মাংসাহার বেদ বিরূদ্ধ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

13 December, 2023

মাংসাহার বেদ বিরূদ্ধ

"জ্ঞান" হলো সেই প্রকাশ যা মানুষের মন মস্তিস্কের অন্ধকার সমাপ্ত করে দেয়। সৃষ্টির আদিতে মানবের কল্যাণের জন্য সেই জ্ঞান রূপ প্রকাশ "বেদ" রূপে দিয়েছেন। বেদ সমস্ত  সত্যবিদ্যার পুস্তক, পরমপিতা পরমাত্মা দ্বারা প্রদত্ত এই জ্ঞান যে মন্ত্রে প্রকট হয়েছে তা চার ভাগে আমাদের কাছে রয়েছে ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ এবং অথর্ববেদ।

বেদ ঈশ্বরীয় অভ্রান্ত নিত্য জ্ঞান, সমস্ত বেদ মন্ত্রের অর্থ আধিযাজ্ঞিক, আধিদৈবিক এবং আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত হয়। বেদ মন্ত্রগুলিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ হয়েছে মানুষ্যের ভোজন সাকাহার, এটাই মনুষ্যের জন্য বরেণ্য। এটি নিশ্চিত করার জন্য বেদের কয়েকটি মন্ত্র প্রস্তুত করা হচ্ছেঃ

১) ঋগ্বেদ ১।১১৪।১০

आ॒रे ते॑ गो॒घ्नमु॒त पू॑रुष॒घ्नं क्षय॑द्वीर सु॒म्नम॒स्मे ते॑ अस्तु। 

मृ॒ळा च॑ नो॒ अधि॑ च ब्रूहि दे॒वाधा॑ च न॒: शर्म॑ यच्छ द्वि॒बर्हा॑: ॥

২) ঋগ্বেদ ১।১৬২।১২

ये वा॒जिनं॑ परि॒पश्य॑न्ति प॒क्वं य ई॑मा॒हुः सु॑र॒भिर्निर्ह॒रेति॑। 

ये चार्व॑तो मांसभि॒क्षामु॒पास॑त उ॒तो तेषा॑म॒भिगू॑र्तिर्न इन्वतु ॥

৩) ঋগ্বেদ ১০।৮৭।১৬

यः पौरु॑षेयेण क्र॒विषा॑ सम॒ङ्क्ते यो अश्व्ये॑न प॒शुना॑ यातु॒धान॑: । 

यो अ॒घ्न्याया॒ भर॑ति क्षी॒रम॑ग्ने॒ तेषां॑ शी॒र्षाणि॒ हर॒सापि॑ वृश्च ॥

৪) ঋগ্বেদ ৭।৫৬।১৭

द॒श॒स्यन्तो॑ नो म॒रुतो॑ मृळन्तु वरिव॒स्यन्तो॒ रोद॑सी सु॒मेके॑। 

आ॒रे गो॒हा नृ॒हा व॒धो वो॑ अस्तु सु॒म्नेभि॑र॒स्मे व॑सवो नमध्वम् ॥

৫) ঋগ্বেদ ১০।৩৭।১১

अ॒स्माकं॑ देवा उ॒भया॑य॒ जन्म॑ने॒ शर्म॑ यच्छत द्वि॒पदे॒ चतु॑ष्पदे । 

अ॒दत्पिब॑दू॒र्जय॑मान॒माशि॑तं॒ तद॒स्मे शं योर॑र॒पो द॑धातन ॥

৬) যজুর্বেদ ১৩।৪৭

ই॒মং মা হি॑ꣳসীর্দ্বি॒পাদং॑ প॒শুꣳ স॑হস্রা॒ক্ষো মেধা॑য় চী॒য়মা॑নঃ ।

ম॒য়ুং প॒শুং মেধ॑মগ্নে জুষস্ব॒ তেন॑ চিন্বা॒নস্ত॒ন্বো᳕ নি ষী॑দ ।

ম॒য়ুং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু॒ য়ং দ্বি॒ষ্মস্তং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু ॥ ৪৭ ॥


