মনুষ্য উৎপত্তি - ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম্মতত্ত্ব

ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান, ধর্ম গ্রন্থ কি , হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়, ইসলাম খ্রীষ্ট মত বিষয়ে তত্ত্ব ও সনাতন ধর্ম নিয়ে আলোচনা

धर्म मानव मात्र का एक है, मानवों के धर्म अलग अलग नहीं होते-Theology

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Post Top Ad

স্বাগতম

মনুষ্য উৎপত্তি

 উপ সর্প মাতরং ভুমিমেতামুরুব্যচসং পৃথিবীং সুশেবাম্।

ঊর্ণম্রদা য়ুবতির্দক্ষিণাবত এষা ত্বা পাতু নির্ঋতেরুপস্থাত্।। ঋ০ ১০/১৮/১০-১২
আধিভৌতিক ভাষ্যঃ
পদার্থঃ হে জীব! (সুশেবাম্) [সুশেবঃ সুসুখতমঃ-নিরু০ ৩।৩] উত্তম সুখ দেওয়াতে সর্বশ্রেষ্ঠ (এতাম্) ইহা (মাতরম্) মাতার সমান (ভূমিম্) প্রারম্ভে যাহার গর্ভে সব প্রাণী উৎপন্ন হয়ে যাহার উপর সব প্রাণী নিবাস করেন, সে পৃথিবী (উরু-ব্যচসম্) অতি বিস্তারবান হয়ে সব ভ্রণকে (উপ সর্প) নিকটতা থেকে প্রাপ্ত হয়, ইহার সাথেই ওই গর্ভের আন্তরিক আবরণ নিরন্তর হালকা স্পন্দন করতে থাকে (ঊর্ণম্রদা) [ঊর্ণম্রদা ইত্যুর্ণমৃদ্বীত্যেবৈতদাহ-কাশ০ ৪।২।১।১০; সাধ্বী দেবেভ্য ইত্যেবৈতদাহ য়দাহোর্ণম্রদসং ত্বেতি-শ০ ১।৩।১।১০] সে ভূমি ঐ ভ্রণকে ঐরূপ আচ্ছাদন প্রদান করেন, যে পশমের সমান কোমল, মসৃণ বা আরামদায়ক। সে ওই দিব্য ভ্রণকে সবদিক থেকে গর্ভের সমান সুখদায়ক স্পর্শযুক্ত ঘর প্রদান করেন। (য়ুবতীঃ) ওই গর্ভরূপ পৃথিবীতে নানা জীবনীয় রসের মিশ্রণ-অমিশ্রণের ক্রিয়া নিরন্তর চলতে থাকে (দক্ষিণাবতঃ) সে পৃথিবী ঐ ভ্রণকে তখন পর্যন্ত পোষণ প্রদান করতে থাকেন, যখন পর্যন্ত তাহার নিজের পালন বা রক্ষণ করতে পূর্ণ দক্ষ অর্থাৎ সক্ষম না হয়ে যায় (এষা) এই ভূমি (ত্বা) তুমি জীবকে (নির্ঋতেঃ-উপস্থাত্) [নির্ঋতির্নিরমণাত্ ঋচ্ছতেঃ কৃ চ্ছ্রাপত্তিরিতরা-নিরু০ ২।৮] পূর্ণ রূপে নিরন্তর হর্ষযুক্ত মরণ করেন, এইরূপে সুরক্ষিত বা উত্তম স্থানের মধ্যে (পাতু) ঐ ভ্রণ বা জীবের পালন করেন। ইহার সাথেই যেখানে ক্লেশ পৌছায়, এই প্রকার অসুরক্ষিত স্থানের দ্বারা ওই ভূমিকে গর্ভরূপ আবরণ ওই জীব বা ভ্রণকে রক্ষা করেন।।১০।।

