ব্রহ্মসূত্র ৪/১/৩ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

21 November, 2023

ব্রহ্মসূত্র ৪/১/৩

ব্রহ্মসূত্র ৪/১/৩

আত্মেতি নূপগচ্ছন্তি গ্রাহয়ন্তি চ।।-ব্রহ্মসূত্র-৪/১/৩

পদ০-আত্মা। ইম্তি। তু। উপগচ্ছন্তি। গ্রাহয়ন্তি। চ।

পদার্থ-"তু" সিদ্ধান্ধ পক্ষের বোধনার্থে এসেছে ( আত্মা, ইতি) উপাসকগণ আত্মরূপে চিন্তন করে ( উপগচ্ছন্তি) ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হন ( চ) এবং ( গ্রাহয়ন্তি) শাস্ত্র থেকেও এমনই পাওয়া যায়।

ভাষ্য-"ত্বম্ বা অহমস্মি ভগবো দেবতেऽহম্ বৈ ত্বমসি"=হে ভগবান দেব! তুমি আমি হই এবং আমি তুমি হও,ইত্য্দি অভেদোপোসনা বোধক বাক্য দ্বারা সিদ্ধ হয় যে উপাসক পুরুষ উপাসনা কালে ব্রহ্মের সাথে কোনও প্রকারের ভেদ চিন্তন করে না কিন্তু তদ্ধধর্মতাপত্তির জন্য নিতান্ত ব্রহ্মেরর সাথে স্বস্বরূপের অভেদ চিন্তন করা হয় সমাধিস্থ হয়ে, একই অভিপ্রায় থেকে "যোগিশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ" যো০ ১/৩ তে চিত্তবৃত্তি নিরোধ রূপে যোগের বর্ণনা করে তৃতীয় সূত্রে উপাসক পুরুষের আত্মার স্থিতি পরমাত্মাতে বর্ণনার হয়, এই প্রকার অভেদ চিন্তন করা থেকে জীবের পরমাত্ম- সম্বন্ধী অপহতপাপ্মাদি ধর্মের লাভ হয় যার দ্বারা আনন্দ তথা ঐশ্বর্যের লাভ দ্বারা ব্রহ্মবেত্তা নিজ স্বরূপের ব্রহ্মত্ত্বের ভাবনা করে মুক্তিকে প্রাপ্ত হয়,যেমন "অহং মনুরভবং সূর্যশ্চেতি" বৃহ০ ১/৪/১০=এ আমি মনু এবং আমিই সূর্য হই, ইত্যাদি বাক্য থেকে বামদেবাদিকের বিষয়ে পরমাত্মা হয়,এইজন্য উপাসকের উচিত যে ধর্মতাপত্তিরূপ মুক্তির লাভার্থে সমাধিকালের সর্বথা পরমাত্মার সাথে অভেদ চিন্তন করে,এই শাস্ত্র বিহিত উপাসনার উপায় সূবোপরি হওয়াতে আস্তিকমাত্রের জন্য আদরণীয়।

স্বামী "রামানুজ" বলছেন যে- "সর্বস্য চিৎচিদ্ধস্তুনঃ তজ্ঞত্বাত্তল্লত্বাত্তৎনত্বা ন্নিয়াম্যত্বাত্তচ্ছরীরত্বাচ্চ সর্বস্যায়মাত্মাঃ অতঃ স ত আত্মা অতো য়থা প্রত্যগাত্মনঃ স্বশরীরং প্রত্যাত্মত্বাহেবোऽহং মনুষ্যোऽহমিত্যনুসন্ধানং তথা প্রত্যগাত্মনোऽপ্যাত্মত্বাত্পরমাত্মনস্তস্যাপ্যহমিথ্যে বানুসন্ধানং যুক্তমিতি" শ্রী০ ভা০ বানুসন্ধানং যুক্তমিতি" শ্রী০ ভা০ তথা প্রত্যগাত্মনোऽপ্যাত্মত্বাত্পরমাত্মনস্তস্যাপ্যহমিথ্যে বানুসন্ধানং যুক্তমিতি" শ্রী০ ভা০ বানুসন্ধানং যুক্তমিতি" শ্রী০ ভা০ মনুষ্যোऽহমিত্যনুসন্ধানং তথা প্রত্যগাত্মনোऽপ্যাত্মত্বাত্পরমাত্মনস্তস্যাপ্যহমিথ্যে বানুসন্ধানং যুক্তমিতি" শ্রী০ ভা০ বানুসন্ধানং যুক্তমিতি" শ্রী০ ভা০ তথা প্রত্যগাত্মনোऽপ্যাত্মত্বাত্পরমাত্মনস্তস্যাপ্যহমিথ্যে বানুসন্ধানং যুক্তমিতি" শ্রী০ ভা০ বানুসন্ধানং যুক্তমিতি" শ্রী০ ভা০