পদার্থঃ- হে (অগ্নে) মনুষ্য জন্মপ্রাপ্ত (মেধায়) সুখ প্রাপ্তি হেতু (চীয়মানঃ) বর্দ্ধমান (সহস্রাক্ষঃ) অসংখ্য দৃষ্টি যুক্ত রাজন্! তুমি (ইমম্) এই (দ্বিপাদম্) দুই পদযুক্ত মনুষ্যাদি এবং (মেধম্) পবিত্রকারক ফলপ্রদ (ময়ুম্) বন্য (পশুম্) গবাদি পশু জীবকে (মা) না (হিংসীঃ) মারিও । সেই (পশুম্) পশুর (জুষস্ব) সেবা কর (তেন) সেই পশু দ্বারা (চিন্বানঃ) বর্দ্ধমান তুমি (তন্বঃ) শরীরে (নিষীদ) নিরন্তর স্থির হও এই (তে) তোমার হইতে (শুক্) শোক (ময়ুম্) শস্যাদিবিনাশক বন্য পশুকে (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক (তে) তোমার (য়ম্) যে শত্রুকে আমরা (দ্বিষ্মঃ) দ্বেষ করি (তম্) তাহাকে (শুক্) শোক (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক ॥ ৪৭ ॥

ভাবার্থঃ- কোন মনুষ্য সকলের উপকারী পশুদিগকে কখনও মারিবে না কিন্তু ইহাদের সম্যক্ প্রকারে রক্ষা করিবে এবং ইহা দ্বারা উপকার লইয়া সকল মনুষ্যকে আনন্দ দান করিবে । যে বন্য পশুগুলির দ্বারা গ্রামের পশু, কৃষি ও মনুষ্যের ক্ষতি হয় উহাদিগকে রাজপুরুষ মারিবে বা বন্ধন করিয়া রাখিবে ॥ ৪৭ ॥

৭) যজুর্বেদ ১৩।৪৩

অজ॑স্র॒মিন্দু॑মরু॒ষং ভু॑র॒ণ্যুম॒গ্নিমী॑ডে পূ॒র্বচি॑ত্তিং॒ নমো॑ভিঃ ।

স পর্ব॑ভির্ঋতু॒শঃ কল্প॑মানো॒ গাং মা হি॑ꣳসী॒রদি॑তিং বি॒রাজ॑ম্ ॥ ৪৩ ॥


পদার্থঃ- হে বিদ্বান্ পুরুষ ! যেমন আমি (পূর্বেভিঃ) পূর্ণ সাধনযুক্ত (নমোভিঃ) অন্নের সহ বর্ত্তমান (ইন্দুম্) জলরূপ (অরুষম্) অশ্বসদৃশ (ভুরণ্যুম্) পোষক (পূর্বচিতিম্) প্রথম নির্মিত (অগ্নিম্) বিদ্যুৎকে (অজস্রম্) নিরন্তর (ঈডে) আধিক্যপূর্বক খুঁজি । উহাকে (ঋতুশঃ) প্রতিঋতুতে (কল্পমানঃ) সমর্থ হইয়া করিতে থাকিয়া (অদিতিম্) অখন্ডিত (বিরাজম্) বিবিধ প্রকারের পদার্থ দ্বারা শোভায়মান (গাম্) পৃথিবীকে নষ্ট করি না সেইরূপ (সঃ) আপনি এই অগ্নি এবং এই পৃথিবীকে (মা) না (হিংসী) নষ্ট করুন ॥ ৪৩ ॥

ভাবার্থঃ- মনুষ্যদিগের উচিত যে, ঋতু অনুকূল ক্রিয়া দ্বারা অগ্নি, জল ও অন্নের সেবন করিয়া রাজ্য ও পৃথিবীর সর্বদা রক্ষা করিবে যদ্দ্বারা সকলে সুখ প্রাপ্ত হয় ॥ ৪৩ ॥

