস্তৃত পদার্থ সকলকে আচ্ছাদিত করিয়া (অবরান্) পূর্ণ আকাশাদিকে (আবিবেশ) উত্তম প্রকার ব্যাপ্ত হইতেছেন ইহা তুমি জান ॥ ১৭ ॥

ভাবার্থঃ–যিনি সকল জগতের রচয়িতা, ধারক, পালক তথা বিনাশকারক এবং সমস্ত জীবদের জন্য সকল পদার্থের দাতা পরমেশ্বর স্বীয় ব্যাপ্তি দ্বারা আকাশাদিতে ব্যাপ্ত হইতেছেন, সকল মনুষ্য তাঁহারই উপাসনা করিবে ॥ ১৭ ॥

কিংᳬস্বিদিত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । ভুরিগার্ষী পংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

কিᳬস্বি॑দাসীদধি॒ষ্ঠান॑মা॒রম্ভ॑ণং কত॒মৎ স্বি॑ৎ ক॒থাসী॑ৎ ।
য়তো॒ ভূমিং॑ জ॒নয়॑ন্ বি॒শ্বক॑র্মা॒ বি দ্যামৌর্ণো॑ন্মহি॒না বি॒শ্বচ॑ক্ষাঃ ॥ ১৮ ॥

পদার্থঃ–হে বিদ্বন্ পুরুষ! এই জগতের (অধিষ্ঠানম্) আধার (কিং, স্বিৎ) কী আশ্চর্য্যরূপ (আসীৎ) আছে তথা (আরম্ভণম্) এই কার্য্য-জগতের রচনার আরম্ভিক কারণ (কতমৎ) বহু উপাদানসমূহে কী এবং উহা (কথা) কী প্রকারে (স্বিৎ) তর্ক সহ (আসীৎ) আছে যে (য়তঃ) যদ্দ্বারা (বিশ্বকর্মা) সকল সৎকর্ম্ম যুক্ত (বিশ্বচক্ষাঃ) সকল জগতের দ্রষ্টা জগদীশ্বর (ভূমিম্) পৃথিবী এবং (দ্যাম্) সূর্য্যাদি লোককে (জনয়ন্) উৎপন্ন করিয়া (মহিনা) স্বীয় মহিমা দ্বারা (বৌণðর্ৎ) বিবিধ প্রকারে আচ্ছাদিত করে ॥ ১৮ ॥

ভাবার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! এই জগৎ কোথায় থাকে, কী ইহার কারণ এবং কীজন্য উৎপন্ন হয়, এই সব প্রশ্নের উত্তর এই যে, যে জগদীশ্বর কার্য্য জগৎকে উৎপন্ন তথা স্বীয় ব্যাপ্তি দ্বারা সকলের আচ্ছাদন করিয়া সর্বজ্ঞতাপূর্বক সকলকে দেখেন, তিনি এই জগতের আধার এবং নিমিত্ত কারণ, তিনি সর্বশক্তিমান্ রচনাদির সামর্থ্য যুক্ত । জীবদিগকে পাপ পুণ্যের ফল প্রদাতা, ভোগ প্রদান করিবার জন্য এই সব সংসারের রচনা করিয়াছেন–এমন জানা উচিত ॥ ১৮ ॥

বিশ্বত ইত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । ভুরিগার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

বি॒শ্বত॑শ্চক্ষুরু॒ত বি॒শ্বতো॑মুখো বি॒শ্বতো॑বাহুরু॒ত বি॒শ্বত॑স্পাৎ ।
সং বা॒হুভ্যাং॒ ধম॑তি॒ সং পত॑ত্রৈ॒র্দ্যাবা॒ভূমী॑ জ॒নয়॑ন্ দে॒বऽএকঃ॑ ॥ ১ঌ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! তোমরা (বিশ্বতশ্চক্ষুঃ) সকল সংসারকে লক্ষ্যকারী (উত) এবং (বিশ্বতোমুখঃ) সকল দিক দিয়া সকলকে উপদেশকারী (বিশ্বতোবাহুঃ) সর্ব প্রকারে অনন্ত বল তথা পরাক্রম যুক্ত (উত) এবং (বিশ্বতস্পাৎ) সর্বত্র ব্যাপ্তিবিশিষ্ট (একঃ) অদ্বিতীয় সহায়রহিত (দেবঃ) স্বয়ং প্রকাশস্বরূপ (পতত্রৈঃ) ক্রিয়াশীল পরমাণু আদি দ্বারা (দ্যাবাভূমী) সূর্য্য ও পৃথিবী লোককে (সং, জনয়ন্) কার্য্যরূপ প্রকট করিয়া (বাহুভ্যাম্) অত্যন্ত বল পরাক্রম দ্বারা সকল জগৎকে (সং, ধমতি) সম্যক্ প্রাপ্ত হইতেছেন সেই পরমেশ্বরকে নিজের সকল দিক দিয়া নিজের রক্ষক উপাস্যদেব জান ॥ ১ঌ ॥

ভাবার্থঃ–যিনি সূক্ষ্ম হইতে সূক্ষ্ম, বৃহৎ হইতে বৃহৎ, নিরাকার, অনন্ত সামর্থ্যযুক্ত, সর্বত্র অভিব্যাপ্ত, প্রকাশস্বরূপ, অদ্বিতীয় পরমাত্মা, তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্ম কার্য্যরূপ জগৎ রচনা ও বিনাশ করিতে সক্ষম । যে পুরুষ তাঁহাকে ত্যাগ করিয়া অন্যের উপাসনা করে তাহার অপেক্ষা অন্য জগতে ভাগ্যহীন পুরুষ কে? ॥ ১ঌ ॥

কিংᳬস্বিদিত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । স্বরাডার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

কিᳬস্বি॒দ্বনং॒ কऽউ॒ স বৃ॒ক্ষऽআ॑স॒ য়তো॒ দ্যাবা॑পৃথি॒বী নি॑ষ্টত॒ক্ষুঃ ।
মনী॑ষিণো॒ মন॑সা পৃ॒চ্ছতেদু॒ তদ্যদ॒ধ্যতি॑ষ্ঠ॒দ্ ভুব॑নানি ধা॒রয়॑ন্ ॥ ২০ ॥

পদার্থঃ–প্রশ্ন–হে (মনীষিণঃ) মনের নিগ্রহকারী যোগীগণ! তোমরা (মনসা) বিজ্ঞান সহ বিদ্বান্দিগের প্রতি (কিং, স্বিৎ) কী (বনম্) সেবন যোগ্য কারণরূপ বন তথা (কঃ) কে (উ) বিতর্ক সহ (সঃ) সেই (বৃক্ষঃ) ছিদ্যমান অনিত্য কার্য্যরূপ সংসার (আস) আছে এমন (পৃচ্ছত) জিজ্ঞাসা কর যে, (য়তঃ) যদ্দ্বারা (দ্যাবাপৃথিবী) বিস্তারযুক্ত সূর্য্য ও ভূমি আদি লোকসমূহকে কে (নিষ্টতক্ষুঃ) ভিন্ন ভিন্ন নির্মাণ করিয়াছেন? উত্তর–(য়ৎ) যিনি (ভুবনানি) প্রাণিদিগের নিবাস করিবার স্থান লোক-লোকান্তরকে (ধারয়ন্) বায়ু, বিদ্যুৎ এবং সূর্য্যাদি দ্বারা ধারণ করিয়া (অধ্যতিষ্ঠৎ) অধিষ্ঠাতা, (তৎ) (ইৎ) সেই (উ) প্রসিদ্ধ ব্রহ্মকে এই সকলের কর্ত্তা স্বীকার কর ॥ ২০ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রের তিন পাদ দ্বারা প্রশ্ন এবংশেষের এক পাদ দ্বারা উত্তর দেওয়া হইয়াছে । বৃক্ষ শব্দ দ্বারা কার্য্য এবং বন শব্দ দ্বারা কারণের গ্রহণ হইয়াছে । যেমন সকল পদার্থকে পৃথিবী, পৃথিবীকে সূর্য্য, সূর্য্যকে বিদ্যুৎ এবং বিদ্যুৎকে বায়ু ধারণ করে, সেইরূপ এই সবকে ঈশ্বর ধারণ করে ॥ ২০ ॥

