ভূমিরাপোऽনলো বায়ুঃ খং মনো বুদ্ধিরেব চ।
অহঙ্কার ইতীয়ং মে ভিন্না প্রকৃতিরষ্টধা।।
গীতা-৭/৪
পদ০-ভূমিঃ।আপঃ। অনলঃ। বায়ুঃ। খম্। মনঃ। বুদ্ধিঃ। এব। চ। অহঙ্কারঃ। ইতি। ইয়ম্। মে। ভিন্না। প্রকৃতিঃ। অষ্টধা।
পদার্থ-( ভূমিঃ) পৃথিবী ( আপঃ) জল ( অনলঃ) অগ্নি ( বায়ুঃ):বায়ু ( খম্) আকাশ ( মনঃ বুদ্ধিঃ) মন বুদ্ধি ( চ) এবং অহঙ্কার ( ইতি) এই ( মে) আমার ( ভিন্না) ভিন্ন-ভিন্ন ( অষ্টধা প্রকৃতি) অট প্রকারের প্রকৃতি।।
ভাষ্য-এখানে প্রকৃতি শব্দের অর্থ "প্রক্রিয়তেऽনয়া ইতি প্রকৃতিঃ" এই ব্যুৎপত্তি উপাদান কারণের অর্থাৎ যার দ্বারা এ জগৎ নির্মিত হয় তার নাম "প্রকৃতি" এখানে সাংখ্য শাস্ত্রের মান্য প্রকৃতিকে ব্যাসজী লিখেছেন যার প্রমাণ হল এই যে- "সত্ত্বরজস্তমসাং সাম্যাবস্থা প্রকৃতিঃ প্রকৃতের্মহান্ মহতোऽহ- কারোऽহংকারাৎপঞ্চতন্মাত্রাণ্যুভয়মিন্দ্রিয়ঃ তন্মাত্রেভ্যঃস্থূ-
লভূতানি পুরুষ ইতি পঞ্চবিংশ-তির্গণঃ=সত্ত্ব,রজ,তম এই তিনটি গুণের সাম্যাবস্থাকে প্রকৃতি বলা হয়, প্রকৃতি থেকে মহান্ মহতত্ত্ব,মহতত্ত্ব থেকে অহংকার, অহংকার থেকে পঞ্চতন্মাত্র= শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, এর থেকে পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয় এবং মনকে মিলিয়ে ছয়টি জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং এই পঞ্চতন্মাত্র থেকে পঞ্চ স্থূল ভূত হয় এবং পুরুষ,এই ( পঞ্চবিংশতি) পঁচিশটি গণ যা সাংখ্যা শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে এখানে এই আট প্রকারের প্রকৃতি গীতায় লেখা হয়েছে এবং ভূমি আদি শব্দ দ্বারা এখানে পঞ্চতন্মাত্রের গ্রহণ রয়েছে। মায়াবাদি লোক এখানে প্রকৃতির অর্থ মায়ার গ্রহণ করেন যা এদের মতে ব্রহ্মের আশ্রয়ে থাকা অজ্ঞানের নাম এবং এই অজ্ঞান এদের মতে জ্ঞান মাত্রের দ্বারা নিবৃত্ত হয়ে যায়, এইজন্য সেগুলিকে কোন ভাব পদার্থ বলা যেতে পারে না।
যদি গীতায় প্রকৃতি শব্দ এদের মায়ার বাচক হত তবে "য় এবং বেত্তি পুরুষং প্রকৃতি চ গুণৈঃ সহ" গীতা-১৩/১৩ এখানে কেন বলা হল যে,গুণ সহিত প্রকৃতিকে যারা জানে তারা বন্ধনে আবদ্ধ হয় না। এদের মতে তো সেই মায়ারূপী অজ্ঞানের নাশ দ্বারা বন্ধন রহিত হয়, নাতো অন্য কোন জ্ঞান অথবা অনুষ্ঠান থেকে হয়। শুধুই নয় গীতা-১৩;৫ এ সাংখ্য শাস্ত্রের মান্য উক্ত পঞ্চবিংসতিগণ স্পষ্ট পাওয়া যায়, পুনরায় প্রকৃতি শব্দের অর্থ অদ্বৈতবাদি মায়া কীভাবে করেন ? অস্ত,সেই স্থলে এই কথাকে বিস্তারপূর্বক লেখা হবে যে স্থলে মায়াবাদি লোক নিজ মিথ্যা ভাষ্য দ্বারা এই পঞ্চবিংশতি- গণকে গোপণ রাখে। এখানে এতটাই প্রকৃতি ছিল যে,এই আট প্রকারের প্রকৃতি দ্বারা ব্যাসজীর অভিপ্রায় উপাদান কারণের এবং সেই উপাদান কারণকে যা জীব এবং ব্রহ্ম হতে ভিন্ন মান্য হয়,এইজন্য এর অর্থ মায়ার হতে পারে না। মায়াবাদিদের সিদ্ধান্তের অনুকূল মায়া ব্রহ্ম হতে ভিন্ন কোন বস্তু নয় কিন্তু ব্রহ্মের আশ্রয়ে রহিত এক অজ্ঞানেরই নাম মায়া,এইজন্য গীতায় প্রকৃতি শব্দের অর্থ মায়াবাদিদের মায়ার হতে পারে না।।
( ভাষ্য-শ্রী পণ্ডিত আর্যমুনি পরিব্রাজক)