অর্থ-এই সমস্ত চরাচর জগত ব্রহ্ম থেকে উৎপন্ন হয়ে এতে স্থিত আছে তথা লয় হওয়ার কারণ ব্রহ্মের শরীর এবং সকলের আত্মা হয়,যেমন "য আত্মিনিতিষ্ঠন্" ইত্যাদি বৃহদারণ্যকের অন্তর্যামী ব্রাহ্মণে প্রতিপাদন করেছে অর্থাৎ যে প্রকার জীবাত্মার দেহের সাথে শরীরশরীরিভাব সম্বন্ধ হওয়াতে "দেবোऽহং" আমি দেব হই "মনুষ্যোऽহং" = আমি মনুষ্য হই,এই প্রকার শরীরের সাখে "=আমি মনুষ্য হই,এই প্রকার শরীরের সাখে " আমি দেব হই "মনুষ্যোऽহং"=আমি মনুষ্য হই,এই প্রকার শরীরের সাখে "=আমি মনুষ্য হই,এই প্রকার শরীরের সাখে অভেদানুসন্ধান হয় একই ভাবে বাস্তবিক ভেদ হওয়ার পরও জীব ব্রহ্মের পরস্পর শরীরশরীরিভাব হওয়ার কারণ উপাসনাকালে "অহমেবব্রহ্ম"=আমিই ব্রহ্ম হই,এই প্রকার আত্মরূপ দ্বারা অভেদচিন্তনের কোন বাধা নেই, স্বামী রামানুজের এই অর্থ বৈদিক সিদ্ধান্তের অবিরোধী হওয়ায় উপাদেয় পরন্তু নির্বিশেষ ব্রহ্মচারী স্বামী শঙ্করাচার্য্যজী অদ্বৈতভাব থেকে অভেদোপাসনার লোপন করে এই সূত্রের ভাষ্যে "অহং ব্রহ্মাস্মি" "এষ ত আত্মাসর্বান্তরঃ" বৃহ০ ৩/৪/১ "এষ তু আত্মাऽন্তর্যাম্যমৃত" বৃহ০ ৩/৭/৩ "তস্যত্যং স আত্মা তত্ত্বমসি" ছান্দো০ ৬/৮/৭ ইত্যাদি উপনিষদ বাক্যের ধারাবাহিকতা পুরাদী, তাদের থেকে তাঁর অভীষ্ট কদাপি সিদ্ধ হয় না, উক্ত বাক্যের বাস্তবিক অর্থ ভূমিকা তথা বাক্যান্বয়াধিকরণ " বৃহ০ ৩/৭/৩ "তস্যত্যং স আত্মা তত্ত্বমসি" ছান্দো০ ৬/৮/৭ ইত্যাদি উপনিষদ বাক্যের ধারাবাহিকতা পুরাদী, তাদের থেকে তাঁর অভীষ্ট কদাপি সিদ্ধ হয় না, উক্ত বাক্যের বাস্তবিক অর্থ ভূমিকা তথা বাক্যান্বয়াধিকরণ আদিতে অনেক অধিকরণে বিস্তারপূর্বক করা হয়েছে, এইজন্য এখানে পুনরাবৃত্তি করার অবশ্যকতা নেই। ( ভাষ্য-শ্রী পণ্ডিত আর্যমুনি পরিব্রাজক)

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