য়া ত ইত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

য়া তে॒ ধামা॑নি পর॒মাণি॒ য়াऽব॒মা য়া ম॑ধ্য॒মা বি॑শ্বকর্মন্নু॒তেমা ।

শিক্ষা॒ সখি॑ভ্যো হ॒বিষি॑ স্বধাবঃ স্ব॒য়ং য়॑জস্ব ত॒ন্বং᳖ বৃধা॒নঃ ॥ ২১ ॥

পদার্থঃ–হে (স্বধাবঃ) বহু অন্ন দ্বারা যুক্ত (বিশ্বকর্মন্) সকল উত্তম কর্মকারী পরমেশ্বর! (তে) আপনার সৃষ্টিতে (য়া) যাহা (পরমাণি) উত্তম (য়া) যাহা (অবমা) নিকৃষ্ট (য়া) যাহা (মধ্যমা) মধ্যশ্রেণির (ধামানি) সকল পদার্থের আধারভূত জন্মস্থান তথা নাম (ইমা) এই সকলকে (হবিষি) দেওয়া-নেওয়ার যোগ্য ব্যবহারে (স্বয়ম্) আপনি (য়জস্ব) সঙ্গতি করুন (উত) এবং আমাদের (তন্বম্) শরীরের (বৃধানঃ) উন্নতি করিয়া (সখিভ্যঃ) আপনার আজ্ঞাপালক আমা মিত্রদিগের জন্য (শিক্ষ) শুভগুণগুলির উপদেশ করুন ॥ ২১ ॥

ভাবার্থঃ–যেমন এই সংসারে ঈশ্বর নিকৃষ্ট, মধ্যম ও উত্তম বস্তু তথা স্থানের রচনা করিয়াছেন সেইরূপ সভাপতি আদির উচিত যে, তিন প্রকারের স্থান রচিয়া বস্তুসকলকে প্রাপ্ত হইয়া ব্রহ্মচর্য্য পূর্বক শরীরের বল বৃদ্ধি করিয়া এবং মিত্রদিগকে উত্তম শিক্ষা প্রদান করিয়া ঐশ্বর্য্যযুক্ত হইবে ॥ ২১ ॥

বিশ্বকর্মন্নিত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । নিচৃদার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

বিশ্ব॑কর্মন্ হ॒বিষা॑ বাবৃধা॒নঃ স্ব॒য়ং য়॑জস্ব পৃথি॒বীমু॒ত দ্যাম্ ।

মুহ্য॑ন্ত্ব॒ন্যেऽঅ॒ভিতঃ॑ স॒পত্না॑ऽই॒হাস্মাকং॑ ম॒ঘবা॑ সূ॒রির॑স্তু ॥ ২২ ॥

পদার্থঃ–হে (বিশ্বকর্মন্) সম্পূর্ণ উত্তম কর্মকারী সভাপতি! (হবিষা) উত্তম গুণগুলির গ্রহণ দ্বারা (বাবৃধানঃ) উন্নতি প্রাপ্ত যেমন ঈশ্বর (পৃথিবীম্) ভূমি (উত) এবং (দ্যাম্) সূর্য্যাদি লোককে সঙ্গত করে সেইরূপ আপনি (স্বয়ম্) স্বয়ংই (য়জস্ব) সকলের সঙ্গে সমাগম করুন । (ইহ) এই জগতে (মঘবা) প্রশংসিত ধনবান্ পুরুষ (সূরিঃ) বিদ্বান্ (অস্ত) হউক যদ্দ্বারা (অস্মাকম্) আমাদের (অন্যে) অন্য (সপত্নাঃ) শত্রুগণ (অভিতঃ) সব দিক দিয়া (মুহ্যন্তু) মোহকে প্রাপ্ত হউক ॥ ২২ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । ঈশ্বর যে প্রয়োজন হেতু যে পদার্থের রচনা করিয়াছেন, যে সব মনুষ্য উহা তদ্রূপ জানিয়া উপকার গ্রহণ করে, তাহাদের দারিদ্র্য ও আলস্যাদি দোষগুলির নাশ হওয়ায় শত্রুদিগের প্রলয় হয় এবং তাহারা স্বয়ং বিদ্বান্ হইয়া যায় ॥ ২২ ॥

কিংভূতো জনো রাজ্যাধিকারে নিয়োজ্য ইত্যাহ ॥
কেমন পুরুষ রাজ্যের অধিকারে নিয়োজিত করা দরকার, এই বিষয়ের উপদেশ পরবর্ত্তী মন্ত্রে করা হইয়াছে ।

বাচস্পতিমিত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । ভুরিগার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

বা॒চস্পতিং॑ বি॒শ্বক॑র্মাণমূ॒তয়ে॑ মনো॒জুবং॒ বাজে॑ऽঅ॒দ্যা হু॑বেম ।

স নো॒ বিশ্বা॑নি॒ হব॑নানি জোষদ্ বি॒শ্বশ॑ম্ভূ॒রব॑সে সা॒ধুক॑র্মা ॥ ২৩ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! আমরা (ঊতয়ে) রক্ষাদি হেতু যে (বাচস্পতিম্) বেদবাণীর রক্ষক (মনোজুবম্) মনের সমান বেগবান্ (বিশ্বকর্মাণম্) সকল কর্ম্মে কুশল মহাত্মা পুরুষকে (বাজে) সংগ্রামাদি কর্ম্মে (হুবেম) আহ্বান করি (সঃ) তিনি (বিশ্বশম্ভুঃ) সকলের জন্য সুখপ্রাপক (সাধুকর্মা) ধর্মযুক্ত কর্ম্মের সেবনকারী বিদ্বান্ (নঃ) আমাদের (অবসে) রক্ষা আদি হেতু (অদ্য) অদ্য (বিশ্বানি) সব (হবনানি) গ্রহণীয় কর্ম্মসমূহকে (জোষৎ) সেবন করুন ॥ ২৩ ॥

ভাবার্থঃ–মনুষ্যদিগের উচিত যে, যিনি ব্রহ্মচর্য্য-নিয়ম সহ সব বিদ্যা অধ্যয়ন করিয়াছেন, যিনি ধর্মাত্মা আলস্য ও পক্ষপাত ত্যাগ করিয়া উত্তম কর্মের সেবন করেন তথা শরীর ও আত্মবলে পূর্ণ তাঁহাকে সকল প্রজার রক্ষা করিতে অধিপতি রাজা করিবেন ॥ ২৩ ॥

মনুষ্যৈঃ কীদৃশো রাজা মন্তব্য ইত্যাহ ॥

মনুষ্যদিগকে কেমন পুরুষকে রাজা স্বীকার করা কর্ত্তব্য, এই বিষয়ের উপদেশ পরবর্ত্তী মন্ত্রে করা হইয়াছে ।

বিশ্বকর্মন্নিত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । নিচৃদার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বর ॥

বিশ্ব॑কর্মন্ হ॒বিষা॒ বর্দ্ধ॑নেন ত্রা॒তার॒মিন্দ্র॑মকৃণোরব॒ধ্যম্ ।

তস্মৈ॒ বিশঃ॒ সম॑নমন্ত পূ॒র্বীর॒য়মু॒গ্রো বি॒হব্যো॒ য়থাস॑ৎ ॥ ২৪ ॥

পদার্থঃ–হে (বিশ্বকর্মন্) সম্পূর্ণ শুভ কর্মগুলির সেবনকারী সকল সভার পতি রাজা! আপনি (হবিষা) গ্রহণীয় (বর্দ্ধনেন) বৃদ্ধি পূর্বক (অবধ্যম্) বধ করিবার অযোগ্য (ত্রাতারম্) রক্ষক (ইন্দ্রম্) উত্তম সম্পত্তিসম্পন্ন পুরুষকে রাজ কার্য্যে সম্মতিদাতা মন্ত্রী (অকৃণোঃ) করুন । (তস্মৈ) তাহার জন্য (পূর্বীঃ) প্রথম ন্যায়াধীশগণ প্রাপ্ত করাইয়াছেন যে (বিশঃ) প্রজাদিগকে (সমনমন্ত) উত্তম প্রকার নম্র করুন (যথা) যেমন (অয়ম্) এই মন্ত্রী, (উগ্রঃ) বধ করিতে তীক্ষ্ন (বিহব্যঃ) বিবিধ প্রকারের সাধন দ্বারা স্বীকার করিবার যোগ্য (অসৎ) হউন সেইরূপ করুন ॥ ২৪ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে উপমালঙ্কার আছে । সব সভার অধিষ্ঠাতা সহ সব সভাসদ সেই পুরুষকে রাজ্যাধিকার প্রদান করিবেন যিনি পক্ষপাতী নহেন । যিনি পিতার ন্যায় প্রজাদিগের রক্ষা করেন না, তাঁহাকে প্রজাগণ কখনও স্বীকার করিবেন না এবং যিনি পুত্রতুল্য প্রজাকে ন্যায়পূর্বক রক্ষা করিবেন তাঁহার অনুকূলে প্রজা নিরন্তর হইবে ॥ ২৪ ॥