৮) যজুর্বেদ ১৩।৪৮

ই॒মং মা হি॑ꣳসী॒রেক॑শফং প॒শুং ক॑নিক্র॒দং বা॒জিনং॒ বাজি॑নেষু ।

গৌ॒রমা॑র॒ণ্যমনু॑ তে দিশামি॒ তেন॑ চিন্বা॒নস্ত॒ন্বো᳕ নি ষী॑দ ।

গৌ॒রং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু॒ য়ং দ্বি॒ষ্মস্তং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু ॥ ৪৮ ॥


পদার্থঃ- হে রাজন্ ! তুমি (বাজিনেষু) সংগ্রামের কার্য্যে (ইমম্) এই (একশফম্) একক্ষুরযুক্ত (কনিক্রদম্) শীঘ্র বিকল ব্যথা প্রাপ্ত (বাজিনম্) বেগযুক্ত (পশুম্) দ্রষ্টব্য অশ্বাদি পশুকে (মা) (হিংসীঃ) মারিও না । আমি ঈশ্বর (তে) তোমার জন্য (য়ম্) যে (আরণ্যম্) বন্য (গৌরম্) গৌরপশুর (দিশামি) শিক্ষা প্রদান করিতেছি, (তেন) তাহার রক্ষণ দ্বারা (চিন্বানঃ) বর্দ্ধমান (তন্বঃ) শরীরে (নিষীদ) নিরন্তর স্থির হও, (তে) তোমার দ্বারা (গৌরম্) শ্বেতবর্ণযুক্ত পশুর প্রতি (শুক) শোক (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক এবং (য়ম্) যে শত্রুকে আমরা (দ্বিষ্মঃ) দ্বেষ করি (তম্) উহাকে (তে) তোমার দ্বারা (শুক্) শোক (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক ॥ ৪৮ ॥

ভাবার্থঃ- মনুষ্যদিগের উচিত এক ক্ষুরযুক্ত অশ্বাদি পশু এবং উপকারক বনের পশুকে কখনও কেহ মারিবে না । যাহাদের মারিলে জগতের ক্ষতি এবং না মারিলে সকলের উপকার হয় তাহাদের সর্বদা পালন পোষণ করিবে এবং যাহারা ক্ষতিকর পশু তাহাদের মারিবে ॥ ৪৮ ॥

৯) যজুর্বেদ ১৩।৪৯

ই॒মꣳ সা॑হ॒স্রꣳ শ॒তধা॑র॒মুৎসং॑ ব্য॒চ্যমা॑নꣳ সরি॒রস্য॒ মধ্যে॑ ।

ঘৃ॒তং দুহা॑না॒মদি॑তিং॒ জনা॒য়াগ্নে॒ মা হি॑ꣳসীঃ পর॒মে ব্যো॑মন্ ।

গ॒ব॒য়মা॑র॒ণ্যমনু॑ তে দিশামি॒ তেন॑ চিন্বা॒নস্ত॒ন্বো᳕ নি ষী॑দ ।

গ॒ব॒য়ং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু॒ য়ং দ্বি॒ষ্মস্তং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু ॥ ৪ঌ ॥


