১লা জানুয়ারি যিশুর খাৎনা দিবস ? - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

31 December, 2024

১লা জানুয়ারি যিশুর খাৎনা দিবস ?

 ১'লা জানুয়ারী কাল্পনিক যিশু খ্রিস্টের খৎনা দিবস !!

১লা জানুয়ারি যিশুর খাৎনা দিবস ?
ছবিঃ কাল্পনিক যিশু খ্রিস্টের খৎনা যিশুর খতনার এমন অনেক কাল্পনিক আঁকা হয়েছে। এই ছবিটি এঁকেছেন রেনেসাঁ যুগের শিল্পী আলব্রেখ্ট ডুরার।

The Circumcision of our Lord and Savior Jesus Christ - Orthodox Church in America দেখুন

নববর্ষ অর্থাৎ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী দিন হল যিশু খ্রিস্টের খৎনা দিবস (বাইবেল নববিধান লুক ২।২১) যাকে ব্রিট মিলাহ বলা হয়ে থাকে। পুরুষোত্তম নাগেশ ওক জী তাঁর পুস্তকে লিখেছেন, যীশু রোমান সম্রাট কন্সটেনটাইনের সৃষ্টি করা এক কাল্পনিক চরিত্র! কৃস্তমাস বা ক্রিসমাস যা বাস্তবে কৃষ্ণনাস উৎসব, যা একসময় আর্য্যাবর্ত্তে পালন করা হতো। এই তেহার /উৎসব মধ্যরাত্রি ঠিক বারোটায় ঘন্টা বাজিয়ে পালন করা হতো এটাই সমগ্র আর্য্যবর্ত্তের প্রথা যা মহাভারতের যুদ্ধের পর থেকে শুরু হয়েছে। এটি রাত ১২ টায় পালিত হওয়া শুরু হয়ে ছিলো করাণ দীর্ঘ অন্ধকার রাত শেষ হওয়ার পরে, উত্তরায়ণে দিন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। এইজন্য এই উৎসব কে "বড় দিন" বলা হয়। সেই দিন মধ্যরাত্রি কে দীর্ঘ অন্ধকার রাত্রের ক্লাইম্যক্স (চরমসীমা) মনে করা হতো। এটি কৃষ্ণমাস অর্থাৎ কালা মহীনা (মাস) বা দীর্ঘ অন্ধকার রাতের মাস থেকে এর নাম করণ হয়। সেই সময় থেকে AM = Arohanam Marthandasya - the rise of the Sun. PM = Pathanam Marthandasya - the fall of the Sun গণনা শুরু হয়েছিলো। ডিসেম্বরে দক্ষিণায়নের সমাপ্তি ও উত্তরায়ণের সূচনা সেখান থেকে কৃষ্ণমাসের উৎসব সূচনা সমগ্র বিশ্বে শুরু হয়ে ছিলো এটি খ্রীষ্টের গণনার পূর্বের সময় থেকে উদযাপিত হয়েছিলো। এই মাসে কৃষ্ণ পূজন রূঢ় হওয়ার আর এক কারণ এই সময় মহাভারীয় যুদ্ধেও মার্গশীর্ষে সমাপ্ত হয়েছিল। ভীষ্ম পিতামহ উত্তরায়ন পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন, কৌরব পক্ষের প্রায় সকলে নিহত ও পান্ডবেরা যারা ছিলেন সকলে উদাসীন ছিলেন, এই অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণই একমাত্র দেবতুল্য ব্যক্তি বিবেচিত হত। যুদ্ধ সমাপ্তিতে বিজয় উৎসব বা আনন্দ উৎসব ও পালন করা শুরু হয় কৃষ্ণমাসের নামে মধ্যরাত্রি থেকে বড় হর্ষউল্লাস সহকারে। সংযোগ বসত কৃষ্ণজন্ম সময় এবং দীর্ঘ রাত্রির চরমসীমা একই ছিল, অতঃ মধ্যরাত্রি ১২টায় ঘন্টাধ্বনির মাধ্যমে আনন্দউৎসব প্রচলিত হয় যা আজও কিছু স্থানে পালিত হয়। পরে পরে এই উৎসব ভারতীদের কাছ হতে কন্সটেনটাইনের হাত ধরে আজ খ্রীষ্টমাসে পরিণত হয়েছে॥ এই দিনটি যেদিন যীশু খৎনা করানো হয়েছিল এবং ইহুদী হয়েছিলেন এবং নামকরণ করা হয়েছিল। এটি এখনও অর্থোডক্স চার্চে এইভাবে বলা হয়।