চক্ষুষ ইত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

চক্ষু॑ষঃ পি॒তা মন॑সা॒ হি ধীরো॑ ঘৃ॒তমে॑নেऽঅজন॒ন্নম্ন॑মানে ।

য়॒দেদন্তা॒ऽঅদ॑দৃহন্ত॒ পূর্ব॒ऽআদিদ্ দ্যাবা॑পৃথি॒বীऽঅ॑প্রথেতাম্ ॥ ২৫ ॥

পদার্থঃ–হে প্রজাপুরুষগণ! আপনারা যে (চক্ষুষঃ) ন্যায় প্রদর্শনকারী উপদেশকের (পিতা) রক্ষক (মনসা) যোগাভ্যাস দ্বারা শান্ত অন্তঃ করণ (হি) ই দ্বারা (ধীরঃ) ধৈর্য্যবান্ (ঘৃতম্) ঘৃতকে (অজনৎ) প্রকট করেন তাহাকে অধিকার দিয়া (এনে) রাজা ও প্রজার দল (নম্নমানে) নম্নতুল্য আচরণ করিয়া (পূর্বে) প্রথম হইতে বর্ত্তমান (দ্যাবাপৃথিবী) প্রকাশ ও পৃথিবীর সমান মিশ্রিত হওয়ার ন্যায় (অপ্রথেতাম্) বিখ্যাত হউন সেইরূপ (ইৎ)  (য়দা) যখন (অন্তরঃ) অন্ত্যের অবয়ব তুল্য (অদদৃহন্ত) বৃদ্ধিকে প্রাপ্ত হইবে তখন (আৎ) তাহার পশ্চাৎ (ইৎ) ই স্থিররাজ্যযুক্ত হউন ॥ ২৫ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । যখন মনুষ্য রাজা ও প্রজার ব্যবহারে একমত হইয়া সর্বদা প্রযত্ন করিবে তখনই সূর্য্য ও পৃথিবী তুল্য স্থির সুখ যুক্ত হইবে ॥ ২৫ ॥

অথ পরমেশ্বরঃ কীদৃশোऽস্তীত্যুপদিশ্যতে ॥
এখন পরমেশ্বর কেমন, এই বিষয়ে পরবর্ত্তী মন্ত্রে বলা হইয়াছে ।

বিশ্বকর্মেত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । ভুরিগার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

বি॒শ্বক॑র্ম্মা॒ বিম॑না॒ऽআদ্বিহা॑য়া ধা॒তা বি॑ধা॒তা প॑র॒মোত সং॒দৃক্ ।

তেষা॑মি॒ষ্টানি॒ সমি॒ষা ম॑দন্তি॒ য়ত্রা॑ সপ্তऽঋ॒ষীন্ প॒রऽএক॑মা॒হুঃ ॥ ২৬ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! (বিশ্বকর্মা) যাহার সমস্ত জগতের রচনা করা ক্রিয়মাণ কর্ম এবং যিনি (বিমনাঃ) অনেক প্রকার বিজ্ঞানযুক্ত (বিহায়াঃ) বিবিধ প্রকারের পদার্থে ব্যাপ্ত (ধাতা) সকলের ধারণ-পোষণকারী (বিধাতা) এবং রচনাকারী (সংদৃক্) উত্তম প্রকার সকলকে দেখেন (পরঃ) এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম তথা যাহাকে (একম্) অদ্বিতীয় (আহুঃ) বলে অর্থাৎ যাহার মধ্যে অন্যের হস্তক্ষেপ হয় না (আৎ) এবং (য়ত্র) যাহার (সপ্তঋষীন্) পাঁচ প্রাণ, সূত্রাত্মা এবং ধনঞ্জয় এই সাতকে প্রাপ্ত হইয়া (ইষা) ইচ্ছা দ্বারা জীব (সং বদন্তি) উত্তম প্রকার আনন্দ প্রাপ্ত হয় (উত) এবং যিনি (তেষাম্) সেই সব জীবদিগকে (পরমা) উত্তম (দৃষ্টানি) সুখসিদ্ধকারী কর্মকে সিদ্ধ করেন সেই পরমেশ্বরের তোমরা উপাসনা কর ॥ ২৬ ॥

ভাবার্থঃ–মনুষ্যদিগের উচিত যে, সর্ব জগতের রচনাকারী, ধারণ-পালন, নাশকারী এক অর্থাৎ যাহার অন্য কোন সহায়ক হইতে পারে না, সেই পরমেশ্বরের উপাসনা নিজের আকাঙ্ক্ষিত কর্ম সিদ্ধ করিবার জন্য করা দরকার ॥ ২৬ ॥

য়ো ন ইত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মর্ষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । নিচৃদার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

য়ো নঃ॑ পি॒তা জ॑নি॒তা য়ো বি॑ধা॒তা ধামা॑নি॒ বেদ॒ ভুব॑নানি॒ বিশ্বা॑ ।

য়ো দে॒বানাং॑ নাম॒ধাऽএক॑ऽএ॒ব তꣳ সং॑প্র॒শ্নং ভুব॑না য়ন্ত্য॒ন্যা ॥ ২৭ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! (য়ঃ) যিনি (নঃ) আমাদের (পিতা) পালক (জনিতা) সকল পদার্থের উৎপাদনকারী তথা (য়ঃ) যিনি (বিধাতা) কর্মানুসার ফলদাতা তথা জগতের নির্মাণকারী (বিশ্বা) সমস্ত (ভুবনানি) লোকসমূহ এবং (ধামানি) জন্ম, স্থান বা নামকে (বেদ) জানেন (য়ঃ) যিনি (দেবানাম্) বিদ্বান্দিগের বা পৃথিবী আদি পদার্থের (নামধাঃ) নিজ বিদ্যা দ্বারা নামধারণকারী (একঃ) এক অর্থাৎ সহায়রহিত (এব) ই আছেন যাহাকে (অন্য) অন্যান্য (ভুবনা) লোকস্থ পদার্থ (য়ন্তি) প্রাপ্ত হইতে থাকে (সংপ্রশ্নম্) যাহার নিমিত্ত উত্তম প্রকার জিজ্ঞাসা করা হয় (তম্) তাহাকে তোমরা জান ॥ ২৭ ॥

ভাবার্থঃ–যিনি পিতৃতুল্য সমস্ত বিশ্বের পালক এবং সকলের জ্ঞাতা এক পরমেশ্বর তাহার এবং তাহার সৃষ্টির বিজ্ঞান দ্বারাই সকল মনুষ্য পরস্পর মিলিয়া প্রশ্ন ও উত্তর করিবে ॥ ২৭ ॥

তऽআয়জন্ত ইত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা ।
ভুরিগার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

তऽআऽয়॑জন্ত॒ দ্রবি॑ণ॒ꣳ সম॑স্মা॒ऽঋষ॑য়ঃ॒ পূর্বে॑ জরি॒তারো॒ ন ভূ॒না ।

অ॒সূর্ত্তে॒ সূর্ত্তে॒ রজ॑সি নিষ॒ত্তে য়ে ভূ॒তানি॑ স॒মকৃ॒॑ণ্বন্নি॒মানি॑ ॥ ২৮ ॥

পদার্থঃ–(য়ে) যাহারা (পূর্বে) পূর্ণ বিদ্যা দ্বারা সকলের পুষ্টি (জরিতারঃ) এবং স্তুতিকারীর (ন) সমান (ঋষয়ঃ) বেদার্থের জ্ঞাতা (ভূনা) বহু (অমূর্ত্তে) পরোক্ষ অর্থাৎ অপ্রাপ্ত অথবা (সূর্ত্তে) প্রত্যক্ষ অর্থাৎ প্রাপ্য (নিষত্তে) স্থিত বা স্থাপিত (রজসি) লোকে (ইমানি) এই সব প্রত্যক্ষ (ভূতানি) প্রাণিদিগকে (সমকৃন্বম্) উত্তম প্রকার শিক্ষিত করে, (তে) তাহারা (অস্মৈ) এই ঈশ্বরের আজ্ঞা পালনের জন্য (দ্রবিণম্) ধনকে (সম্, আ, য়জন্ত) উত্তম প্রকার সঙ্গত করিবে ॥ ২৮ ॥