উচ্ছ্বঞ্চস্ব পৃথিবী মা নি বাধথাঃ সূপায়নাস্মৈ ভব সূপবঞ্চনা।

মাতা পুত্রং য়থা সিচাম্যেনং ভূম ঊণুর্হি।।১১।।

পদার্থঃ (পৃথিবী) সে গর্ভরূপ পূর্বোক্ত পৃথিবী (উচ্ছ্বঞ্চস্ব) উৎকৃষ্টরূপে উর্দ্ধ দিশাতে স্পন্দিত হয়ে কিংবা উত্তপ্ত হয়ে হতে থাকে। (মা বাধথাঃ) ওই ভূমির আবরণ এমন হয়, যে তাহার অন্তর ক্ষণকাল থেকে ভ্রণ বা জীবের প্রাপ্ত হয়ে থাকে জীবনীয় রসকে থামাতে পারে না অর্থাৎ তাহার রস ক্রোধ-ক্রোধ করে ওই জীবকে প্রাপ্ত হতে থাকে। (অস্মৈ) সে এই জীবনের জন্য (সূপায়না-ভব) সে ভূমি তাহাকে পোষক বা সংবর্ধক জীবনীয় তত্বের উপহার মিলিত হয়ে (সূপবঞ্চনা)[উপবঞ্চনম্=দুবকনা] সে ভূমি আবরণ ঐ ভ্রণের বা জীবের উত্তম প্রকার লুকিয়ে আশ্রয় প্রদান করেন (মাতা য়থা) যে প্রকার মাতা নিজের সন্তানকে কোল বা গর্ভে ঢেকে সুরক্ষা প্রদান করেন, ওই প্রকার (নি-সিচা ভূমেঃ) [নি+সিচ্=উপরে ফেলে, গর্ভযুক্ত করা-আষ্টে] ভূমিকে তাহার ভাগ ঐ জীবের নিজের গর্ভে নিয়ে তাহার উপর নানা আবরণের দ্বারা (এনং) ঐ জীবকে (অভি ঊর্ণুহি) সবদিক থেকে আচ্ছাদিত করে নেয়।।১১।।

উচ্ছ্বঞ্চমানা পৃথিবী সু তিষ্ঠতু সহস্রং মিত উপ হি শ্রয়ন্তাম্।

তে গৃহাসো ঘৃতশ্চুতো ভবন্তু বিশ্বাহাস্মৈ শরণাঃ সন্ত্বত্র।।১২।।

পদার্থঃ (উচ্ছ্বঞ্চমানা) পূর্বোক্ত উত্তপ্ত এবং মৃদু স্পন্দন করে এবং কোমল (পৃথিবী) ভূমি (সু তিষ্ঠতু) ঐ ভ্রণের বা জীবের আচ্ছাদিকা হয়ে সুদৃঢ়তা দ্বারা সুরক্ষাপূর্বক স্থিত হয়ে ঐ জীবেরও স্থিরতা প্রদান করেন (সহস্রম্ মিতঃ) ওই ভূমিকে পৃথক-পৃথক স্থানে অনেক সংখ্যাতে (উপ হি শ্রয়ন্তাম্) নিকট থেকে আশ্রয় পাই কিংবা ঐ গর্ভরূপ স্থানের মধ্যে বড় সংখ্যাতে [মিতঃ=মিনোতিগতিকর্মা-নিরু০ ২।১৪] বিভিন্ন সূক্ষ্ম অণুর প্রবাহ বানিয়ে থাকে (তে গৃহাসঃ) ভূমিকে তাহার স্থান ঐ জীবের জন্য ঘরের সমান হয় [গৃহাম্=গৃহাঃ কস্মাদ্ গৃহণাতীতি সতাম্-নিরু০ ৩।১৩] আর ঘরের সমান তাহার ভূকোষ্ঠ ঐ জীবের ঐরূপই ধরে বা ধারণ করে থাকেন, (ধৃতশ্চুতো ভবন্তু) তাহার ভূকোষ্ঠ ঐরূপ হয় যে ইহার মধ্যে ঘীর সমান মসৃণ রস সদৈব চুয়াতে থাকে (অস্মৈ) তিনি ঐ জীবের জন্য (বিশ্বাহা) [বিশ্বাহা=সর্বাণি দিনানি-ম০ দ০ য০ ভা০ ৭।১০] সর্বদা অর্থাৎ পূর্ণ যুবাবস্থা পর্যন্ত (শরণাঃ সন্তু অত্র) এই অবস্থাতে তিনি জীব ঐ কোষ্ঠের মধ্যে আশ্রয় পাই।।১২।।