নববর্ষের দিন হল বাধ্যবাধকতার খৎনা দিবস
 
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী, গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জী, পাশ্চাত্য বর্ষপঞ্জী, বা খ্রিস্টীয় দিনপঞ্জিকা হল আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় সর্বত্র স্বীকৃত বর্ষপঞ্জী/দিনপঞ্জিকা। ১৫৮২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পোপ ত্রয়োদশ গ্রোগোরির এক আদেশানুসারে এই বর্ষপঞ্জীর প্রচলন ঘটে। সেই বছর কিছু মুষ্টিমেয় রোমান ক্যাথলিক দেশ গ্রেগোরিয় বর্ষপঞ্জী গ্রহণ করে এবং পরবর্তীকালে ক্রমশ অন্যান্য দেশসমূহেও এটি গৃহীত হয়। আর ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করে ১৭৫২ সালের সেপ্টেম্বরে। তখন তারা তাদের ক্যালেন্ডার থেকে ১১ দিন বাদ দেয়। তাই ১৭৫২ সালের ক্যালেন্ডারে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর এই ১১ টি দিন পাওয়া যায় না। অনেকের মতে ১৫৮২ সালের আগে, নতুন বছর মার্চ মাস থেকে বসন্ত ঋতুতে শুরু হত, তখন রোমান ক্যালেন্ডারে ১০ মাস ছিল। রোমের রাজা নুমা পম্পিলাস রোমান ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করেন। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীর পর রাজা নুমা পম্পিলাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস যোগ করেন। ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর ১ জানুয়ারিতে নতুন বছর উদযাপনের প্রথা শুরু হয়।

পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি কর্তৃক বর্ষপঞ্জী সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ছিল কারণ পূর্ববর্তী জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর গণনা অনুসারে একটি মহাবিষুব থেকে আরেকটি মহাবিষুব পর্যন্ত সময়কাল ধরা হয়েছিল ৩৬৫.২৫ দিন, যা প্রকৃত সময়কাল থেকে প্রায় ১১ সেকেন্ড কম। এই ১১ সেকেন্ডের পার্থক্যের ফলে প্রতি ৪০০ বছর অন্তর মূল ঋতু থেকে জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর প্রায় তিন দিনের ব্যবধান ঘটত। পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরির সময়ে এই ব্যবধান ক্রমশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১০ দিনের এবং ফলস্বরূপ মহাবিষুব ২১ মার্চের পরিবর্তে ১১ মার্চ পড়েছিল। যেহেতু খ্রিস্টীয় উৎসব ইস্টারের দিন নির্ণয়ের সাথে মহাবিষুব জড়িত সেহেতু মহাবিষুবের সাথে জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর এই ব্যবধান রোমান ক্যাথলিক গির্জার কাছে অনভিপ্রেত ছিল।

গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জীর সংস্কার দু'টি ভাগে বিভক্ত ছিল: পূর্ববর্তী জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর সংস্কার এবং ইস্টারের তারিখ নির্ণয়ের জন্য গির্জায় ব্যবহৃত চান্দ্র পঞ্জিকার সংস্কার। জনৈক চিকিৎসক অ্যালয়সিয়াস লিলিয়াস কর্তৃক দেয় প্রস্তাবের সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে এই সংস্কার করা হয়।

পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ১৭৫২ সাল থেকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে অনুসরণ করার আরো অনেক আগে থেকেই ১লা জানুয়ারীকে “New Year’s Day” হিসেবে পালন করে আসছে। খ্রিস্টীয় মতবাদ অনুসারে ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর জন্মের অষ্টম দিন তাঁর খাতনা (Circumcision) করা হয়েছিল এবং সেই কারণে একটি প্রীতিভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখান থেকেই ১লা জানুয়ারীতে আনন্দ প্রকাশ করত তারা। এখন পর্যন্ত Anglican Church এবং Lutheran Church এই রীতি অনুসারে ১লা জানুয়ারীতে আনন্দ প্রকাশ করে।
[সুত্রঃ
ক. Dictionary of Theological Terms, McKim, Donald. p. 51.
খ. A Companion for the festivals and fasts of the Protestant Episcopal Church, Hobart, John Henry. p. 284]

(নববর্ষ) উৎযাপন করা মুসলিমদের জন্য অকাট্য হারাম। রাসূল ﷺ বলেছেন,

‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১) । রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত।” [সুনানে আবু দাউদঃ হাদীস ৪০৩১]





No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

कात्‍यायन श्रौतसूत्रम्

  Cont>>

Post Top Ad

ধন্যবাদ