ভাবার্থঃ–এই মন্ত্রে উপমালঙ্কার আছে । যেমন বিদ্বান্গণ এই জগতে পরমাত্মার আজ্ঞা পালন হেতু সৃষ্টিক্রম দ্বারা তত্ত্ব সমূহকে জানেন সেইরূপ অন্যান্য লোক আচরণ করিবে । যেমন ধার্মিকগণ ধর্মের আচরণ দ্বারা ধন সংগ্রহ করেন সেইরূপ সকলে উপার্জন করিবে ॥ ২৮ ॥

পরো দিবেত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মা ঋষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

প॒রো দি॒বা প॒রऽএ॒না পৃ॑থি॒ব্যা প॒রো দে॒বেভি॒রসু॑রৈ॒র্য়দস্তি॑ ।

কꣳস্বি॒দ্ গর্ভং॑ প্রথ॒মং দ॑ধ্র॒ऽআপো॒ য়ত্র॑ দে॒বাঃ স॒মপ॑শ্যন্ত॒ পূর্বে॑ ॥ ২ঌ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! যিনি (এনা) এই (দিবা) সূর্য্যাদি লোকসমূহ হইতে (পরঃ) পৃথক অর্থাৎ অত্যুত্তম (পৃথিব্যা) পৃথিবী আদি লোকসমূহ হইতে (পরঃ) পৃথক্ (দেবেভিঃ) বিদ্বান্ বা দিব্য প্রকাশিত প্রজাসকল এবং (অসুরৈঃ) অবিদ্বান্ তথা কালরূপ প্রজাসকল হইতে (পরঃ) পৃথক (অস্তি) আছেন (য়ত্র) যন্মধ্যে (আপঃ) প্রাণ (কং, স্বিৎ) কোন (প্রথসম্) বিস্তৃত (গর্ভম্) গ্রহণযোগ্য পদার্থকে (দধ্রে) ধারণ করিয়া অথবা (য়ৎ) যাহাকে (পূর্বে) পূর্ণবিদ্যার অধ্যয়নকারী (দেবাঃ) বিদ্বান্গণ (সমপশ্যন্ত) উত্তম প্রকার জ্ঞানচক্ষু দ্বারা দর্শন করেন তিনি ব্রহ্ম ইহা তোমরা জান ॥ ২ঌ ॥

ভাবার্থঃ–মনুষ্যদিগের উচিত যে, যিনি সর্বাপেক্ষা সূক্ষ্ম, বৃহৎ, অতিশ্রেষ্ঠ, সকলের ধারণকর্ত্তা, বিদ্বান্দিগের বিষয় অর্থাৎ সমস্ত বিদ্যাসমূহের সমাধানরূপ ধনাদি ও চেতনমাত্র সেই ব্রহ্ম উপাসনা করিবার যোগ্য, অন্য নয় ॥ ২ঌ ॥

পুনস্তমেব বিষয়মাহ ॥
পুনঃ সেই বিষয়কে পরবর্ত্তী মন্ত্রে বলা হইয়াছে ।

তমিদিত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

তমিদ্ গর্ভং॑ প্রথ॒মং দ॑ধ্র॒ऽআপো॒ য়ত্র॑ দে॒বাঃ স॒মগ॑চ্ছন্ত॒ বিশ্বে॑ ।

অ॒জস্য॒ নাভা॒বধ্যেক॒মর্পি॑তং॒ য়স্মি॒ন্ বিশ্বা॑নি॒ ভুব॑নানি ত॒স্থুঃ ॥ ৩০ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! (য়ত্র) যে ব্রহ্মে (আপঃ) কারণমাত্র প্রাণ বা জীব (প্রথমম্) বিস্তারযুক্ত অনাদি (গর্ভম্) সর্ব লোকসমূহের উৎপত্তির স্থান প্রকৃতিকে (দধ্রে) ধারণ করিয়া বা যন্মধ্যে (বিশ্বে) সমস্ত (দেবাঃ) দিব্য আত্মা ও অন্তকরণযুক্ত যোগীগণ (সমগচ্ছন্ত) প্রাপ্ত হয় অথবা যাহারা (অজস্য) অনুৎপন্ন অনাদি জীব বা অব্যক্ত কারণসমূহের (নাভৌ) মধ্যে (অধি) অধিষ্ঠাতৃত্ব দ্বারা সকলের উপর বিরাজমান (একম্) স্বয়ং সিদ্ধ (অর্পিতম্) স্থিত (য়স্মিন্) যন্মধ্যে (বিশ্বানি) সমস্ত (ভুবনানি) লোকোৎপন্ন দ্রব্য (তস্থুঃ) স্থির হয়, তোমরা (তমিৎ) তাহাকেই পরমাত্মা জান ॥ ৩০ ॥

ভাবার্থঃ–মনুষ্যদিগের উচিত যে, যিনি জগতের আধার, যোগীদের প্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য অন্তর্য্যামী স্বয়ং স্বীয় আধারে সকলের মধ্যে ব্যাপ্ত আছেন । তাঁহারই সেবন করা কর্ত্তব্য ॥ ৩০ ॥

পুনস্তমেব বিষয়মাহ ॥
পুনঃ সেই বিষয়কে পরবর্ত্তী মন্ত্রে বলা হইয়াছে ।

ন তং বিদাথেত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা ।
ভুরিগার্ষী পংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

ন তং বি॑দাথ॒ য়ऽই॒মা জ॒জানা॒ন্যদ্যু॒ষ্মাক॒মন্ত॑রং বভূব ।

নী॒হা॒রেণ॒ প্রাবৃ॑তা॒ জল্প্যা॑ চাসু॒তৃপ॑ऽউক্থ॒শাস॑শ্চরন্তি ॥ ৩১ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! যেমন ব্রহ্মকে যাহারা জানে না সেই সব পুরুষ (নীহারেণ) ধূম্রাকার কুয়াশা সদৃশ অজ্ঞানরূপ অন্ধকার দ্বারা (প্রাবৃতাঃ) উত্তম প্রকার আচ্ছাদিত (জল্প্যা) অল্প সত্য-অসত্য বাদানুবাদে স্থির থাকে এমন (অসুতৃপঃ) প্রাণপোষক (চ) এবং (উক্থশাসঃ) যোগাভ্যাস ত্যাগ করিয়া শব্দ, অর্থ, সম্বন্ধের খণ্ডন-মণ্ডনে রমণ করিয়া (চরন্তি) বিচরণ করে, সেইরূপ তোমরা (তম্) সেই পরমাত্মাকে (ন) (বিদাথ) জান না (য়ঃ) যিনি (ইমা) এই সব প্রজাদিগকে (জজান) উৎপন্ন করেন এবং যে ব্রহ্ম (য়ুষ্মাকম্) তোমাদের অধর্মী, অজ্ঞানীদের সকাশ হইতে (অন্যৎ) অর্থাৎ কার্য্যকারণ রূপ জগৎ ও জীব হইতে ভিন্ন (অন্তরম্) তথা সকলের মধ্যে স্থিতও দূরস্থ (বভূব) হন্ সেই অতিসূক্ষ্ম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মাকে জান না ॥ ৩১ ॥

ভাবার্থঃ–যে সব পুরুষ ব্রহ্মচর্য্যাদি ব্রত, আচার, বিদ্যা, যোগাভ্যাস, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সৎসঙ্গ ও পুরুষার্থ রহিত তাহারা অজ্ঞানরূপ অন্ধকারে আবৃত হওয়ার কারণে ব্রহ্মকে জানিতে পারে না । যে ব্রহ্ম জীব হইতে পৃথক্ অন্তর্য্যামী, সকলের নিয়ামক এবং সর্বত্র ব্যাপ্ত তাহাকে জানিতে, যাহার আত্মা পবিত্র, তাহারাই যোগ্য হয়, অন্যরা নহে ॥ ৩১ ॥

বিশ্বকর্মেত্যস্য ভুবনপুত্রো বিশ্বকর্মর্ষিঃ । বিশ্বকর্মা দেবতা । স্বরাডার্ষী পংক্তিশ্ছন্দঃ । পঞ্চমঃ স্বরঃ ॥