পদার্থঃ- হে (অগ্নে) দয়াপ্রাপ্ত পরোপকারক রাজন্ ! তুমি (জনায়) মনুষ্যাদি প্রাণীর জন্য (ইমম্) এই (সাহস্রম্) অসংখ্য সুখের সাধন (শতধারম্) অসংখ্য দুগ্ধধারার নিমিত্ত (ব্যচ্যমানম্) বহু প্রকার পালনীয় (উৎসম্) কূপের সমান রক্ষাকারী বীর্য্যসেচক বৃষ এবং (ঘৃতম্) ঘৃতকে (দুহানাম্) পূর্ণ কারিণী (অদিতিম্) না মারিবার যোগ্য গাভিকে (মাহিংসীঃ) মারিও না এবং (তে) তোমার রাজ্যে যে (আরণ্যম্) অরণ্যবাসী (গবয়ম্) গাভির সমান নীলগাই দ্বারা কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহা হইলে তাহাকে (অনুদিশামি) উপদেশ করিতেছি (তেন) তাহাকে মারিলে সুরক্ষিত অন্ন দ্বারা (পরমে) উৎকৃষ্ট (ব্যোমম্) সর্বত্র ব্যাপক পরমাত্মা এবং (সরিরস্য) বিস্তৃত ব্যাপক আকাশের (মধ্যে) মধ্যে (চিন্বানঃ) বর্দ্ধমান তুমি (তন্বঃ) শরীরের মধ্যে (নিষীদ) নিবাস করিয়া (তে) তোমার (শুক্) শোক (তম্) সেই (গবয়ম্) গোসদৃশ পশু (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক এবং (য়ম্) যে (তে) তোমার শত্রুকে (দ্বিষ্মঃ) আমরা দ্বেষ করি তাহাকেও (শুক) শোক (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক ॥ ৪ঌ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । হে রাজপুরুষগণ ! তোমাদিগের উচিত যে, যেসব বৃষাদি পশুদিগের প্রভাবে কৃষি আদি কার্য্য, যে সব গাভি আদি হইতে দুগ্ধ, ঘৃতাদি উত্তম পদার্থ হয়, যাহার দুগ্ধাদি হইতে সকল প্রজার রক্ষা হয়, তাহাদিগকে কখনও মারিও না এবং যাহারা সেই উপকারী পশুদিগকে মারিবে তাহাদিগকে রাজাদি ন্যায়াধীশ অত্যন্ত দন্ড দিবে এবং যে বন্য নীলগাই ইত্যাদি প্রজার ক্ষতি করে, তাহারা মারিবার যোগ্য ॥ ৪ঌ ॥

১০) যজুর্বেদ ১৩।৫০

ই॒মমূ॑র্ণা॒য়ুং বর॑ুণস্য॒ নাভিং॒ ত্বচং॑ পশূ॒নাং দ্বি॒পদাং॒ চতু॑ষ্পদাম্ ।

ত্বষ্টুঃ॑ প্র॒জানাং॑ প্রথ॒মং জ॒নিত্র॒মগ্নে॒ মা হি॑ꣳসীঃ পর॒মে ব্যো॑মন্ ।

উষ্ট্র॑মার॒ণ্যমনু॑ তে দিশামি॒ তেন॑ চিন্বা॒নস্ত॒ন্বো᳕ নি ষী॑দ ।

উষ্ট্রং॑ তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু॒ য়ং দ্বি॒ষ্মস্তং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু ॥ ৫০ ॥


পদার্থঃ- হে (অগ্নে) বিদ্যা প্রাপ্ত রাজন্ ! তুমি (বরুণস্য) প্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য শ্রেষ্ঠ সুখের (নাভিম্) সংযোগকারী (ইমম্) এই (দ্বিপদাম্) দুই পদযুক্ত মনুষ্য, পক্ষী ইত্যাদি (চতুষ্পদাম্) চারি পদযুক্ত (পশূনাম্) গাভি ইত্যাদি পশুগুলির (ত্বচম্) চর্মের দ্বারা আচ্ছাদনকারী এবং (ত্বষ্টুঃ) সুখপ্রকাশক ঈশ্বরের (প্রজানাম্) প্রজাদিগের (প্রথমম্) আদি (জনিত্রম্) উৎপত্তির নিমিত্ত (পরমে) উত্তম (ব্যোমন্) আকাশে বর্ত্তমান (ঊর্ণায়ুম্) মেষ ইত্যাদিকে (মা হিংসীঃ) মারিও না । (তে) তোমার জন্য আমি ঈশ্বর (য়ম) যে (আরণ্যম্) বন্য (ঊষ্ট্রম্) হিংসক ঊষ্ট্রকে (অনুদিশামি) বলিতেছি (তেন) তাহা হইতে সুরক্ষিত অন্নাদি দ্বারা (চিন্বানঃ) বর্দ্ধমান (তন্বঃ) শরীরে (নিষীদ) নিবাস কর । (তে) তোমার (শুক্) শোক, সেই বন্য (উষ্ট্রম্) ঊঁটকে (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক এবং যে দ্বেষীব্যক্তির সহিত আমরা (দ্বিষ্মঃ) অপ্রীতি করি (তম্) তাহাকে (তে) তোমার (শুক্) শোক (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক ॥ ৫০ ॥

