৷৷ ঋষিঃ বশিষ্ঠঃ ৷ দেবতাঃ অগ্নিঃ ॥ ছন্দঃ বৃহতী ॥ স্বরঃ মধ্যমঃ ॥
त्व꣡म꣢ग्ने गृ꣣ह꣡प꣢ति꣣स्त्व꣡ꣳ होता꣢꣯ नो अध्व꣣रे꣢ । त्वं꣡ पोता꣢꣯ विश्ववार꣣ प्र꣡चे꣢ता꣣ य꣢क्षि꣣ या꣡सि꣢ च꣣ वा꣡र्य꣢म् ॥६१॥
ত্বমগ্নে গৃহপতিস্ত্বং হোতা নো অধ্বরে।
ত্বং পোতা বিশ্ববার প্রচেতা রক্ষি য়াসি চ বার্য়ম্॥
সামবেদ ৬১
পদার্থঃ হে (অগ্নে) অগ্নির ন্যায় প্রকাশকারী, সকলের অগ্রনেতা পরমাত্মা! (ত্বম) তুমি (গৃহপতিঃ) ব্রহ্মাণ্ড রূপ গৃহের অধিপতি এবং পালক। (ত্বম) তুমি (নঃ) আমাদের (অধ্বরে) হিংসাদি দোষরহিত জীবনযজ্ঞে (হোতা) সুখ প্রভৃতির দাতা। হে (বিশ্ববার) সকলের বরণীয় ! (প্রচেতাঃ২) প্রকৃষ্ট চিত্তবান (ত্বম) তুমি (পোতা) সাংসারিক পদার্থের অথবা ভক্তের চিত্তের শোধক। তুমি (বায়ম্) বরণীয় সকল বস্তু (য়ক্ষি) প্রদান করো ['বহুলং ছন্দসি।' অষ্টা০ ২।৪।৭৩] (য়াসি চ) এবং সেগুলোতে ব্যাপ্ত হয়ে থাকো ।।
সরলার্থঃ হে অগ্নির ন্যায় প্রকাশকারী, সকলের অগ্রনেতা পরমাত্মা ! তুমি ব্রহ্মাণ্ড রূপ গৃহের অধিপতি এবং পালক। তুমি আমাদের হিংসাদি দোষরহিত জীবনযজ্ঞে সুখ প্রভৃতির দাতা। হে সকলের বরণীয় ! তুমি প্রকৃষ্ট চিত্তবান সাংসারিক পদার্থের অথবা ভক্তের চিত্তের শোধক। তুমি বরণীয় সকল বস্তু প্রদান করো এবং সেগুলোতে ব্যাপ্ত হয়ে থাকো ॥
এই মন্ত্রের শ্লেষ দ্বারা যজ্ঞাগ্নি পক্ষেও অর্থযুক্ত করা যায় ॥
ভাবার্থঃ যেভাবে যজ্ঞাগ্নি যজমানের ঘরের রক্ষক হয়ে থাকে, তেমনি পরমেশ্বর ব্রহ্মাণ্ডরূপ ঘরের রক্ষক। যেমন যজ্ঞাগ্নি অগ্নিহোত্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের প্রদাতা হয়ে থাকে, তেমনি পরমেশ্বর জীবন-যজ্ঞে সুখ-সম্পত্তি প্রভৃতির প্রদাতা হয়ে থাকেন। যেভাবে যজ্ঞাগ্নি সুগন্ধি আদি দ্বারা বায়ুমণ্ডলের শোধক হয়, তেমনি পরমেশ্বর সূর্য প্রভৃতির দ্বারা সাংসারিক পদার্থের এবং দিব্যগুণের প্রদান দ্বারা ভক্তের চিত্তের শোধক হয়ে থাকেন ॥
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