বি॒শ্বক॑র্মা॒ হ্যজ॑নিষ্ট দে॒বऽআদিদ্ গ॑ন্ধ॒র্বোऽঅ॑ভবদ্ দ্বি॒তীয়ঃ॑ ।

তৃ॒তীয়ঃ॑ পি॒তা জ॑নি॒তৌষ॑ধীনাম॒পাং গর্ভং॒ ব্য᳖দধাৎ পুরু॒ত্রা ॥ ৩২ ॥

পদার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! এই জগতে (বিশ্বকর্মা) যাহার সমস্ত শুভ কর্ম, সেই (দেবঃ) দিব্যস্বরূপ বায়ু প্রথম (ইৎ)  (অভবৎ) হয় (আৎ) ইহার অনন্তর (গান্ধর্বঃ) যাহা পৃথিবীকে ধারণ করে সেই সূর্য্য বা সূত্রাত্মা বায়ু (অজনিষ্ট) উৎপন্ন এবং (ওষধীনাম্) যবাদি ওষধিসকল (অপাম্) জল ও প্রাণের (পিতা) পালক (হি)  (দ্বিতীয়ঃ) দ্বিতীয় অর্থাৎ ধনঞ্জয় তথা যাহা প্রাণীসকলের (গর্ভম্) গর্ভ অর্থাৎ ধারণকে (ব্যদধাৎ) বিধান করে সে (পুরুত্রা) বহুর রক্ষক (জনিতা) জল ধারণকারী মেঘ (তৃতীয়ঃ) তৃতীয় উৎপন্ন হয়–এই বিষয়কে আপনারা বুঝুন ॥ ৩২ ॥

ভাবার্থঃ–সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য যে, এই সংসারে সকল কর্মের সেবনকারী জীব প্রথমে, বিদ্যুৎ, অগ্নি, বায়ু, ও সূর্য্য, পৃথিবী আদি লোকসমূহ ধারণকারী হয়, তাহারা দ্বিতীয় এবং মেঘাদি তৃতীয় । তন্মধ্যে প্রথম জীব অজ অর্থাৎ উৎপন্ন হয় না এবং দ্বিতীয় তৃতীয় উৎপন্ন হইয়াছে কিন্তু সেগুলিও কারণ রূপে নিত্য এইরকম জানিবে ॥ ৩২ ॥

অথ সেনাপতিকৃত্যমুপদিশ্যতে ॥
এখন সেনাপতির কৃত্যের উপদেশ পরবর্ত্তী মন্ত্রে করা হইয়াছে ।

আশুঃ শিশান ইত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

আ॒শুঃ শিশা॑নো বৃষ॒ভো ন ভী॒মো ঘ॑নাঘ॒নঃ ক্ষোভ॑ণশ্চর্ষণী॒নাম্ । সং॒ক্রন্দ॑নোऽনিমি॒ষऽএ॑কবী॒রঃ শ॒তꣳ সেনা॑ऽঅজয়ৎ সা॒কমিন্দ্রঃ॑ ॥ ৩৩ ॥

পদার্থঃ–হে বিদ্বান্ মনুষ্যগণ! তোমরা যে (চর্ষণীনাম্) সমস্ত মনুষ্যগণ বা তাহাদের সম্পর্কিত সেনা মধ্যে (আশুঃ) শীঘ্রকারী (শিশানঃ) পদার্থসমূহকে সূক্ষ্মকারী (বৃষভঃ) বলবান্ বৃষের (ন) সমান (ভীমঃ) ভয়ংকর (ঘনাঘনঃ) অত্যন্ত আবশ্যকতা সহ শত্রুদিগের নাশকারী (ক্ষোভনঃ) তাহাদিগকে কম্পনকারী (সংক্রন্দনঃ) উত্তম প্রকার শত্রুদিগকে রোদনকারী এবং (অনিমিষঃ) রাত্রি-দিন প্রযত্নকারী (একবীরঃ) একাবীর (ইন্দ্রঃ) শত্রুদিগকে বিদীর্ণকারী সেনার অধিপতি পুরুষ আমাদিগের (সাকম্) সহ (শতম্) বহু (সেনাঃ) সেই সব সেনাকে যদ্দ্বারা শত্রুকে বন্ধন করে, (অজয়ৎ) জিতিয়া লয়–তাহাকেই সেনাধীশ কর ॥ ৩৩ ॥

ভাবার্থঃ–মনুষ্যদিগের উচিত যে, যিনি ধনুর্বেদ এবং ঋগ্বেদাদি শাস্ত্রজ্ঞাতা, নির্ভয়, সর্বদিকে কুশল, অতি বলবান্, ধার্মিক, নিজ প্রভুর রাজ্যে সম্প্রীতিকারী, জিতেন্দ্রিয়, শত্রুদিগের বিজয়ী তথা স্বীয় সেনাকে শেখাইতে এবং যুদ্ধ করাইতে কুশল বীর পুরুষ হয় তাহাকে সেনাপতির অধিকারে নিযুক্ত করিবে ॥ ৩৩ ॥

সংক্রন্দনেনেত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । স্বরাডার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

সং॒ক্রন্দ॑নেনানিমি॒ষেণ॑ জি॒ষ্ণুনা॑ য়ুৎকা॒রেণ॑ দুশ্চ্যব॒নেন॑ ধৃ॒ষ্ণুনা॑ ।

তদিন্দ্রে॑ণ জয়ত॒ তৎস॑হধ্বং॒ য়ুধো॑ নর॒ ইষু॑হস্তেন॒ বৃষ্ণা॑ ॥ ৩৪ ॥

পদার্থঃ–হে (য়ুধঃ) যুদ্ধকারী (নরঃ) মনুষ্যগণ! তোমরা (অনিমিষেণ) নিরন্তর প্রযত্ন করিয়া (দুশ্চ্যবনেন) শত্রুদিগকে কষ্ট প্রদানকারী (ধৃষ্ণুনা) দৃঢ় উৎসাহী (য়ুৎকারেণ) বিবিধ প্রকারের রচনাগুলি সহ যোদ্ধাদেরকে মিলনকারী এবং না মিলানকারী (বৃষ্ণা) বলবান্ (ইষুহস্তেন) বাণাদি শস্ত্রকে হস্তে ধারণকারী (সংক্রন্দনেন) এবং দুষ্টদিগকে অত্যন্ত রোদনকারী (জিষ্ণুনা) জয়শীল শত্রুদিগকে জয় কর এবং অথবা (ইন্দ্রেন) পরম ঐশ্বর্য্যকারী (তৎ) সেই পূর্বোক্ত সেনাপতি আদি সহ বর্ত্তমান শত্রুদিগকে (জয়ত) জয় কর এবং (তৎ) সেই শত্রুর সৈন্যবেগ বা যুদ্ধ হইতে উদ্ভুত দুঃখকে (সহধবম্) সহন কর ॥ ৩৪ ॥

ভাবার্থঃ–হে মনুষ্যগণ! তোমরা যুদ্ধ বিদ্যায় কুশল সর্ব গুণ-লক্ষণ ও বল পরাক্রমযুক্ত মনুষ্যকে সেনাপতি করিয়া তৎসহ অধার্মিক শত্রুদিগকে জিতিয়া নিষ্কণ্টক চক্রবর্ত্তী রাজ্য ভোগ কর ॥ ৩৪ ॥