ভাবার্থঃ- হে রাজন্ ! যে সব মেষাদির লোম ও ত্বক্ মনুষ্যদিগের সুখের জন্য হয় এবং যে ঊট ভার উঠাইয়া মনুষ্যকে সুখ প্রদান করে তাহাদেরকে যে দুষ্টব্যক্তিরা মারিতে চাহে তাহাদিগকে সংসারের দুঃখদায়ী মনে করিবে এবং তাহাদেরকে ভালমতো দন্ড দেওয়া উচিত এবং যে বন্য ঊট ক্ষতিকারক হয় তাহাদেরকেও দন্ড দেওয়া উচিত ॥ ৫০ ॥

১১) যজুর্বেদ ১৩।৫১

অ॒জো হ্য॒গ্নেরজ॑নিষ্ট॒ শোকা॒ৎ সোऽ অ॑পশ্যজ্জনি॒তার॒মগ্রে॑ ।

তেন॑ দে॒বা দে॒বতা॒মগ্র॑মায়ঁ॒স্তেন॒ রোহ॑মায়॒ন্নুপ॒ মেধ্যা॑সঃ ।

শ॒র॒ভমা॑র॒ণ্যমনু॑ তে দিশামি॒ তেন॑ চিন্বা॒নস্ত॒ন্বো᳕ নি ষী॑দ ।

শ॒র॒ভং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু॒ য়ং দ্বি॒ষ্মস্তং তে॒ শুগৃ॑চ্ছতু ॥ ৫১ ॥


পদার্থঃ- হে রাজন্ ! যে (হি) নিশ্চিত (অজঃ) ছাগল (অজনিষ্ঠ) উৎপন্ন হয় (সঃ) সে (অগ্রে) প্রথম (জনিতারম্) উৎপাদককে (অপশ্যৎ) দেখে যার ফলে (মেধ্যাসঃ) পবিত্র হওয়া (দেবাঃ) বিদ্বান্ (অগ্রম্) উত্তম সুখ এবং (দেবতাম্) দিব্যগুণের (উপায়ন্) উপায়কে প্রাপ্ত হয় এবং যদ্দ্বারা (রোহম্) বুদ্ধিযুক্ত প্রসিদ্ধিকে তুমি (আয়ন্) প্রাপ্ত হইবে । (তেন) তাঁহার দ্বারা উত্তম গুণ উত্তম সুখ তথা (তেন) তাহার দ্বারা বৃদ্ধিকে প্রাপ্ত হইবে । যে (আরণ্যম্) বন্য (শরভম্) সজারু (তে) তোমার প্রজার ক্ষতি প্রদান করে তাহাকে (অনুদিশামি) বলিতেছি (তেন) তাহার দ্বারা রক্ষিত পদার্থ দ্বারা (চিন্বানঃ) বর্দ্ধমান (তন্বঃ) শরীরে (নিষীদ) নিবাস কর এবং (তম্) সেই (শরভম্) শরভকে (তে) তোমার (শুক্) শোক (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক এবং (তে) তোমার (য়ম্) যে শত্রুকে আমরা দ্বেষ করি তাহাকে (শোকাৎ) শোকরূপ (অগ্নেঃ) অগ্নি দ্বারা (শুক্) শোক অর্থাৎ শোক হইতে বেশী শোক অত্যন্ত শোক (ঋচ্ছতু) প্রাপ্ত হউক ॥ ৫১ ॥

