কঠো উপনিষদ ২/২/৭ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

19 March, 2024

কঠো উপনিষদ ২/২/৭

 য়োনিমন্যে প্রপদ্যন্তে শরীরত্বায় দেহিনঃ।

স্থাণুমন্যেংনুসংয়ন্তি য়থাকর্ম যথাশ্রুতং
কঠোউপনিষদ [২/২/৭]

পদার্থঃ (অন্যে) ব্রহ্মজ্ঞানহীন (দেহিনঃ) জীবাত্মা নিজের (য়থাকর্ম) পাপ-পুণ্য কর্ম এবং (য়থাশ্রুতম্) জ্ঞান অনুসারে (শরীরত্বায়) মনুষ্যাদি শরীর ধারণের জন্য (য়োনিম্)' গর্ভাশয়কে (প্রপদ্যন্তে) প্রাপ্ত হয় (অন্যে) এবং অন্য নিকৃষ্ট জীব (স্থাণুম্) বৃক্ষাদি স্থাবর যোনী (অনুসংয়ন্তি) মৃত্যুর পর প্রাপ্ত হয় ॥৭॥
সরলার্থঃ ব্রহ্মজ্ঞানহীন জীবাত্মা নিজের পাপ-পুণ্য কর্ম এবং জ্ঞান অনুসারে মনুষ্যাদি শরীর ধারণের জন্য গর্ভাশয়কে প্রাপ্ত হয় এবং অন্য নিকৃষ্ট জীব মৃত্যুর পর বৃক্ষাদি স্থাবর যোনী প্রাপ্ত হয় ॥৭॥
ব্যাখ্যাঃ এই শ্রুতিতে ব্রহ্মজ্ঞানহীন জীবকে উপনিষৎকার ঋষি দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমত যারা মৃত্যুর পর নিজের কর্ম ও জ্ঞান সংস্কার অনুসারে মনুষ্য, পক্ষী প্রভৃতি যোনী লাভ করে এবং অন্য অশুভ কর্মশীল তমোগুণী জীব, যারা বৃক্ষাদি স্থাবর যোনিকে লাভ করে। বৃক্ষাদি যোনিতেও জীবাত্মা নিজের কর্ম অনুসারে গমন করে। মনু মহারাজও বৃক্ষাদি যোনিতে কর্মানুসারে জীবের গতি বর্ণনা করে লিখেছেন- "স্থাবরাঃ কৃমিকীটাশ্চ মৎস্যাঃ সর্পাঃ সকচ্ছপাঃ। পশবচ্চ মৃগাশ্চৈব জঘন্যা তামসী গতিঃ। (মনু০ ১২।৪২)” অর্থাৎ বৃক্ষাদিস্থাবর পদার্থ, কৃমি, কীট, মাছ, সাপ, কচ্ছপ, পশু ও মৃগ- এদের তমোগুণনির্মিত যে গতি হয়ে থাকে, এই সব যোনিপ্রাপ্তি অর্থাৎ এইসব রূপে জন্মানো "নিকৃষ্ট তামসিক গতি"। "শরীরজৈঃ কর্মদোষৈয়াতি স্থাবরতাং নরঃ। বাচিকৈঃ পক্ষিমৃগভাং মানসৈরন্তজাতিতাম্। (মনু০ ১২।৯)" অর্থাৎ শারীরিক কর্মদোষের আধিক্য হলে মনুষ্য বৃক্ষলতাদি স্থাবরত্ব প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ স্থাবর পদার্থ হয়ে জন্মায়, বাচিক অশুভ কর্মানুষ্ঠানের অধিক্য হলে পশু, পাখী হয়ে জন্মায় এবং মনের দ্বারা কৃত অশুভ কর্মের আধিক্যের ফলে নিম্নশ্রেণির মনুষ্যরূপে জন্মগ্রহণ করে। এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, পরমেশ্বর কোনো কোনো জীবকে মনুষ্য জন্ম, কোনো জীবকে সিংহাদি ক্রুর জন্ম, কোনো কোনো জীবকে হরিণ, গবাদি পশু জন্ম, কোনো কোনো জীবকে বৃক্ষ-কৃমি পতঙ্গ প্রভৃতি জন্ম দিয়েছেন। এতে পরমাত্মার পক্ষপাত ঘটছে। এই শঙ্কার সমাধান দিয়ে মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী লিখেছেন- "পক্ষপাত ঘটছে না। কারণ পূর্ব সৃষ্টিতে জীবের কৃত ঐ সকল কর্মানুসারে ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্ম ব্যতীত জন্ম ব্যবস্থা করলে পক্ষপাত করা হতো (স০ প্র০ ৮ম সমু০)।" মোটকথা হচ্ছে, যেসব মনুষ্য ব্রহ্মজ্ঞান বিমুখ, তারা ক্লেশকর্মাদির জালে আবদ্ধ হয়ে ভোগরূপ ফল প্রাপ্ত হয়। যার শুভকর্ম অধিক, তিনি উত্তম যোনী; যার শুভাশুভকর্ম সমান, তিনি মনুষ্য যোনী এবং যার অশুভকর্ম অধিক তিনি তীর্যক ও স্থাবর যোনী প্রাপ্ত হন। যতক্ষণ তারা মোক্ষের অধিকারী না হয়েছেন, ততক্ষণ এইপ্রকার জন্ম- মৃত্যুরূপ চক্রে ঘুরতে থাকেন ॥৭॥

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

যজুর্বেদ অধ্যায় ১২

  ॥ ও৩ম্ ॥ অথ দ্বাদশাऽধ্যায়ারম্ভঃ ও৩ম্ বিশ্বা॑নি দেব সবিতর্দুরি॒তানি॒ পরা॑ সুব । য়দ্ভ॒দ্রং তন্ন॒ऽআ সু॑ব ॥ য়জুঃ৩০.৩ ॥ তত্রাদৌ বিদ্বদ্গুণানাহ ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