স ইষুহস্তৈরিত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

সऽইষু॑হস্তৈঃ॒ স নি॑ষ॒ঙ্গিভি॑র্ব॒শী সꣳস্র॑ষ্টা॒ স য়ুধ॒ऽইন্দ্রো॑ গ॒ণেন॑ ।

স॒ꣳসৃ॒ষ্ট॒জিৎ সো॑ম॒পা বা॑হুশ॒র্ধ্যু᳕গ্রধ॑ন্বা॒ প্রতি॑হিতাভি॒রস্তা॑ ॥ ৩৫ ॥

পদার্থঃ–(সঃ) সেই সেনাপতি (ইষুহস্তৈঃ) শস্ত্রসকলকে হস্তে ধারণকারী এবং উত্তম শিক্ষিত বলবান্ (নিষঙ্গিভিঃ) যাহার ‘ভুশুন্ডী’ ‘বন্দুক’ শতঘ্নী ‘তোপ’ এবং আগ্নেয় ইত্যাদি বহু অস্ত্র বিদ্যমান সেই সব ভৃত্যদের সহ বর্ত্তমান (সঃ) সেই (সংস্রষ্টা) শ্রেষ্ঠ মনুষ্যগণ তথা শস্ত্র ও অস্ত্রের সম্পর্ক রক্ষাকারী (বশী) স্বীয় ইন্দ্রিয় ও অন্তঃকরণ জিতিয়া যে (সংসৃষ্টজিৎ) প্রাপ্ত শত্রুকে জিতিয়া লয় (সোমপাঃ) বলিষ্ঠ ওষধিসকলের রসকে পান করে (বাহুশর্দ্ধী) ভুজায় যাহার বল বিদ্যমান এবং (উগ্রধন্বা) যাহার তীক্ষ্ন ধনু, (সঃ) সে (য়ুধঃ) যুদ্ধশীল (অস্তা) শস্ত্র ও অস্ত্রকে উত্তম প্রকার নিক্ষেপকারী তথা (ইন্দ্রঃ) শত্রুদিগকে বধকারী এবং (গণেন) উত্তম শিক্ষিত ভৃত্য বা সেনাবীর (প্রতিহিতাভিঃ) প্রত্যক্ষতা পূর্বক স্বীকৃত সেনা সহ বর্ত্তমান হইয়া লোকদেরকে জয়লাভ করিবে ॥ ৩৫ ॥

ভাবার্থঃ–সকলের ঈশ, রাজা বা সকল সেনার অধিপতি উত্তম শিক্ষিত বীর ভৃত্য সকলকে সেনাসহ বর্ত্তমান দুঃখ হইতে জিতিবার যোগ্য শত্রুদেরকেও জিতিতে পারেন, সেইরূপ সকলকে করা উচিত ॥ ৩৫ ॥

বৃহস্পত ইত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

বৃহ॑স্পতে॒ পরি॑ দীয়া॒ রথে॑ন রক্ষো॒হামিত্রাঁ॑২ऽ অপ॒বাধ॑মানঃ ।

প্র॒ভ॒ঞ্জন্ৎসেনাঃ॑ প্রমৃ॒ণো য়ু॒ধা জয়॑ন্ন॒স্মাক॑মেদ্ধ্যবি॒তা রথা॑নাম্ ॥ ৩৬ ॥

পদার্থঃ–হে (বৃহস্পতে) ধার্মিকগণ, বৃদ্ধ বা সেনার রক্ষক! (রক্ষোহা) যে দুষ্ট দিগকে নিধন করিতে (অমিত্রান্) শত্রুদিগকে (অপবাঘমানঃ) দূর করিতে (প্রমৃণঃ) ভাল মত মারিতে এবং (সেনাঃ) তাহাদের সেনাকে (প্রভঞ্জন্) ভগ্ন করিতে তুমি (রথেন) রথসমূহ দ্বারা (য়ুধা) যুদ্ধে শত্রুদিগকে (পরি, দীয়া) সব দিক্ দিয়া কাটিয়া ফেল সুতরাং (জয়ন্) উৎকর্ষ অর্থাৎ জয় প্রাপ্ত হইয়া (অস্মাকম্) আমাদিগের (রথানাম্) রথগুলির (অবিতা) রক্ষাকারী (এধি) হও ॥ ৩৬ ॥

ভাবার্থঃ–রাজা সেনাপতি এবং স্বীয় সেনাকে উৎসাহ প্রদান করিয়া তথা শত্রুসেনাকে নিধন করিয়া ধর্মাত্মা প্রজাগণের নিরন্তর উন্নতি করিবে ॥ ৩৬ ॥

বলবিজ্ঞায় ইত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

ব॒ল॒বি॒জ্ঞা॒য়ঃ স্থবি॑রঃ॒ প্রবী॑রঃ॒ সহ॑স্বান্ বা॒জী সহ॑মানऽউ॒গ্রঃ ।

অ॒ভিবী॑রোऽঅ॒ভিস॑ত্বা সহো॒জা জৈত্র॑মিন্দ্র॒ রথ॒মা তি॑ষ্ঠ গো॒বিৎ ॥ ৩৭ ॥

পদার্থঃ–হে (ইন্দ্র) যুদ্ধের উত্তম সামগ্রী যুক্ত সেনাপতি! (বলবিজ্ঞায়ঃ) যে নিজ সেনাকে বলী করা জানে (স্থবিরঃ) বৃদ্ধ (প্রবীরঃ) উত্তম বীর (সহস্বান্) অত্যন্ত বলবান্ (বাজী) যাহার প্রশংসিত শাস্ত্রবোধ আছে (সহমানঃ) যে সুখ ও দুঃখকে সহ্য করিবার তথা (উগ্রঃ) দুষ্টদিগকে মারিবার জন্য তীব্র তেজ যুক্ত (অভিবীরঃ) যাহার অভীষ্ট অর্থাৎ তৎকাল আকাঙ্ক্ষিত কর্ম করিবার লোকেরা বা (অভিসত্বা) সব দিক্ দিয়া যুদ্ধ বিদ্যায় কুশল রক্ষাকারী বীর আছে (সহোজাঃ) বল দ্বারা প্রসিদ্ধ (গোবিৎ) বাণী, গাভিসকল বা পৃথিবীকে প্রাপ্ত হইয়া এইরকম তুমি যুদ্ধ হেতু (জৈত্রম্) জয়ী বীরদের দ্বারা পরিবৃত (রথম্) পৃথিবী, সমুদ্র এবং আকাশে গমনশীল রথে (আ, তিষ্ঠ) আসিয়া স্থিত হও, তাহাতে আসীন হও ॥ ৩৭ ॥

ভাবার্থঃ–সেনাপতি বা সেনার বীর যখন শত্রুদিগের সহিত যুদ্ধের ইচ্ছা করিবে তখন পরস্পর সব দিক দিয়া রক্ষা এবং রক্ষার সাধনগুলি সংগ্রহ করিয়া বিচার ও উৎসাহের সঙ্গে বর্ত্তমান আলস্য রহিত হইয়া শত্রুদিগকে জিতিতে তৎপর হও ॥ ৩৭ ॥

গোত্রভিদমিত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । ভুরিগার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

গো॒ত্র॒ভিদং॑ গো॒বিদং॒ বজ্র॑বাহুং॒ জয়॑ন্ত॒মজ্ম॑ প্রমৃ॒ণন্ত॒মোজ॑সা ।

ই॒মꣳ স॑জাতা॒ऽঅনু॑ বীরয়ধ্ব॒মিন্দ্র॑ꣳ সখায়ো॒ऽঅনু॒ সꣳ র॑ভধ্বম্ ॥ ৩৮ ॥

পদার্থঃ–হে (সজাতাঃ) একদেশে উৎপন্ন (সখায়ঃ) পরস্পর সাহায্যকারী মিত্রগণ! তোমরা (ওজসা) স্বীয় শরীর ও বুদ্ধি বল বা সেনাগণ দ্বারা (গোত্রভিদম্) শত্রুদিগের গোত্র অর্থাৎ সমুদায়কে ছিন্ন ভিন্ন কর, তাহাদের শিকড় কাট (গোবিদং) শত্রুদিগের ভূমি গ্রহণ করিয়া লও (বজ্রবাহুম্) নিজ ভুজা মধ্যে শস্ত্রগুলি ধারণ কর (প্রমৃণন্তম্) উত্তম প্রকারে শত্রুদিগকে বধ কর (অজ্ম) যদ্দ্বারা বা যন্মধ্যে শত্রুগণকে আছাড় মার সেই সংগ্রামে (জয়ন্তম্) বৈরীদেরকে জিতিয়া লও এবং (ইমম্, ইন্দ্রম্) তাহাদেরকে বিদীর্ণ কর এই সেনাপতিকে (অনু, বীরয়ধ্বম্) প্রোৎসাহিত কর এবং (অনু, সংরভধ্বম্) উত্তম প্রকারে যুদ্ধ আরম্ভ কর ॥ ৩৮ ॥

ভাবার্থঃ–সেনাপতি আদি তথা সেনার ভৃত্য পরম্পর মিত্র হইয়া একে অপরের অনুমোদন করিয়া যুদ্ধের আরম্ভ ও বিজয় করিয়া শত্রুদিগের রাজ্য প্রাপ্ত হইয়া এবং ন্যায়পূর্বক প্রজাকে পালন করিয়া নিরন্তর সুখী হউক ॥ ৩৮ ॥