ভাবার্থঃ- মনুষ্যদিগের উচিত যে, ছাগ ও ময়ুরাদি শ্রেষ্ঠ পশুদিগকে মারিবে না এবং ইহাদের রক্ষা করিয়া উপকারের জন্য সংযুক্ত করিবে এবং যে ভাল পশু ও পক্ষীর হত্যাকারী হইবে তাহাদিগকে শীঘ্র তাড়না দিবে । তবে যে ক্ষেতকে ধ্বংসকারী পঙ্গপালাদি আছে তাহাদিগকে প্রজার রক্ষার নিমিত্ত মারিবে ॥ ৫১ ॥

১২) যজুর্বেদ ১৩।৫২

ত্বং য়॑বিষ্ঠ দা॒শুষো॒ নৃৃঁঃ পা॑হি শৃণু॒ধী গিরঃ॑ ।

রক্ষা॑ তো॒কমু॒ত ত্মনা॑ ॥ ৫২ ॥


পদার্থঃ- হে (য়বিষ্ঠ) অত্যন্ত যুবা ! (ত্বম্) তুমি রক্ষিত এই সব পশুগুলির দ্বারা (দাশুষঃ) সুখদাতা (নৃন্) ধর্মরক্ষক মনুষ্যদের (পাহি) রক্ষা কর । এই সব (গিরঃ) সত্য বাণীকে (শৃণোধি) শোন এবং (ত্মনা) স্বীয় আত্মা দ্বারা মনুষ্য (উত) ও পশুদিগের (তোকম্) শিশুদের (রক্ষ) রক্ষা কর ॥ ৫২ ॥

ভাবার্থঃ- যে মনুষ্য মনুষ্যাদি প্রাণিদিগের রক্ষক পশুদেরকে বৃদ্ধি করে এবং কৃপাময় উপদেশকে শ্রবণ করে তাহারা আন্তরিক সুখ লাভ করে ॥ ৫২ ॥

১৩) যজুর্বেদ ৩৬।৮

ইন্দ্রো॒ বিশ্ব॑স্য রাজতি ।

শন্নো॑ऽঅস্তু দ্বি॒পদে॒ শং চতু॑ষ্পদে ॥ ৮ ॥


পদার্থঃ- হে জগদীশ্বর ! আপনি (ইন্দ্র) বিদ্যুতের ন্যায় (বিশ্বস্য) সংসারের মধ্যে (রাজতি) প্রকাশমান, সেই আপনার কৃপা বলে (নঃ) আমাদের (দ্বিপদে) পুত্রাদির জন্য (শম্) সুখ (অস্তু) হউক এবং আমাদের (চতুষ্পদে) গো আদির জন্য (শম্) সুখ হউক ॥ ৮ ॥

ভাবার্থঃ- এই মন্ত্রে বাচকলুপ্তোপমালঙ্কার আছে । হে জগদীশ্বর ! যদ্দ্বারা আপনি সর্বত্র সব দিক দিয়া অভিব্যাপ্ত মনুষ্য, পশ্বাদির সুখ কামনাকারী, এইজন্য সকলের উপাসনা করিবার যোগ্য ॥ ৮ ॥

ভাবার্থঃ হে সর্বশক্তিমান পরমেশ্বর! তুমি সকল চর এবং অচর জগতের রাজা এবং অধিপতি। তোমার দিব্য জ্যোতি দ্বারাই সূর্য চন্দ্র বিদ্যুৎ আদি প্রকাশিত। তুমি সকল জগতের প্রকাশক। ভগবান! আমাদের সকল মনুষ্যাদিদ্বিপদী এবং গাভী অশ্বাদি পশু যারা আমাদের সর্বদা উপকার করেযাদের জীবনই পরের উপকারের জন্যতাদের জন্য তুমি সর্বদা সুখ এবং কল্যাণের কর্তা হও।।