ভূমিরাপোऽনলো বায়ুঃ খং মনো বুদ্ধিরেব চ।
অহঙ্কার ইতীয়ং মে ভিন্না প্রকৃতিরষ্টধা।। গীতা-৭/৪
পদ০-ভূমিঃ।আপঃ। অনলঃ। বায়ুঃ। খম্। মনঃ। বুদ্ধিঃ। এব। চ। অহঙ্কারঃ। ইতি। ইয়ম্। মে। ভিন্না। প্রকৃতিঃ। অষ্টধা।
পদার্থ-( ভূমিঃ) পৃথিবী ( আপঃ) জল ( অনলঃ) অগ্নি ( বায়ুঃ):বায়ু ( খম্) আকাশ ( মনঃ বুদ্ধিঃ) মন বুদ্ধি ( চ) এবং অহঙ্কার ( ইতি) এই ( মে) আমার ( ভিন্না) ভিন্ন-ভিন্ন ( অষ্টধা প্রকৃতি) অট প্রকারের প্রকৃতি।।
ভাষ্য-এখানে প্রকৃতি শব্দের অর্থ "প্রক্রিয়তেऽনয়া ইতি প্রকৃতিঃ" এই ব্যুৎপত্তি উপাদান কারণের অর্থাৎ যার দ্বারা এ জগৎ নির্মিত হয় তার নাম "প্রকৃতি" এখানে সাংখ্য শাস্ত্রের মান্য প্রকৃতিকে ব্যাসজী লিখেছেন যার প্রমাণ হল এই যে- "সত্ত্বরজস্তমসাং সাম্যাবস্থা প্রকৃতিঃ প্রকৃতের্মহান্ মহতোऽহ- কারোऽহংকারাৎ পঞ্চতন্মাত্রাণ্যুভয়মিন্দ্রিয়ঃ তন্মাত্রেভ্যঃস্থূ- লভূতানি পুরুষ ইতি পঞ্চবিংশ-তির্গণঃ= সত্ত্ব, রজ, তম এই তিনটি গুণের সাম্যাবস্থাকে প্রকৃতি বলা হয়, প্রকৃতি থেকে মহান্ মহতত্ত্ব,মহতত্ত্ব থেকে অহংকার, অহংকার থেকে পঞ্চতন্মাত্র=শব্দ,স্পর্শ,রূপ,রস,এর থেকে পাঁচটি কর্মেন্দ্রিয় এবং মনকে মিলিয়ে ছয়টি জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং এই পঞ্চতন্মাত্র থেকে পঞ্চ স্থূল ভূত হয় এবং পুরুষ,এই ( পঞ্চ বিংশতি ) পঁচিশটি গণ যা সাংখ্যা শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে এখানে এই আট প্রকারের প্রকৃতি গীতায় লেখা হয়েছে এবং ভূমি আদি শব্দ দ্বারা এখানে পঞ্চতন্মাত্রের গ্রহণ রয়েছে। মায়াবাদি লোক এখানে প্রকৃতির অর্থ মায়ার গ্রহণ করেন যা এদের মতে ব্রহ্মের আশ্রয়ে থাকা অজ্ঞানের নাম এবং এই অজ্ঞান এদের মতে জ্ঞান মাত্রের দ্বারা নিবৃত্ত হয়ে যায়, এইজন্য সেগুলিকে কোন ভাব পদার্থ বলা যেতে পারে না। যদি গীতায় প্রকৃতি শব্দ এদের মায়ার বাচক হত তবে "য় এবং বেত্তি পুরুষং প্রকৃতি চ গুণৈঃ সহ" গীতা-১৩/১৩ এখানে কেন বলা হল যে,গুণ সহিত প্রকৃতিকে যারা জানে তারা বন্ধনে আবদ্ধ হয় না। এদের মতে তো সেই মায়ারূপী অজ্ঞানের নাশ দ্বারা বন্ধন রহিত হয়, নাতো অন্য কোন জ্ঞান অথবা অনুষ্ঠান থেকে হয়। শুধুই নয় গীতা-১৩;৫ এ সাংখ্য শাস্ত্রের মান্য উক্ত পঞ্চবিংসতিগণ স্পষ্ট পাওয়া যায়, পুনরায় প্রকৃতি শব্দের অর্থ অদ্বৈতবাদি মায়া কীভাবে করেন? অস্ত,সেই স্থলে এই কথাকে বিস্তারপূর্বক লেখা হবে যে স্থলে মায়াবাদি লোক নিজ মিথ্যা ভাষ্য দ্বারা এই পঞ্চবিংশতি- গণকে গোপণ রাখে। এখানে এতটাই প্রকৃতি ছিল যে,এই আট প্রকারের প্রকৃতি দ্বারা ব্যাসজীর অভিপ্রায় উপাদান কারণের এবং সেই উপাদান কারণকে যা জীব এবং ব্রহ্ম হতে ভিন্ন মান্য হয়,এইজন্য এর অর্থ মায়ার হতে পারে না। মায়াবাদিদের সিদ্ধান্তের অনুকূল মায়া ব্রহ্ম হতে ভিন্ন কোন বস্তু নয় কিন্তু ব্রহ্মের আশ্রয়ে রহিত এক অজ্ঞানেরই নাম মায়া,এইজন্য গীতায় প্রকৃতি শব্দের অর্থ মায়াবাদিদের মায়ার হতে পারে না।।
( ভাষ্য-শ্রী পণ্ডিত আর্যমুনি পরিব্রাজক)
No comments:
Post a Comment
ধন্যবাদ