ভৌতিক সুখের নানা প্রলোভন থেকে উত্তীর্ণ নচিকেতাকে আত্মজ্ঞানের যোগ্য অধিকারী বোঝে যমাচার্য বিদ্যা এবং অবিদ্যার ভেদের কথা বলা হয়েছে-
অন্যচ্ছুেয়োऽন্যদুতৈব প্রেয়স্তে উভে নানার্থে পুরুষঁসিনীতঃ।
তয়ো শ্রেয় আদদানস্য সাধু ভবতি হীয়তেऽর্থদ্ য় উ প্রেয়ো বৃণীতে।। কঠো-২/১
পদার্থ-হে নচিকেতা! ( শ্রেয়ঃ) অতিশয় প্রশংসিত কল্যাণের মার্গ অর্থাৎ মোক্ষ=প্রাপ্তির সাধানরূপ কর্ম ( অন্যত্) লোকিক অভ্যুদয়ের অপেক্ষা অনন্য এবং ভিন্ন হয়।( উত) এবং ( প্রেয়ঃ) অতিশয় প্রিয়ময় লৌকিক স্ত্রীধনৈশ্চর্যাদি অভ্যুদয়ের মার্গ ( অন্যত্,এব) মোক্ষ-মার্গ থেকে ভিন্নই হয়। ( তে) তারা শ্রেয় এবং প্রেয় ( উভে) উভয়ই ( নানার্থে) ভিন্- ভিন্ন প্রয়োজনে ( পুরুষম্) পরুষকে ( মিনীতঃ) কর্ম-ফল রূপ রশি দ্বারা বাঁধে। ( তয়োঃ) এই উভয়ের মধ্য থেকে ( শ্রেয়ঃ) কল্যাণকারী মোক্ষ-মার্গকে ( আদদানস্য) গ্রহণকারীর ( সাধু) উত্তম ফল ( ভবতি) হয় ( উ) এবং ( যঃ) যে ( প্রেয়ঃ) অত্যন্ত প্রিয় বস্তুকে (;বৃণীতে) স্বীকার করে,সে ( অর্থাৎ) মনুষ্য-জীবনের পরমলক্ষ্য মোক্ষরূপ প্রয়োজন থেকে ( হীয়তে) ভ্রষ্ট হয়ে যায়।
ভাবার্থ-যমাচার্য নচিকেতাকে আত্মজ্ঞানের যোগ্য অধিকারী বোঝে উপদেশ দিতে লাগলেন যে হে নচিকেতা! মনুষ্য-জীবনের জন্য সংসারে দুই মার্গ হয়-এক শ্রেয় লবং দ্বিতীয় প্রেয়। এদেরকেই ভিন্ন শব্দে নিবৃত্তিমার্গ তথা প্রবৃত্তি মার্গ বলা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রেয়-মার্গ কল্যাণের মার্গ এবং প্রেয়-মার্গ মানবকে মোক্ষরূপ ফল থেকে বিমুখ করে। অতএব শ্রেয়-মার্গের অবলম্বন দ্বারা যথার্থ সুখের প্রাপ্তি হয়। ( ভাষ্য-পণ্ডিত রাজবীর শাস্ত্রী জী)
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