এই মন্ত্রে ভূমির অন্তর যুবাবস্থা পর্যন্ত কিভাবে মনুষ্য সহিত সব জরায়ুজ প্রাণী বিকসিত হয়, ইহার সুন্দর চিত্রণ করেছেন।

যে প্রকার অমীবা আদি এক কোশীয় প্রাণীর নির্মাণ রাসায়নিক বা জৈবিক ক্রিয়ার দ্বারা হয়, ঐ প্রকার বহুকোশীয় জরায়ুজ তথা অণ্ডজেরও শুক্র তথা রজর নির্মাণ ইহা উত্তপ্ত হয়ে কোমল তথা সব আবশ্যক পদার্থ, যে অবশ্য মাতার গর্ভে হয়, যাহা পরিপূর্ণ পৃথিবীর ধরাতলের পরতের মধ্যে হয়ে যায়।

এখন আমরা বিচারের যে ভ্রণকে পোষণের জন্য মাতার গর্ভের আবশ্যকতা কি হয়? এই কারণ, যেহেতু ভ্রণের আবশ্যক বৃদ্ধি হেতু পোষক পদার্থ প্রাপ্ত হয়ে থাকে, ভ্রণকে সুরক্ষিত কোমল, মসৃণ আবরণ তথা আবশ্যক তাপ মিলিয়ে। যদি এই পরিস্থিতে মাতার গর্ভ থেকে অন্যত্র কোথাও উৎপন্ন করা যায়, তবে ভ্রণের বিকাশ সেখানে হয়ে যায়, যে প্রকার আজ পরীক্ষার দ্বারা বাচ্চা উৎপন্ন করেন।

হ্যাঁ, এক কথা মহত্বের হয় যে ওই সময় মনুষ্য বা কোন জরায়ুজ যুবাবস্থাতে ভূমিতে উদ্ভিজের যথার্থ উৎপন্ন হয়।

মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী জীর এই কথন সর্বদা উচিত যে যদি শিশু উৎপন্ন হয়, তবে পালন কে করবে আর যদি বৃদ্ধ উৎপন্ন হয়, তখন তাহাদের বংশ কিভাবে চলত? (দেখুন-সত্যার্থ প্রকাশ, অষ্টম সমুল্লাস)
উপনিষদকার ঋষি ইহার আরো বিস্তার দিয়েছেন-
তস্মাচ্চ দেবা বহুদা সংপ্রসূতাঃ সাধ্যা মনুষ্যাঃ........।।৭।।মুণ্ডক উপ০ ১।১।৭
অর্থাৎ-ওই পরমাত্মা থেকে অনেক বিদ্বান সিদ্ধি প্রাপ্ত জন তথা সাধারণ বিদ্বান জন উৎপন্ন হয়েছে।
ভাষ্যঃ আচার্য অগ্নিব্রত ন্যাষ্টিক

No comments:

Post a Comment

ধন্যবাদ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

অথর্ববেদ ২/১৩/৪

  ह्यश्मा॑न॒मा ति॒ष्ठाश्मा॑ भवतु ते त॒नूः। कृ॒ण्वन्तु॒ विश्वे॑ दे॒वा आयु॑ष्टे श॒रदः॑ श॒तम् ॥ ত্রহ্যশ্মানমা তিষ্ঠাশ্মা ভবতুতে তনূঃ। কৃণ্বন্তু...

Post Top Ad

ধন্যবাদ