অথর্ববেদ ২/১৩/৪ - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

06 November, 2024

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

 ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥

ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু বিশ্বে দেবাঃ আয়ুষ্টে শরদঃ শতম্॥ [অথর্ববেদ ২।১৩।৪]

মন্ত্র বিষয়ঃ - ব্রহ্মচারিণঃ সমাবর্ত্তনে বস্ত্রাদিধারণোপদেশঃ
ভাষার্থঃ [হে ব্রহ্মচারিন্] (এহি=আ+ইহি) তুমি এসো, (অশ্মানম্) এই শিলাতে (আ+তিষ্ঠ) আরোহণ করো, (তে) তোমার (তনূঃ) শরীর (অশ্মা) শিলা [শিলার মতো দৃঢ়] (ভবতু) হোক  (বিশ্বে) সব (দেবাঃ) উত্তম গুণের [পুরুষ ও পদার্থ] (তে) তোমার (আয়ুঃ) আয়ুকে (শতম্) শত (শরদঃ) শরদ্ ঋতু পর্যন্ত (কৃণ্বন্তু) [দীর্ঘ] করুক ॥
ভাবার্থঃ - ব্রহ্মচারীকে শিক্ষা দেওয়া হোক যে, সে যথানিয়ম পথ্যসেবন, ব্যায়াম, ব্রহ্মচর্য ও পৌরুষ দ্বারা নিজের শরীরকে দৃঢ়, সুস্থ রাখুক এবং বিদ্বানদের সৎসঙ্গ, উত্তম পদার্থের সেবন দ্বারা পূর্ণ আয়ু ভোগ করে সংসারের উপকার করুক॥ অথর্ববেদ ১।২।২। এ আছে “(অশ্মানং তন্বং কৃধি) শরীরকে পাথরের সদৃশ দৃঢ় করো”॥
প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গে অনেক পৌরাণিক পন্ডিত অর্থবেদের এই মন্ত্রকে প্রস্তুত করে থাকেন, অর্থাৎ হে ঈশ্বর। এসো, এই পাথরে বসো এবং এই পাথর তোমার শরীর হউক। পরন্ত পন্ডিতমশাই উক্ত মন্ত্রের পরের ভাগটি দেখেন নি যাতে বলা হয়েছে 'কৃষন্ত বিশ্বে দেবাঃ আয়ুষ্টে শরদঃ শতম্' অর্থাৎ সব দেবতা তোমার আয়ুকে একশ বছর করুন। পৌরাণিকদের অর্থে এরকম মনে হয় যে পাষান মূর্তিতে ভগবানের জন্ম হওয়ার পর জাতকর্ম সংস্কারের সমাপ্তির পরে তাঁকে একশত বছর পর্য্যন্ত জীবিত থাকার আশীর্বাদ দেওয়া হচ্ছে। মূর্তি পূজাকে বেদসম্মত প্রমাণিত করার জন্য এই মন্ত্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠাতে বলপূর্বক বিনিয়োগ করা হয়েছে। বস্তুতঃ যে পদার্থকে (পোষানাদি) জড়রূপে তৈরি করা হয়েছে সে কখনই চেতন হতেপারে না। বাস্তবে উক্ত মন্ত্র সমাবর্তন সংস্কার অর্থাৎ ব্রহ্মচারীর বিদ্যার সমাপ্তিতে ঘর ফিরে আসার সময়ের মন্ত্র। এঁতে ব্রহ্মচারীকে আর্শীবাদ দিয়ে বলা হচ্ছে 'হে ব্রহ্মচারী। তুই এই পাষানের উপর পা রাখ। তোমার শরীর পাথরের মতো সুদৃঢ় এবং বলিষ্ঠ হোক। ভগবান তোমাকে একশত বছর আয়ু অর্থাৎ দীর্ঘায়ু প্রদান করুন"।
সায়নাচার্য্যও এই মন্ত্রের বিনিয়োগ সমাবর্তন সংস্কারে করে এঁর ভাষ্য এইভাবে করেছেন হে মানবক ! এহি আগচ্ছ, অশ্মনমাতিষ্ঠ, দক্ষিনেন পাদেন আক্রম। তে সর্বতনূঃ শরীরং অশ্মা ভবতু, অশ্ববদ্‌ রোগাদিবিনির্মুক্তং দৃঢ়ং ভবতু। বিশ্বে দেবাশ্চ তে তব শত সংবৎসর পরিমিতং আয়ু কৃণ্বন্তু কুর্বন্তু।" অর্থাৎ হে ব্রহ্মচারী! তুমি এখানে এসো এবং তোমার দক্ষিণ পা-কে এই পাথরের উপর রাখো। তোমার শরীর নীরোগ এবং এই পাথরের মতো দৃঢ় হোক॥

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

ব্রহ্মচর্যের সাধনা ভোজন

  নবম ভাগ ভোজন ভূমিকা - "ধর্মার্থকামমোক্ষাণামারোগ্যম্ মূলমুত্তমম্" . ধর্ম-অর্থ-কাম আর মোক্ষ এই পুরুষার্থচতুষ্টয় হল মানব জীবনের উ...

Post Top Ad

ধন্যবাদ