১৪) যজুর্বেদ ৩৬।১৮

দৃতে॒ দৃꣳহ॑ মা মি॒ত্রস্য॑ মা॒ চক্ষু॑ষা॒ সর্বা॑ণি ভূ॒তানি॒ সমী॑ক্ষন্তাম্ ।

মি॒ত্রস্যা॒ऽহং চক্ষু॑ষা॒ সর্বা॑ণি ভূ॒তানি॒ সমী॑ক্ষে ।

মি॒ত্রস্য॒ চক্ষু॑ষা॒ সমী॑ক্ষামহে ॥ ১৮ ॥


পদার্থঃ- হে (দৃতে) অবিদ্যারূপী অন্ধকারের নিবারক জগদীশ্বর বা বিদ্বান্ ! যাহাতে (সর্বাণি) সকল (ভূতানি) প্রাণী (মিত্রস্য) মিত্রের (চক্ষুষা) দৃষ্টি দিয়া (মা) আমাকে (সম, ঈক্ষতাম্) সম্যক্ দেখুক, (অহম্) আমি (মিত্রস্য) মিত্রের (চক্ষুষা) দৃষ্টি দিয়া (সর্বাণি, ভূতানি) সকল প্রাণিদিগকে (সমীক্ষে) সম্যক্ দেখি, এইভাবে সব আমরা পরস্পর (মিত্রস্য) মিত্রের (চক্ষুষা) দৃষ্টি দিয়া (সমীক্ষামহে) দেখি, এই বিষয়ে আমাদেরকে (দৃংহ) দৃঢ় করুন ॥ ১৮ ॥

ভাবার্থঃ- তাহারাই ধর্মাত্মা যাহারা স্বীয় আত্মার সদৃশ সম্পূর্ণ প্রাণিদিগকে মান্য করে, কাহারও প্রতি দ্বেষ না করে এবং মিত্রের সদৃশ সকলের সৎকার করে ॥ ১৮ ॥

সামবেদ ১।৮।৮ (প০ কৃপারাম জী কৃত ভাষ্য)

सनादग्ने मृणसि यातुधानान्न त्वा रक्षाꣳसि पृतनासु जिग्युः । 

अनु दह सहमूरान्कयादो मा ते हेत्या मुक्षत दैव्यायाः ॥८०॥


অথর্ববেদ ৬।১২০।১

यद॒न्तरि॑क्षं पृथि॒वीमु॒त द्यां यन्मा॒तरं॑ पि॒तरं॑ वा जिहिंसि॒म। 

अ॒यं तस्मा॒द्गार्ह॑पत्यो नो अ॒ग्निरुदिन्न॑याति सुकृ॒तस्य॑ लो॒कम् ॥

অথর্ববেদ ১৯।৩১।১

औदु॑म्बरेण म॒णिना॒ पुष्टि॑कामाय वे॒धसा॑। 

प॑शू॒णां सर्वे॑षां स्फा॒तिं गो॒ष्ठे मे॑ सवि॒ता क॑रत् ॥

অথর্ববেদ ৮।৬।২৩

य आ॒मं मां॒समदन्ति॒ पौरु॑षेयं च॒ ये क्र॒विः। 

गर्भा॒न्खाद॑न्ति केश॒वास्तानि॒तो ना॑शयामसि ॥

মহাভারতের অনুশাসন পর্বের ২১'তম অধ্যায়ে, "হিংসা ও মাংস ভক্ষণের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। মানুষকে মন, বচন ও কর্মের দ্বারা হিংসা না করার এবং মাংস না খাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার সময়,চারটি ব্যবস্থার মাধ্যমে অহিংসা অর্জন করা যায় বলা হয়েছে। (অনু০ ২১।৪ এবং ২১।৭)। (১) মন (মাংস খাওয়ার ইচ্ছা), (২) বচন (মাংস খাওয়ার ইচ্ছা) এবং (৩) স্বাদ (প্রত্যক্ষ রূপে মাংসের স্বাদ গ্রহণ) - তিনটিই হিংসা ও দোষারোপের ভিত্তি বলা হয়েছে। 

 

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