তদ যথা তৃণজলায়ুকা তৃণস্যান্তং গত্বা ऽন্যমাক্রম- মাক্রম্যাত্মানমুপসংহরত্যেবমেবায়মাত্মেদং শরীরং নিহত্যাऽবিদ্যাং গময়িত্বাऽন্যমা ক্রমমাক্রম্যা- ত্মানমুপসংহরতি।। বৃহদারণ্যক উপনিষদ-৪/৪/৩
অনুবাদ-যেমন তৃণজলায়ুকা নামের পিপীলিকা তৃণের অন্ত ভাগকে ত্যাগ করে দ্বিতীয় ভাগকে আশ্রয় করে নিজ শরীরের পূর্বভাগকে অগ্রিম স্থানে রেখে চলে। তেমনিই এই আত্মা এই শরীরকে জড় করে অবিদ্যাকে দূর করে অন্য শরীররূপে আশ্রয় করে নিজেকে পূর্ব শরীর থেকে পৃথক করে।
পদার্থ-এই জীবাত্মা নিজ সহচর তথা বিদ্যা,কর্ম পূর্ব- প্রজ্ঞারূপ তিন প্রকারের পাথেয়কে সাথে নিয়ে এক দেহ থেকে দ্বিতীয় দেহকে প্রাপ্তির ইচ্ছা করে,সে কি প্রকারে প্রাপ্ত করে। এই বিষয়ে দৃষ্টান্তপূর্বক বলা হয়েছে- ( তত্+যথা) এতে এই দৃষ্টান্ত রয়েছে-লোকে প্রসিদ্ধ আছে যে, যেভাবে ( তৃণজলায়ুকা) তৃণজলায়ুকা নামের এক অঙ্গষ্টুভরের ছোট পিপীলিকা আছে। সে ( তৃণস্য+অন্তম্+ গত্বা) তৃণের অন্তিম ভাগে পৌঁছে দ্বিতীয় তৃণের উপর যাওয়ার ইচ্ছা করে ( অন্যম্+আক্রমম্) প্রথম অন্য আক্রম=আস্রয়কে ( আক্রম্য) আশ্রিত করে অর্থাৎ সেই তৃণকে নিজ অগ্রিমভাগ দ্বারা দৃঢ়তা থেকে ধরে তখন ( আত্মানম্+উপসংহরতি) শরীরের পিছনের ভাগকে সেই তৃণস্থান থেকে উঠিয়ে অগ্রিম তৃণস্থানে রাখে। অর্থাৎ যখন দ্বিতীয় তৃণকে দৃঢ়তা থেকে ধরে নেয় তখন পিছনের তৃণকে ছেড়ে দেয় ( এমব্+এব) একই দৃষ্টান্তের ন্যায় ( অয়ম্+আত্মা) এই আত্মা ( ইদম্+শরীরম্) এই গৃহীত জীর্ণশরীরকে ( নিহত্য) নিশ্রেষ্ঠিত অচেতন করে তোলে ( অবিদ্যাম্) স্ত্রী পুত্র মিত্রাদির বিয়োগজনিত শোককে ( গময়িত্বা) দূর করে ( অন্যম্+আক্রমম্) দ্বিতীয় শরীররূপ আশ্রয়কে ধরে তখন ( আত্মানম্+উপসহরতি) সেই শরীরর থেকে নিজেকে পৃথক করে। অর্থাৎ ঈশ্বরীয় প্রবন্ধ দ্বারা জীবাত্মার বিদিত হয়ে যায় যে আমাকে এখান থেকে কোন শরীরে যেতে হবে। যখন এই সর্বথা জ্ঞাত হয়ে যায় তখন এই শরীরকে ত্যাগ করে কারণ স্থূলশরীর ব্যতীত কর্তব্য ভোগকৃত্য করে না। অতএব তৃণজলায়ুকাবত্ এই শরীরকে ত্যাগ করে তৎকালে দ্বিতীয় শরীরে যায়।। ( ভাষ্যকার-শ্রী পণ্ডিত শিবশঙ্কর শর্মা কাব্যতীর্থ)
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