অভিগোত্রাণীত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । নিচৃদার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

অ॒ভি গো॒ত্রাণি॒ সহ॑সা॒ গাহ॑মানোऽদ॒য়ো বী॒রঃ শ॒তম॑ন্যু॒রিন্দ্রঃ॑ ।

দু॒শ্চ্য॒ব॒নঃ পৃ॑তনা॒ষাড॑য়ু॒ধ্যো᳕ऽঅ॒স্মাক॒ꣳ সেনা॑ অবতু॒ প্র য়ু॒ৎসু ॥ ৩ঌ ॥

পদার্থঃ–হে বিদ্বান্গণ! (য়ুৎসু) যাহার দ্বারা বহু পদার্থের মিশ্রণ অমিশ্রণ করে সেই সব যুদ্ধে (সহসা) বল দ্বারা (গোত্রাণি) শত্রুদিগের কুলকে (প্র, গাহমানঃ) উত্তম প্রযত্ন পূর্বক আলোড়িত করিয়া (অদয়ঃ) নির্দয়, (শতমন্যুঃ) যাহার শত প্রকার ক্রোধ বিদ্যমান (দুশ্চ্যবনঃ) যে দুঃখ দ্বারা শত্রুদেরকে পাতিত করিবার যোগ্য (পৃতনাঘাট্) শত্রুর সেনাকে সহ্য করে (অয়ুধ্যঃ) এবং যে শত্রুদের সহিত যুদ্ধ করিবার যোগ্য নহে (বীরঃ) তথা শত্রুদিগকে বিদীর্ণ করে সে (অস্মাকম্) আমাদের (সেনাঃ) সৈন্যদিগকে (অভি, অবতু) সব দিক দিয়া পালন করিবে এবং (ইন্দ্রঃ) সেনাধিপতি হয়–এই রকম আজ্ঞা তুমি প্রদান কর ॥ ৩ঌ ॥

ভাবার্থঃ–যে ধার্মিকদিগের মধ্যে করুণা সঞ্চারকারী এবং দুষ্টদিগের মধ্যে দয়ারহিত সব দিক দিয়া সকলের রক্ষাকারী মনুষ্য হয়, সেই সেনা পালনে অধিকারী হওয়ার যোগ্য ॥ ৩ঌ ॥

ইন্দ্রऽআসামিত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । বিরাডার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

ইন্দ্র॑ऽআসাং নে॒তা বৃহ॒স্পতি॒র্দক্ষি॑ণা য়॒জ্ঞঃ পু॒রऽএ॑তু॒ সোমঃ॑ ।দে॒ব॒সে॒নানা॑মভিভঞ্জতী॒নাং জয়॑ন্তীনাং ম॒রুতো॑ য়॒ন্ত্বগ্র॑ম্ ॥ ৪০ ॥

পদার্থঃ–যুদ্ধে (অভিভঞ্জতীনাম্) শত্রুদিগের সেনাকে সব দিক দিয়া মর্দন করিয়া (জয়ন্তীনাম্) এবং শত্রুদিগকে জয়লাভ করিবার ফলে উৎসাহ প্রাপ্ত হওয়ায় (আসাম্) এই সব (দেবসেনানাম্) বিদ্বান্দিগের সেনার (নেতা) নায়ক (ইন্দ্রঃ) উত্তম ঐশ্বর্য্য যুক্ত শিক্ষক সেনাপতি পশ্চাৎ (য়জ্ঞঃ) সকলকে প্রাপ্তকারী (পুরঃ) প্রথম (বৃহস্পতিঃ) সকল অধিকারীদিগের অধিপতি (দক্ষিণা) দক্ষিণ দিকে এবং (সোমঃ) সেনাকে প্রেরণা অর্থাৎ উৎসাহদাতা বাম দিকে (এতু) চলুক তথা (মরুতঃ) পবন সমান বেগবিশিষ্ট বলী শূরবীর (অগ্রম্) অগ্রে (য়ন্তু) যাউক ॥ ৪০ ॥

ভাবার্থ –যখন রাজপুরুষ শত্রুদিগের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে চাহে তখন সকল দিকে অধ্যক্ষ তথা শূরবীরদিগকে সম্মুখে এবং ভীরুদিগকে মধ্যে ঠিক মতো স্থাপন করিয়া ভোজন-আচ্ছাদন বাহন অস্ত্র ও শস্ত্রযোগে যুদ্ধ করিবেন এবং তথায় বিদ্বান্দিগের সেনার অধীন মূর্খদিগের সেনা করা দরকার, সেই সব সেনাকে বিদ্বান্গণ উত্তম উপদেশ দ্বারা উৎসাহ প্রদান করিবেন এবং সেনাধ্যক্ষাদি পদ্মবূ্যহ আদি রচিয়া যুদ্ধ করাইবেন ॥ ৪০ ॥

ইন্দ্রস্যেত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । আর্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

ইন্দ্র॑স্য॒ বৃষ্ণো॒ বর॑ুণস্য॒ রাজ্ঞ॑ऽআদি॒ত্যানাং॑ ম॒রুতা॒ᳬশর্দ্ধ॑ऽউ॒গ্রম্ ।
ম॒হাম॑নসাং ভুবনচ্য॒বানাং॒ ঘোষো॑ দে॒বানাং॒ জয়॑তা॒মুদ॑স্থাৎ ॥ ৪১ ॥

পদার্থঃ–(বৃষ্ণঃ) বীর্য্যবান্ (ইন্দ্রস্য) সেনাপতি, (বরুণস্য) সর্বাপেক্ষা উত্তম, (রাজ্ঞঃ) ন্যায় ও বিনয়াদি গুণ দ্বারা প্রকাশমান সকলের অধিপতি রাজা, (ভুবনচ্যবানাম্) যাহারা উত্তম গৃহ প্রাপ্ত হয়েন (মহামনসাম্) মহৎ বিচারবিশিষ্ট অথবা (জয়তাম্) শত্রুদিগের জিতিতে সমর্থ (আদিত্যানাম্) যাহারা ৪৮ বর্ষ পর্য্যন্ত ব্রহ্মচর্য্য পালন করিয়াছেন (মরুতাম্) এবং যাহারা পূর্ণ বিদ্যা বল যুক্ত, সেই সব (দেবানাম্) বিদ্বান্ পুরুষদিগের (উগ্রম্) যাহারা শত্রুদিগের অসহ্য (শর্দ্ধঃ) বল (ঘোষঃ) শূরতা এবং উৎসাহ উৎপন্নকারী বিচিত্র বাদ্যের স্বরালাপ শব্দ উহা যুদ্ধের আরম্ভ হইতে প্রথমে (উদস্থাৎ) উঠুক্ ॥ ৪১ ॥

ভাবার্থঃ–সেনাধ্যক্ষের উচিত যে, শিক্ষা ও যুদ্ধের সময় মনোহর বীরভাব উৎপন্নকারী উত্তম বাদ্যের বাজানো শব্দ দ্বারা বীরদিগকে হর্ষিত করাইবে তথা যাহারা বহুকাল পর্য্যন্ত ব্রহ্মচর্য্য এবং অধিক বিদ্যা দ্বারা শরীর ও আত্মবলযুক্ত তাহারাই যোদ্ধাদিগের সেনার অধিকারী করিবার যোগ্য ॥ ৪১ ॥

উদ্ধর্ষয়েত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । বিরাডার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

উদ্ধ॑র্ষয় মঘব॒ন্নায়ু॑ধা॒ন্যুৎসত্ব॑নাং মাম॒কানাং॒ মনা॑ᳬসি ।
উদ্ বৃ॑ত্রহন্ বা॒জিনাং॒ বাজি॑না॒ন্যুদ্রথা॑নাং॒ জয়॑তাং য়ন্তু॒ ঘোষাঃ॑ ॥ ৪২ ॥

