[পরমেশ্বরের স্তুতি দ্বারা আমাদের প্রাপ্তব্য বস্তুর বর্ণনা]
৷৷ ঋষিঃ কুৎসঃ ॥ দেবতাঃ অগ্নিঃ ॥ ছন্দঃ জাগতী ॥ স্বরঃ নিষাদঃ ॥
इ꣣म꣢꣫ꣳ स्तो꣣म꣡मर्ह꣢ते जा꣣त꣡वे꣢दसे र꣡थ꣢मिव꣣ सं꣡ म꣢हेमा मनी꣣ष꣡या꣢ ।
भ꣣द्रा꣢꣫ हि नः꣣ प्र꣡म꣢तिरस्य स꣣ꣳस꣡द्यग्ने꣢꣯ स꣣ख्ये꣡ मा रि꣢꣯षामा व꣣यं꣡ तव꣢꣯ ॥६६॥
ভদ্রা হি নঃ প্রযতিরস্য সংসদ্যগ্নে সখ্যে মা রিষামা বয়ং তব। সামবেদ। ৬৬ ॥
পদার্থঃ (অর্ন্ততে) পূজনীয়, (জাতবেদসে') সকল উৎপন্ন পদার্থের জ্ঞাতা, সকল উৎপন্ন পদার্থে বিদ্যমান, সকল ধনের উৎপাদক এবং বেদজ্ঞানের প্রকাশক পরমেশ্বরের জন্য (মনীষয়া) মনোযোগ সহকারে (স্তোমম্) স্তোত্রকে (সংগ্রহেম) সৎকারপূর্বক প্রেরণ করো, (রথম্ ইব) যেভাবে কোনো সম্মানিত ব্যক্তিকে আনয়নের জন্য তাঁর নিকট রথ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। (অস্য) এই পরমেশ্বরের (সংসদি) সংগতি দ্বারা (নঃ) আমাদের (প্রমতিঃ) প্রখর বুদ্ধি (ভদ্রা হি) ভদ্রই হয়ে থাকে। হে (অগ্নে) তেজস্বী পরমাত্মা! (বয়ম্) আমরা প্রজাজন (তব) তোমার (সখ্যে) মিত্রতায় (রিষাম) হিংসিত হবো ['অন্যেষামপি দৃশ্যতে' অষ্টা০ ৬।৩।১৩৭] (মা) না
সরলার্থঃ পূজনীয়, সকল উৎপন্ন পদার্থের জ্ঞাতা, সকল উৎপন্ন পদার্থে বিদ্যমান, সকল ধনের উৎপাদক এবং বেদ জ্ঞানের প্রকাশক পরমেশ্বরের জন্য মনোযোগ সহকারে স্তোত্র সৎকারপূর্বক অর্থাৎ যত্নপূর্বক এমনভাবে প্রেরণ করো, যেভাবে কোনো সম্মানিত ব্যক্তিকে আনয়নের জন্য তাঁর নিকট রথ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। এই পরমেশ্বরের সংগতি অর্থাৎ সান্নিধ্য দ্বারা আমাদের প্রখর বুদ্ধি ভদ্রই হয়ে থাকে। হে তেজস্বী পরমাত্মা! আমরা প্রজাজন তোমার মিত্রতায় কখনো হিংসিত হবো না ॥
'স্তোত্রকে রথের ন্যায় সৎকারপূর্বক প্রেরণ'- এটি পূর্ণোপমা অলঙ্কার। যেমন কোনো সুযোগ্য বিদ্বানকে নিজের উৎসবে আনয়নের জন্য তাঁর নিমিত্তে রথ পাঠানো হয়ে থাকে, তেমনিভাবেই পূজনীয় পরমেশ্বরকে নিজ হৃদয়-গৃহে আনয়নের জন্য তাঁর নিমিত্তে স্তোত্র প্রেরণ করা হয়। এটি মূলত আলঙ্কারিক ভাষা, কেননা পরমেশ্বর তো প্রথম থেকেই আমাদের হৃদয়ে বিদ্যমান ॥
ভাবার্থঃ অব্যক্তরূপে হৃদয়ে অবস্থিত পরমেশ্বর আমাদের স্তোত্রে জাগ্রত হন এবং আমাদের বুদ্ধিকে শ্রেষ্ঠ মার্গের ওপর চলার জন্য ভদ্র বানিয়ে বিনাশ হতে আমাদের রক্ষা করেন ॥
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