পদার্থঃ–সেনার পুরুষ নিজ প্রভুকে এইরকম বলিবেন যে, হে (বৃত্রহন্) মেঘকে সূর্য্য সমান শত্রুদিগকে ছিন্ন ভিন্নকারী (মঘবন্) প্রশংসিত ধনযুক্ত সেনাপতি! আপনি (মামকানাম্) আমাদিগের (সত্বনাম্) সেনাস্থ বীর পুরুষদের (আয়ুধানি) যদ্দ্বারা উত্তম প্রকার যুদ্ধ করে সেই সব শস্ত্রগুলির (উদ্ধর্ষয়) উৎকর্ষ করুন । আমাদের সেনাস্থগণের (মনাংসি) মনকে (উৎ) উত্তম হর্ষযুক্ত করুন । আমাদের (বাজিনাম্) অশ্বদিগের (বাজিনানি) শীঘ্র গমনকে (উৎ) বৃদ্ধি করান তথা আপনার কৃপায় আমাদের (জয়তাম্) বিজয় প্রদানকারী (রথানাম্) রথগুলির (ঘোষাঃ) শব্দ (উদ্যন্ত) উত্থিত হউক ॥ ৪২ ॥

ভাবার্থঃ–সেনাপতি ও শিক্ষকগণের উচিত যে, যোদ্ধাদের চিত্তকে নিত্য হর্ষিত করিবেন এবং সেনার অঙ্গকে উত্তম প্রকার উন্নতি প্রদান করিয়া শত্রুদের উপর জয়লাভ করিবেন ॥ ৪২ ॥

অস্মাকমিত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । নিচৃদার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ ।
ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

অ॒স্মাক॒মিন্দ্রঃ॒ সমৃ॑তেষু ধ্ব॒জেষ্ব॒স্মাকং॒ য়াऽইষ॑ব॒স্তা জ॑য়ন্তু ।
অ॒স্মাকং॑ বী॒রাऽউত্ত॑রে ভবন্ত্ব॒স্মাঁ২ऽউ॑ দেবাऽঅবতা॒ হবে॑ষু ॥ ৪৩ ॥

পদার্থঃ–হে (দেবাঃ) বিজয়কামী বিদ্বান্গণ! তোমরা (অস্মাকম্) আমাদিগের (সমৃতেষু) উত্তম প্রকার সত্য ন্যায় প্রকাশকারী চিহ্ন যন্মধ্যে হয় সেই সব (ধবজেষু) স্বীয় বীরগণের নিশ্চয় হেতু রথাদি যানসমূহের উপর একে অপরের হইতে ভিন্ন স্থাপিত ধ্বজাদি চিহ্নে নিম্নে অর্থাৎ তাহাদের ছায়ায় বর্ত্তমান যে (ইন্দ্রঃ) ঐশ্বর্য্যকারী সেনার ঈশ এবং (অস্মাকম্) আমাদিগের (য়াঃ) যে (ইষবঃ) প্রাপ্ত সেনা সেই ইন্দ্র এবং (তাঃ) সেই সেনাগুলি (হবেষু) যন্মধ্যে ঈর্ষাপূর্বক শত্রুদিগকে আহ্বান করে সেই সব সংগ্রামে (জয়ন্ত) জয়লাভ করুক (অস্মাকম্) আমাদের (বীরাঃ) বীরগণ (উত্তরে) বিজয়ের পশ্চাতে জীবনযুক্ত (ভবন্তু) হউক, (অস্মান্) আমাদিগের (উ) সর্বত্র যুদ্ধ সময়ে (অবত) রক্ষা কর ॥ ৪৩ ॥

ভাবার্থঃ–সেনাগণ এবং সেনাপতি আদির উচিত যে, নিজ নিজ রথাদিতে ভিন্ন ভিন্ন চিহ্ন স্থাপন করুক যাহাতে ইহা ইহার রথ এইরূপ সকলে জানিবে এবং যেমন অশ্ব তথা বীরদের অধিক বিনাশ না হয় সেইরূপ কৌশল করিবে কেননা পরস্পরের পরাক্রম ক্ষয় হওয়ায় নিশ্চল বিজয় হয় না–ইহা জানিবে ॥ ৪৩ ॥

অমীষামিত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইন্দ্রো দেবতা । বিরাডার্ষী ত্রিষ্টুপ্ ছন্দঃ । ধৈবতঃ স্বরঃ ॥

অ॒মীষাং॑ চি॒ত্তং প্র॑তিলো॒ভয়॑ন্তী গৃহা॒ণাঙ্গা॑ন্যপ্বে॒ পরে॑হি ।

অ॒ভি প্রেহি॒ নির্দ॑হ হৃ॒ৎসু শোকৈ॑র॒ন্ধেনা॒মিত্রা॒স্তম॑সা সচন্তাম্ ॥ ৪৪ ॥

পদার্থঃ–হে (অপ্বে) শত্রুদিগের প্রাণগুলিকে নাশকারিণী রাণী ক্ষত্রিয়া বীর স্ত্রী! (অমীষাম্) সেই সব সেনাদিগের (চিত্তম্) চিত্তকে (প্রতিলোভয়ন্তী) প্রত্যক্ষতঃ লোভ প্রদানকারিণী যে নিজস্ব সেনা তাহার (অঙ্গানি) অঙ্গসকলকে তুমি (গৃহাণ) গ্রহণ করিয়া অধর্ম্ম হইতে (পরেহি) দূরে থাক, নিজের সেনাকে (অভি, প্রেহি) নিজ অভিপ্রায় দর্শন করাও এবং শত্রুদিগকে (নির্দহ) নিরন্তর জ্বালাও যাহাতে এই সব (অমিত্রাঃ) শত্রুগণ (হৃৎসু) নিজ নিজ হৃদয়ে (শোকৈঃ) শোক দ্বারা (অন্ধেন) আচ্ছাদিত (তমসা) রাত্রির অন্ধকার সহ (সচন্তাম্) সংযুক্ত থাকে ॥ ৪ ॥

ভাবার্থঃ–সভাপতি আদির কর্ত্তব্য যে, যেমন অতি প্রশংসিত হৃষ্ট-পুষ্ট অঙ্গ-উপাঙ্গাদিযুক্ত শূরবীর পুরুষদিগের সেনাকে স্বীকার করিবে সেইরূপ শূরবীর স্ত্রীদিগের সেনাও স্বীকার করিবে এবং যে স্ত্রী সেনা মধ্যে অব্যভিচারিণী স্ত্রী থাকিবে সেই সেনা দ্বারা শত্রুদিগকে বশে স্থাপন করিবে ॥ ৪৪ ॥

অবসৃষ্টেত্যস্যাপ্রতিরথ ঋষিঃ । ইষুর্দেবতা । আর্ষ্যনুষ্টুপ্ ছন্দঃ । গান্ধারঃ স্বরঃ ॥

অব॑সৃষ্টা॒ পরা॑ পত॒ শর॑ব্যে॒ ব্রহ্ম॑সꣳশিতে ।
গচ্ছা॒মিত্রা॒ন্ প্র প॑দ্যস্ব॒ মামীষাং॒ কঞ্চ॒নোচ্ছি॑ষঃ ॥ ৪৫ ॥


পদার্থঃ–হে (শরব্যে) বাণবিদ্যায় কুশল (ব্রহ্মসংশিতে) বেদবেত্তা বিদ্বান্ হইতে প্রশংসা এবং শিক্ষা প্রাপ্ত সেনাধিপতির স্ত্রী! তুমি (অবসৃষ্টা) প্রেরণা প্রাপ্ত (পরা, পত) দূরে গমন করিয়া (অমিত্রান্) শত্রুদিগকে (গচ্ছ) প্রাপ্ত হও এবং তাহাদের বধ করিয়া বিজয় (প্র, পদ্যস্ব) লাভ কর । (অমীষাম্) সেই সব দূর দেশে স্থিত শত্রুদিগের মধ্যে না বধ করিয়া (কং, চন) কাহাকেও (মা) (উচ্ছিষ্টঃ) ছাড়িও না ॥ ৪৫ ॥

ভাবার্থঃ–সভাপতি আদির উচিত যে, যেমন যুদ্ধবিদ্যা দ্বারা পুরুষ শিক্ষা গ্রহণ করিবে সেই রূপ নারীগণও শিক্ষা করুক । যেমন বীরপুরুষ যুদ্ধ করিবে সেইরূপ নারীগণও করিবে । যাহারা যুদ্ধে নিহত হয়, তদ্ব্যতীত অবশিষ্ট যে সব আহতগণ থাকিবে তাহাদিগকে কারাগারে নিক্ষেপ কর ॥ ৪৫ ॥


চলবে>>

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

कात्‍यायन श्रौतसूत्रम्

  Cont>>

Post Top Ad

ধন্যবাদ